মোঃ মাসুদুল হক ঃ
আসন্ন কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হচ্ছেন নাজমুল হাসান ভূঁইয়া বাছির। নির্বাচনে ভোটারদের পছন্দের তালিকায় রয়েছেন তিনি। অবাধ, সুষ্ঠু ও প্রভাববিহীন শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে চেয়ারম্যান পদে তিনি হাসতে পারেন শেষ হাসি।
নাঙ্গলকোটের রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে একাধিক প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা শোনা গেলেও যোগ্যতা বিবেচনায় সর্বাধিক এগিয়ে আছেন নাজমুল হাসান ভূঁইয়া বাছির। সর্বত্রই তার জয়-জয়াকার শোনা যাচ্ছে।
তিনি নাঙ্গলকোটের সাবেক সংসদ সদস্য জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়ার উত্তরসূরী। আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থাকলেও দলমত-নির্বিশেষে তিনি সকলের নিকট ক্লিন ইমেজের প্রার্থী হিসেবে পরিচিত। উপজেলাজুড়ে রয়েছে তার ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা।
রাজনীতির মাঠে ব্যাপক জনপ্রিয়তার কারণে ইতোপূর্বে তিনি টানা তিনবার ঢালুয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। ঢালুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হলেও চাচা প্রয়াত সংসদ সদস্য জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়ার নীতি-আদর্শ হৃদয়ে ধারণ করে নাঙ্গলকোট উপজেলার সর্বস্তরের মানুষের সুখ-দুঃখে তিনি পাশে রয়েছেন। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জনপ্রিয়তার ধরাবাহিকতায় এবার তাকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান হিসেবে সর্বাধিক ভোটে বিজয়ী করতে একাট্টা নাঙ্গলকোটের সর্বস্তরের জনগণ।
আসন্ন নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে একাধিক প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা শোনা গেলেও মাঠ পর্যায়ের জরিপ এবং নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে আলোচনায় প্রাপ্ত তথ্যের ফলাফলেও এগিয়ে নাজমুল হাসান ভূঁইয়া বাছির।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগেই নাজমুল হাসান ভূঁইয়া বাছির নিয়মিত গণসংযোগ, পথসভা, ইফতার মাহফিলসহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করে ব্যাপড় সাড়া জাগিয়েছেন। তিনি যেখানে যাচ্ছেন সেখানেই জনস্রোত লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পথসভা ও ইফতার মাহফিল যেন জনসভায় পরিণত হচ্ছে। সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ তার প্রতি আস্থা, সমর্থন ও ভালোবাসার প্রার্থী হিসেবে জানান দিচ্ছেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজমুল হাসান ভূঁইয়া বাছির গণমাধ্যমকে বলেন, নাঙ্গলকোটের সর্বস্তরের জনগণই আমার প্রাণশক্তি। জনগণের ভোট বিপ্লবে আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে নাঙ্গলকোটকে মডেল উপজেলায় রূপান্তরে কাজ করে যাব। জনগণের যে কোনো প্রয়োজনে আমার দরজা সকলের জন্য ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে।