মিয়ানমারের ১ সেনা কর্মকর্তাসহ ৩ সেনাবাহিনী আবারও বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ায় তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো বিলম্ব হতে পারে। মিয়ানমারের উত্তর—পশ্চিম রাখাইনে সরকার বাহিনী ও বিদ্রোহী আরকান আর্মির মধ্যকার সংঘর্ষ তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। সীমান্তের এ পয়েন্টে দীর্ঘ ২ বছর ধরে চলে আসা সংঘর্ষে সরকার বাহিনী হারিয়েছে অন্তত ৬০টির অধিক ছোট—বড় ঘাঁটি। এদিকে উপজেলার ঘুমধুমের পর গত ১১ মার্চ সীমান্তের ৪৫—৪৬ পিলারের জামছড়ি হয়ে দুই দফা সেই দেশের ১৭৯ পুলিশ বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। অবশ্য এদের মধ্যে দুই জন সাধারণ নাগরিক হওয়ায় তাদের ফোস ব্রেক করা হয়। বাকি ১৭৭ পুলিশ (বিজিপি) সদস্য কে দীর্ঘ যাচাই—বাছাই ও আইডেন্টিফাই শেষে যখন তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে বলে জানিয়েছিলেন নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবি জোন কমান্ডার সাহল আহমদ। এমন সময় গত ৩০ মার্চ আবারো ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে তিন সেনা সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া তাদের মোট ১৮০ সদস্য কে ফেরত পাঠানো বিলম্ব হতে পারে। জানা গেছে ফকিরা বাজার ১ টি জান্তা বাহিনীর ঘাঁটি দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিদ্রোহী আর্মি। যেটিতে শতাধিক জান্তা সমর্থিত বাহিনী অবস্থান করছে। বর্তমানে সীমান্তের ৭—৮ কিলোমিটার ভিতরে গোলাগুলি এখনও চলমান রয়েছে বলে সীমান্তের অধিবাসী নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার সাবের আহমেদ বাইশফাঁড়ির ছৈয়দ হোসেন ও চেরারমাঠের ছৈয়দ হোসেন এ সব তথ্য নিশ্চিত করেন। অপর দিকে জামছড়ি সীমান্তের বিপরীতে মাঝে মধ্যে মর্টারশেলের প্রকট শব্দ শুনেছেন নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের জামছড়ির অধিবাসীরা।