খাগড়াছড়িতে পুলিশ সুপারের উদ্যেগে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সদস্যদের মধ্যে হামদ-নাত ও কেরাত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে পুলিশ লাইন্স ড্রিল শেডে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতা শেষে বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ বিকালে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার)। এ প্রতিযোগিতায় পুলিশ সদস্যদের মধ্যে মোট ৫০জন প্রতিযোগী অংশ গ্রহণ করেন। এই প্রতিযোগীদের মধ্যে থেকে হামদ-নাত ক্যাটাগরিতে ০৩জন ও কেরাত ক্যাটাগরিতে ০৩জন প্রতিযোগীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। পরে পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এসময় পুলিশ সুপার মহোদয় বলেন, রমজান মাস মানুষকে জুলুম, অত্যাচার, অবিচার থেকে বিরত থাকার বার্তা দেয়। এ মাসে নিজেকে পরিশুদ্ধ হওয়ার যে সুযোগ রয়েছে অন্য মাসে তেমনটা নেই। রমজান হচ্ছে আত্মশুদ্ধির মাস। অন্যায় অবিচারকে সমর্থন না দিয়ে সর্ব অবস্থায় সত্যের পথে অবিচল থাকার আহ্বান জানান।
তিনি আরো বলেন, পবিত্র মাহে রমজানের শিক্ষা সমাজের সব মানুষের কল্যাণে ও সমাজ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখে। সকলের উচিৎ পবিত্র রমজানের শিক্ষা কাজে লাগিয়ে মানুষের কল্যাণে ও সমাজ বিনির্মাণে এগিয়ে আসা। এবং সততা, নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্ব সাথে দেশসেবার মনোভাব নিয়ে কাজ করার আহবান জানান।
এ সময় প্রতিযোগিতার মধ্যে পুরস্কার প্রাপ্তরা তাদের অনুভূতি প্রকাশ করতে যেয়ে বলেন যে, খাগড়াছড়ি জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার স্যার কর্তৃক ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এই পবিত্র মাহে রমজানে আয়োজিত হামদ-নাত ও কেরাত প্রতিযোগিতা অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। পুলিশ সুপার স্যারের এ ধরনের ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজিত অনুষ্ঠানে আমরা পুলিশ সদস্যরা অত্যন্ত খুশি। স্যার এ জেলায় আসার পর থেকে পুলিশ সদস্যদের সার্বিক কল্যাণ যেভাবে নিজ দায়িত্বে দেখতেছেন তাতে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত এবং স্যারের কাছে আকুল আবেদন ভবিষ্যতেও এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের ধারা যেন অব্যাহত থাকে।
উল্লেখ্য যে, এই পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার) খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সদস্যদের জন্য কোরআন শিক্ষা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন এবং এ অনুষ্ঠান এখনো চলমান রয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) মোঃ জসীম উদ্দিন পিপিএম, সহকারী পুলিশ সুপার সৈয়দ মুমিদ রায়হান সহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
You cannot copy content of this page