খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা খেদাছড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইকবাল হোসেনকে ইটের আঘাতে রক্তাক্ত করেছে একই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. নুরুল ইসলাম। ২৫ জানুয়ারি দুপুরে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনা সূত্রে জানা যায়, কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই টানা তিন কার্যদিবস শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন শিক্ষক মো. নুরুল ইসলাম।
চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি অভিযুক্ত শিক্ষক নুরুল ইসলাম স্কুলে এসে প্রধান শিক্ষক ইকবাল হোসেনকে আবেদন পত্রে ব্যাকডেট দিয়ে ছুটি মঞ্জুর করতে বলনে। তবে প্রধান শিক্ষক তাতে অস্বীকৃতি জানান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ফিল্মি স্টাইলে প্রধান শিক্ষকের কক্ষেই ইট দিয়ে তার মাথায় এবং শরীরে আঘাত করে। এতে মাথায় ফেটে শরীর রক্তাক্ত হয়ে যায়। পরে সহকর্মী স্কুল শিক্ষকরা তাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে নিকটস্থ খেদাছড়া বিজিবি চিকিৎসা কেন্দ্র (এম আই রুম) নিয়ে গেলে মাথায় ৬ সেলাই দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও সহকারী শিক্ষক মাহমুদুল হাসান জানান, পাশের রুম থেকে চিৎকার শুনে স্যারের কক্ষে গিয়ে দেখি নুর ইসলাম স্যারের ইটের আঘাতে ইকবাল স্যারের মাথায় দিয়ে রক্ত ঝরছে।
ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন দাবি করে বলেন, সহ-প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম একজন উগ্রবাদী শিক্ষক। তার কাছে স্কুলের কেউই নিরাপদ নয়। গত ২০২২ সালে নভেম্বর মাসে ব্যাবহারিক পরীক্ষার ভাতাকে বিতরণকে কেন্দ্র করে হামলা করতে চাইলে উপস্থিত শিক্ষকগণ রক্ষা করে। জেলা শিক্ষা অফিসার বিষয়টি নিষ্পত্তি করেন বলেও জনান তিনি।
স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি আমির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিষয়টিকে কেন্দ্র করে অভিযুক্ত শিক্ষক নুরুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করে ৭ দিনের মধ্যে আত্মপক্ষ সমর্থনে উভয়কে লিখিত জবাব দেয়ার জন্য বলা হয়েছ।
You cannot copy content of this page