সাইবার অপরাধের এর শিকার হয়ে খাগড়াছড়ি জেলার একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জনৈক একজন স্কুল শিক্ষিকা খাগড়াছড়ি সদর থানায় এসে লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেন যে তার নামে কেউ একজন ফেইক ফেইসবুক আইডি খুলে বিভিন্ন ধরনের অপ্রীতিকর ও আপত্তিকর পোস্ট করেছেন এবং আরো একটি ফেইক ফেইসবুক আইডি থেকে ভিকটিমের মূল আইডিতে বিভিন্ন ধরনের অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ মেসেজ প্রদান করেছেন। ভিকটিমের একটি ব্যক্তিগত ছবিকে এডিট করে অশালীনভাবে উপস্থাপন করে প্রথমে ভিকটিমের ফেসবুক আইডিতে মেসেজ করে ভিকটিমকে ভয় দেখিয়ে অজ্ঞাতনামা ব্লাকমেইলকারী তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করার প্রস্তাব দেন এবং ছবিটিকে ভিক্টমের পরিচিত বিভিন্ন ব্যক্তির সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে ভিকটিমকে নানাভাবে মানসিক নির্যাতন করতে থাকেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে খাগড়াছড়ি জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার মুক্তাধর এর নজরে আসলে পুলিশ সুপারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও দিক নির্দেশনায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সাইবার ক্রাইম ইউনিটের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এবং তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে উক্ত ফেইক ফেইসবুক আইডিধারী ও ব্লাকমেইলকারী উদয়ন ত্রিপুরা (২৭), পিতা- রঞ্জিত ত্রিপুরা, সাং- অমৃত পাড়া, থানা- খাগড়াছড়ি সদর, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা কে সনাক্ত করতে সমর্থ হয়।
পরবর্তীতে খাগড়াছড়ি সদর থানার একটি চৌকস টিম বর্নিত ফেইক ফেইসবুক আইডিধারী ও ব্লাকমেইলকারীকে অভিযান পরিচালনা করে দূর্গম এলাকা থেকে গ্রেফতার করেন এবং বর্ণিত আসামীর ব্যবহৃত ডিভাইস গুলিকে জব্দ করেন। উক্ত ঘটনার বিষয়ে খাগড়াছড়ি সদর থানায় পর্নোগ্রাফী নিয়ন্ত্রন আইনে একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।
একবিংশ শতাব্দীতে মানুষের কাছে সবচেয়ে সহজলভ্য বস্তুতে পরিণত হয়েছে ইন্টারনেট। প্রযুক্তিকে স্বাচ্ছন্দ্যে নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে কেউ কেউ আবার নিজের অজান্তেই প্রযুক্তির দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। আর এভাবেই অপরাধের ডিজিটাল মাত্রা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। যার একটি হলো সাইবার অপরাধ। ফলশ্রুতিতে এই সাইবার জগতে বিভিন্নভাবে প্রতারনা, বুলিং, আপত্তিকর, অশালীন অনেক ঘটনামুলক অপরাধের শিকার হচ্ছেন বর্তমান সমাজের নাগরিকগণ। এর ব্যপকতা ও ভয়াভহতা উপলব্ধি করে খাগড়াছড়ি জেলায় যোগদানের পর থেকেই জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মুক্তাধর পিপিএম (বার) সাইবার ক্রাইম এবং ভার্চুয়াল জগতে বিভিন্ন অনিয়মের প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন। এই সকল হুমকি মোকাবিলায় পুলিশ সুপার মহোদয় জেলা পুলিশে বিশেষ সাইবার ক্রাইম ইউনিট প্রতিষ্ঠা করেছেন।