বিএম.বাশারঃ-খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার জনাব মুক্তা ধর, পিপিএম (বার) অত্র জেলায় যোগদানের পর থেকে জেলার অভ্যন্তরীণ আইন শৃংঙ্খলা পরিস্থিতি অক্ষুন্ন রাখতে মাদক, চোরাচালানের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষনা করেছেন। এই নীতি বাস্তবায়নে জেলা পুলিশের প্রতিটি ইউনিট সর্বোচ্চ কাজ করে যাচ্ছে।
২ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১২ টার দিকে গুইমারা থানাধীন ২নং হাফছড়ির জালিয়াপাড়া টু মানিকছড়ি সড়কের সিকদার মোড় নামক স্থানে যাত্রী ছাউনির সামনে থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চেক পোস্ট স্থাপন করে বিভিন্ন গাড়ী তল্লাশী করে একটি মাইক্রোবাস চট্টমেট্রো-গ ১১-৮৪৩৮ থেকে ভারতীয় কোম্পানির ২০(বিশ) প্রকার ৩৩,৩৪৩ পিস ঔষুধ এবং গাড়িসহ ২জনকে আটক করেছে গুইমারা থানা পুলিশ।
আসামী ২জন হলেন, ১.মোহাম্মদ জাবেদ(২৪), পিতা- মোহাম্মদ সেলিম, সাং-উত্তর রাঙ্গামাটিয়া পৌরসভার ০১ নং ওয়ার্ড, থানা-ফটিকছড়ি, জেলা-চট্টগ্রাম এবং ২.কাজী মোঃ ইব্রাহিম রিদয়ান(২২), পিতা-মৃত কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম , সাং-দক্ষিণ রাঙ্গামাটিয়া পৌরসভা ০২নং ওয়ার্ড, থানা-ফটিকছড়ি , জেলা চট্টগ্রাম।
উল্লেখ্য যে, উদ্ধারকৃত ২০ প্রকারের ৩৩,৩৪৩ পিস ভারতীয় ঔষুধের সর্বমোট অনুমান মূল্য বাংলাদেশী টাকায় ১৫ লক্ষ টাকা। গ্রেফতারকৃত আসামীদের ব্যাপক পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, জব্দকৃত ঔষুধগুলো তারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিল। তাদের নিকট জব্দকৃত ঔষুধগুলোর বিষয়ে বৈধ কাগজপত্র দেখতে চাইলে তারা কোন কাগজপত্র কিংবা কোন সদুত্তর প্রদান করতে পারেনি। জব্দকৃত বিভিন্ন ধরনের ভারতীয় ঔষুধ উপস্থিত স্বাক্ষীদের সম্মুখে জব্দতালিকা মূলে জব্দ করা হয়েছে।
গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিব চন্দ্র কর জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক অত্র থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামীদেরকে যথাসময়ে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হবে।