নাইক্ষ্যংছড়ি( বান্দরবান) প্রতিনিধি,
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সোনাইছড়ি ও ঘুমধুমের ৪ ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর।
এসময় ২ ইটভাটায় ৪ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া অন্য ২টি ইটভাটার মালিক-কর্মচারি পালিয়ে যাওয়ার এদের বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। বৃহস্পতিবার ৯ নভেম্বর
সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দিনব্যাপী এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। উপজেলার সোনাইছড়ি ও ঘুমধুম ইউনিয়নের অবৈধভাবে গড়ে উঠা বেশ কয়েকটি ইটভাটা নতুনভাবে কাজ শুরু করে মালিক পক্ষ।
খবর পেয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা প্রশাসন ও বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তর যৌথ ভাবে
অভিযানে নামে।
এছাড়া গত মাসে ও একাধিক অভিযান চালান উপজেলা প্রশাসন । উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোমেন শর্মার নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় ভ্রাম্যমান আদালত সোনাইছড়ি ইউনিয়নের এ এস, বি, ইট ভাটা ও ঘুমধুম ইউনিয়নের আমতলী বি এস বি ইটভাটায় ৪ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
বাকী ২টি ইটভাটা এ এফ ডি ইট ও সাহাব উদ্দিনের ইট ভাটায় অভিযান পরিচালনা করার জন্য গেলেও তারা পালিয়ে যাওয়া কাউকেই ঘটনাস্থলে পাননি অভিযানিক দলটি। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট রোমেন শর্মা বলেন, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বেআইনিভাবে গড়ে উঠা প্রতিটি ইট ভাটার বিরুদ্ধে ধারাবাহিক অভিযান চলমান থাকবে। এছাড়াও পাহাড় কাটা ও বালু উত্তোলনে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসন কঠোরভাবে আইনি পদক্ষেপও গ্রহন করবেন বলে ও জানান।
তিনি আরো বলেন, পাহাড় কাটা ও নিষিদ্ধ এলাকায় ইট ভাটা গড়ে তোলার কারণে এ এফ ডি ইট ভাটা এবং সাহাব উদ্দিন ইট ভাটার বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে নিয়মিত মামলা রুজু করা হবে।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ ফখর উদ্দিন,নাইক্ষ্যংছড়ি থানার সহকারি উপ-পুলিশ পরিদর্শক শাহ আলমসহ আনসার সদস্যবৃন্দ।