• সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫৬ পূর্বাহ্ন

নাইক্ষ্যংছড়ি, উখিয়ায় ফাঁদ পেতে অবাধে বক শিকার

অনলাইন ভার্সন
অনলাইন ভার্সন
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৩

মোহাম্মদ ইউনুছ প্রতিনিধি, নাইক্ষ্যছড়ি (বান্দরবান)-

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমের পাশ্ববর্তী মাছকারিয়া বিলের ধানিজমি থেকে বক দিয়ে ফাঁদ পেতে বুনো বক শিকার করছেন একশ্রেণির কৌশলী শিকারি। পরে এসব বক প্রকাশ্যে বিক্রি করছেন বিভিন্ন হাট বাজারে। যা প্রচলিত আইনে পাখি শিকার দণ্ডনীয় অপরাধ জেনেও থেমে নেই শিকারিরা। দৃশ্যটি চোখে পড়েছে। উখিয়ার ঐতিহ্যবাহী মাছকারিয়া বিল সহ অনেক স্থানে, বক শিকারিদের আনাগোনা চোখে পড়ে বেশি।

সুত্রে জানান গতকাল বুধবার (২৫ অক্টোবর) ২০ জনের অধিক বক শিকার করতে দেখা যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় অনেকে বলেন,

মাছকারিয়া বিলের আশেপাশে বসবাসরত অনেকেই ফাঁদ পেতে বক দিয়ে বক শিকার করেন। তাঁরা প্রতিদিন প্রায় ৪শ থেতে ৫শ টির বেশি বক শিকার করেন। এ ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন মাঠে একাধিক ব্যক্তি নির্বিঘ্নে বক শিকার করছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

স্থানীয় ব্যক্তি কামাল উদ্দিন বলেন, শিকারিরা বক ধরার জন্য একপ্রকার ফাঁদ পাতেন। বাঁশের ছোট বানা বৃত্তাকার করে মাটিতে পুঁতে দেন। এর ওপরের অংশ কলা ও খেজুরের পাতায় ঢেকে দিয়ে পোষা বকগুলো ফাঁদের ওপর বেঁধে রাখেন। পরে তা জলাশয়ের পাশে ও ধানের জমিতে স্থাপন করে ভেতরে লুকিয়ে থাকেন শিকারিরা। পোষা বকের ডাক শুনে বুনো বক আসে। তখন তাঁরা কলাপাতার ফাঁকে হাত ঢুকিয়ে বুনো বক ধরেন।কামাল উদ্দিন আরও বলেন, অক্টোবর মাস থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত শিকারিরা বক শিকার করেন। প্রতি জোড়া বক ৫০০ টাকায় বিক্রি করেন উপজেলার বিভিন্ন বাজারে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিকল্পিত উখিয়া চাইয়ের আহবায়ক সাংবাদিক নুর সিকদার বলেন, বক ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ খেয়ে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। তা জেনেও অনেক শিকারি জলাশয় ও ধানের জমি থেকে বক শিকার করে বিক্রি করছেন, যা মোটেও কাম্য নয়।

উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলম জানান, গত বছর শিকারীর হাত থেকে বক উদ্ধার করে অবমুক্ত করা হয়েছে। অনেককে আমরা শাস্তি’র আওতায় এনেছি।

বক শিকার আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ