পাহাড়ি কন্যা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার পাহাড়ে আগাম শীত কালীন সবজি ও ফল চাষে আলোর মুখ দেখছে কৃষক,সরকারি প্রণোদনা বা সহায়তা ছাড়াই নিজ উদ্যাগে ভিবিন্ন ফল ও সবজির বাগান করেছেন পাহাড়ের চুড়ায় বা ঢালুতে।
বর্তমান সময়ে পাহাড়ে জুম চাষের পাশাপাশি, অনাবাদি জমিতে উৎপাদিত সবজির এখন এলাকার চাহিদা পূরণ করে যাচ্ছে বিভিন্ন জেলায়, সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার, সোনাইছড়ি ইউনিয়নের বিভিন্ন পাহাড়কে সবজি চাষে উপযুক্ত মনে করে কৃষকরা, বেঁচে নিয়েছে পার্বত্য পাহাড় গুলো। বর্তমানে অনাবাদি জমিতে চাষাবাদ কম হওয়ায় সকল সবজির চাহিদা অনুযায়ী দাম অনেক বেশি। তাই কৃষকরা সেখানে চাষকৃত মাল্টা,আম,পেপে,পেয়ারা, কমলা, লেবু,বেগুন,কাঁচা মরিচ,লাউ সহ নানান জাতের সবজি চাষে লাভের মুখ দেখছে। কৃষক নুরুল আলম, মং চাই মারমা, আবু তাহেরসহ অনেক কৃষক এই প্রতিবেদক কে জানান। পাহাড়ে সবজি চাষ অনেকটা নিরাপদ যেমন পানিতে তলিয়ে যাওয়ার ভয় নেই তেমনই সার বা কীটনাশক ব্যবহার করতে হয় না। এসব সবজি- ফল চাষে একদিকে সাবলম্বি অন্য দিকে দূর্যোগ মোকাবিলায় সবজির চাহিদা পুরনে সহায়ক ভূমিকা রাখছে তারা। তাদের দাবি সরকারি প্রণোদনা বা সহায়তা পেলে পাহাড়ে উৎপাদন আরো বৃদ্ধি করা সম্ভব। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এনামুল হক জানান নাইক্ষ্যংছড়ির সোনাইছড়ি সহ বিভিন্ন পাহাড়ে প্রায় শত একর জমিতে এখন সবজি চাষ হচ্ছে। এতে কৃষকদের পাশাপাশি আমরাও লাভবান হচ্ছি,তাদের উৎপাদনে এলাকায় সবজির চাহিদা মিটিয়ে নাইক্ষ্যংছড়ির সবজি এখন বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে। তিনি পাহাড়ের পাশাপাশি প্রতিটি বাড়ির আঙ্গিনায় এসব সবজি চাষে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।