• সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০২ পূর্বাহ্ন

কুমিল্লা বারে দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্ম বার্ষিকী পালিত

অনলাইন ভার্সন
অনলাইন ভার্সন
আপডেটঃ : বুধবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৩

তাপস চন্দ্র সরকার,

 

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা, স্বাধীন বাংলাদেশে ’৭৫ পরবর্তী সময়ে ইতিহাসের সবচেয়ে সফল রাষ্ট্রনায়ক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্ম বার্ষিকী পালিত হয়। বুধবার (৪ অক্টোবর ২০২৩) দুপুরবেলা কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির ভবনের চতুর্থ তলায় লাইব্রেরীতে জেলা আইনজীবী সমিতির উদ্যোগে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় নেত্রীর জন্ম বার্ষিকী পালিত হয়। তদুপলক্ষে কেক কাটা, আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- কুমিল্লা জেলা পিপি এডভোকেট মোঃ জহিরুল ইসলাম সেলিম, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ কুমিল্লা জেলা শাখার আহবায়ক এডভোকেট ইউনুছ ভূঁইয়া, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ আবু তাহের, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ কুমিল্লা জেলা শাখার সদস্য সচিব এডভোকেট মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান লিটন, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট মোঃ আবদুল মমিন ফেরদৌস ও সিনিয়র এডভোকেট মোঃ গোলাম ফারুকসহ সিনিয়র-জুনিয়র প্রায় শতাধিক আইনজীবী।
এ-সময় বক্তারা বলেন- বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা নব পর্যায়ের বাংলাদেশের ইতিহাসের নির্মাতা। হিমাদ্রী শিখর সফলতার মূর্ত-স্মারক, উন্নয়নের কাণ্ডারি। উন্নত সমৃদ্ধ ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার। বাঙালির আশা-আকাংখার একান্ত বিশস্ত ঠিকানা, বাঙালির বিজয়ের স্বপ্ন-সারথি। তারা বলেন- ১৯৭৫-এর ১৫ই আগস্ট কালরাতে ঘাতকের নির্মম বুলেটে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হন। এ-সময় বিদেশে থাকায় পরম করুণাময় আল্লাহর অশেষ রহমতে প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।
বাংলাদেশের ইতিহাসে শেখ হাসিনার প্রথমবারের (১৯৯৬-২০০১) শাসনকাল চিহ্নিত হয় ’৭৫ পরবর্তী সময়ের স্বর্ণযুগ হিসেবে। ২০০১ সালের ষড়যন্ত্র ও কারচুপির নির্বাচনের পর বিএনপি-জামাত অশুভ জোট ক্ষমতা গ্রহণ করে। এ সময় দমন-নিপীড়নের মাধ্যমে জোট সরকার সারাদেশে কায়েম করে ত্রাসের রাজত্ব। হত্যা করা হয় ২১ হাজার দলীয় নেতা-কর্মীকে। ২০০৪ সালের একুশে আগস্ট তদানীন্তন বিএনপি-জামাত জোটের সরকারি মদদে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে চালানো হয় পরিকল্পিত নারকীয় গ্রেনেড হামলা; যার প্রধান লক্ষ্য ছিল শেখ হাসিনাকে হত্যা করা। গুরুতরভাবে আহত হলেও পরম করুণাময়ের অশেষ রহমতে তিনি প্রাণে বেঁচে যান। তবে এই হামলায় আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানসহ ২২ জন নেতাকর্মী নিহত হন। চিরতরে পঙ্গুত্ব বরণ করেন অসংখ্য নেতা-কর্মী। জননেত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ও অমিত সম্ভবানার শক্তিশালী ভীত রচিত হওয়ায় জনপ্রিয়তার অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যান শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে সকল প্রতিবন্ধকতা সমস্যা-সংকট ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়।
২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে জ্ঞানভিত্তিক উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে গেড়ে তোলার প্রত্যয় নিয়ে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বির্নিমাণে জননেত্রী শেখ হাসিনা ‘প্রেক্ষিত পরিকল্পনা তথা রূপকল্প-২০৪১’ ঘোষণা করেছেন এবং তা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে তাঁর নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার। জননেত্রী শেখ হাসিনার সফল রাষ্ট্রনায়কোচিত ভূমিকা আজ বিশ্বসভায় প্রশংসিত। মেধা-মনন, সততা, কঠোর পরিশ্রম, সাহস, ধৈর্য্য, দেশপ্রেম ও ত্যাগের আদর্শে গড়ে উঠেছে তাঁর আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ