“দৃষ্টি আকর্ষণ”

বিশেষ প্রতিনিধি,

বিভিন্ন কোম্পানির নকল বৈদ্যুতিক তার উৎপাদনকারী ও বাজারজাতকারী কে এই মানিক শিরোনামে গত ৪ সেপ্টেম্বর ২৩ ইং ও ১৯ শে সেপ্টেম্বর ২৩ইং তারিখে জাতীয় দৈনিক বর্তমান কথা পত্রিকার অনলাইন ও প্রিন্ট ভার্সনে দুইটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।প্রতিবেদন দুইটি প্রকাশিত হওয়ার পর বিভিন্ন কোম্পানির নকল বৈদ্যুতিক তার উৎপাদন ও বাজারজাতকারী মানিক আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেন। তিনি বলেন টাকা থাকলে আইন থাকে পকেটে! আর আমার কাছে টাকা আছে যেই কোন ঝামেলা আমি টাকা দিয়ে মিটমাট করার সেই লাইন ঘাট ও যোগ্যতা আমার আছে। নবাবপুর আল নুর ইলেকট্রিক মার্কেটের ব্যবসায়ীদের বলে বেড়ান এই সব সংবাদ প্রকাশ করে আমার কিছুই করতে পারবে না আমি নবাবপুরের সকল রাজনৈতিক নেতা ও এলাকার বড় ভাইদের আশীর্বাদ নিয়ে বিভিন্ন কোম্পানির নকল বৈদ্যুতিক তার উৎপাদনের ব্যবসা করে আসছি আর টাকা থাকলে আইন থাকে পকেটে সুতরাং এই সব নিয়ে আমি মোটেও চিন্তিত নই।মানিকের এই অহংকার মূলক বক্তব্যে আল নুর ইলেকট্রিক মার্কেটের কয়েকজন বৈদ্যুতিক তার ব্যবসায়ী আক্ষেপ করে বলেন মানিকের ক্ষমতার খুটির জোর কোথায় তা খুঁজে বের করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানান?
রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী নবাবপুর রোডে (হক্কার গলি) আল নুর ইলেকট্রিক মার্কেট এর ফারান ইলেকট্রিক এর মালিক জনৈক মানিক দীর্ঘদিন থেকে দেশের স্বনামধন্য বিভিন্ন বৈদ্যুতিক তার উৎপাদনকারী কোম্পানির নকল তার উৎপাদন করে বাজারজাত করে আসছেন তার নিজস্ব প্রতিষ্ঠান ফারহান ইলেকট্রিক এর মাধ্যমে।আর এই সকল নকল বৈদ্যুতিক তার ক্রয় করে প্রতারিত হচ্ছে ভোক্তা।বিভিন্ন স্বনামধন্য কোম্পানির নকল বৈদ্যুতিক তার উৎপাদন ও বাজারজাত করার মাধ্যমে তিনি আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে গেছেন গড়েছেন রাজধানী ঢাকায় কয়েকটি বাড়ি ও নামে বেনামে অঢেল সম্পদ।অনুসন্ধানে জানা যায় ফারহান ইলেকট্রিকের মালিক জনৈক মানিক এর রয়েছে নকল বৈদ্যুতিক তার উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের জন্য একটি সঙ্ঘবদ্ধ সিন্ডিকেট এই সিন্ডিকেটের সদস্যদের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় এই সকল নকল বৈদ্যুতিক তার সরবরাহ করে হাতিয়ে নিচ্ছেন কোটি কোটি টাকা।অনুসন্ধাকালে নবাব পুর আল নুর ইলেকট্রিক মার্কেটের কয়েকজন বৈদ্যুতিক তার ব্যবসায়ীদের সাথে গ্রাহক সেজে কথা বলে জানা যায় আসল বিআরবি ক্যাবলস,প্যারাডাইস ক্যাবলস,পলি ক্যাবলস,পারটেক্স ক্যাবলস সহ নামিদামি সকল কোম্পানির বৈদ্যুতিক এক কয়েল তার এর বাজার দামের সাথে নকল বৈদ্যুতিক এক কয়েল তার এর দামের ব্যবধান তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত।আল নুর ইলেকট্রিক মার্কেটের একজন বৈদ্যুতিক তার ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন আমাদের আল নুর ইলেকট্রিক মার্কেটে বিভিন্ন কোম্পানির নকল বৈদ্যুতিক তার উৎপাদন ও সরবরাহ করার জন্য ফারান ইলেকট্রিকের মালিক মানিক ভাই এর একটা সিন্ডিকেট রয়েছে আমরা সেই সিন্ডিকেট সদস্যদের থেকে সেই সব নকল বৈদ্যুতিক তার নিয়ে বিক্রয় করে থাকি এতে লাভ ভালো হয়। বিভিন্ন নামিদামি কোম্পানির নকল বৈদ্যুতিক তার উৎপাদন ও সরবরাহ করার বিষয়ে কয়েকজন বৈদ্যুতিক বিশেষজ্ঞ এর সাথে কথা বলে জানা যায় এই সকাল নকল বৈদ্যুতিক তার ব্যবহার করার কারণে সারা দেশে অহরহ ঘটছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের মতো দুর্ঘটনা আর এই সকল দুর্ঘটনার কারণে বহু মানুষের জীবন প্রদীপ নিভে যাচ্ছে এবং অনেকেই সারাজীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে যাচ্ছে তাই এই সকল নকল বৈদ্যুতিক তার উৎপাদনকারী ও সরবরাহকারীদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান। বিভিন্ন কোম্পানির নকল বৈদ্যুতিক তার উৎপাদন ও বাজারজাত করার বিষয়ে জানতে ফারান ইলেকট্রিকের মালিক জনৈক মানিকের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন সাংবাদিক ভাই দেশে আরো কত বড় বড় দুর্নীতি হচ্ছে আপনি সেদিকে খোঁজ রাখেন না আমি ছোট মানুষ আমার পিছনে লেগে আপনার কি লাভ? তিনি আরও বলেন নবাবপুরে শুধু আমি একা না আরো অনেকেই বিভিন্ন কোম্পানির নকল তার উৎপাদন করে বাজারজাত করছে।এই প্রতিবেদক প্রশ্ন রাখেন কোম্পানির নকল তার উৎপাদন করে বাজারজাত করছেন তা কি বৈধ না অবৈধ এই প্রশ্নের কোন উত্তর না দিয়ে তিনি উত্তেজিত হয়ে বলেন আপনার যা খুশি তাই লেখেন লিখে আমার কিছু করতে পারবেন না আমি সবাইকে ম্যানেজ করে চলি।
(অনুসন্ধান অব্যাহত)