• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৮:৩১ অপরাহ্ন

উপর থেকে নিচ পর্যন্ত সবাইকে ম্যানেজ করেই নকল এসি বাজারজাত করছিঃ আবুল

অনলাইন ভার্সন
অনলাইন ভার্সন
আপডেটঃ : রবিবার, ৫ মে, ২০২৪

বিশেষ প্রতিনিধিঃ 

সারাদেশে নকল এসি সরবরাহকারী আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর তিনি বলেন আমার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশিত করার পরে আমার ব্যবসা আরও জমজমাট।আর আমি উপর থেকে নিচ পর্যন্ত সবাইকে ম্যানেজ করেই এসি বাজার নামক প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার জোনাব আলী কাছতে চায়না থেকে আমদানিকৃত সাদা কোম্পানির নাম বিহীন নকল এসি বাজারজাত করে আসছি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সহ কেউ আমাকে কিছুই করতে পারবে না কারণ আমি সবাইকে দিয়ে থুইয়ে খাই!

দেশের একশ্রেণীর ইলেকট্রনিক্স পণ্য আমদানি কারকদের মধ্যে বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী কতিপয় অসাধু কাস্টমস ও ভ্যাট কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে সরকারের শতকোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে চায়না থেকে নিম্নমানের এয়ারকন্ডিশন (এসি) সম্পূর্ণ অলিখিত কোম্পানির নাম ও স্টিকার ছাড়া ইলেকট্রনিক্স পণ্য দীর্ঘ বছর থেকে আমদানি করে আসছে একটি অসাধু ব্যবসায়ী চক্র এদের মধ্যে অন্যতম এসি বাজার নামক প্রতিষ্ঠানের মালিক জোনাব আলী।চায়না থেকে আমদানিকৃত নিম্নমানের অলিখিত সাদা কোম্পানির নামবিহীন এয়ারকন্ডিশন গুলোতে নিজস্ব গোপন গোডাউনে নিয়ে জাপান কোরিয়া থাইল্যান্ড এর স্বনামধন্য কোম্পানিগুলোর স্টিকার লগো স্ক্যানিং করে এবং টন বৃদ্ধি করে প্রতিনিয়ত বাজারজাত করে নিজেদের ব্যক্তি স্বার্থসিদ্ধি করে আসছে,অসাধু ব্যবসায়ীদের স্বার্থসিদ্ধির কারণে প্রতারিত হচ্ছেন ভোক্তা।এই সকল নিম্নমানের নকল এয়ারকন্ডিশন পণ্য ব্যবহারের ফলে বিশেষ করে গরম এর সময় প্রতিনিয়ত আগুন লেগে প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটে চলেছে সারা দেশে যাহা দেখার কেউ নেই।

 

চলতি বছরের ১৫ই এপ্রিল সাভারের গেন্ডা এলাকায় এসি বিস্ফোরণে প্রাণ গেছে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রের।এবং ঢাকা শিশু হাসপাতালে এসি থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে এতে করে কর্তব্যরত চিকিৎসক নার্স ও রোগী স্বজনদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ।সারাদেশে এসি থেকে ২০২০ সালে ৩২টি,২০২১ সালে ৩৯টি,২০২২ সালে ৪৮টি,ও ২০২৩ সালে ৮৬টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে এতে অনেকেই হতাহত হয়েছেন।

 

অনুসন্ধানে জানাযায় নকল এসি বাজারজাতকারী আবুল হোসেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (পিজি হাসপাতাল) জামালপুর জেলা সদর জেনারেল হাসপাতাল ও অন্যান্য সরকারি হাসপাতাল-সহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান গুলোতে ঠিকাদার ও ইঞ্জিনিয়ারদের ম্যানেজ করে নকল এসি সরবরাহ করেছেন। এই সংঘবদ্ধ চক্রটি কথায় কথায় অহংকারের সাথে বলে দেশ এবং দেশের মানুষ নিয়ে ভাবনার সময় আমাদের নেই কারণ টাকা থাকলে আইন থাকে পকেটে।এই সকল নকল এয়ারকন্ডিশন বাজারজাতকারী আবুল হোসেন এর ১২/ডি এবিএম ইলেকট্রনিক্স শোরুমের আড়ালে চলে চায়না থেকে আমদানি করা সাদা এয়ারকন্ডিশনের গায়ে বিভিন্ন ধরনের নামী দামী ব্রান্ডের স্টিকার লাগিয়ে সরবরাহের কাজ।এবং মূল হোতা আবুল হোসেন দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ পত্রিকার সহকারী সম্পাদকের কার্ড ব্যবহার করে এই সকল অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড দীর্ঘদিন থেকে করে আসছেন তার এই সকল অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের পিছন থেকে সকল বিষয়ে পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছেন আবুল হোসেনেরই সম্পাদক।

 

অনুসন্ধানে আরও জানা যায় এই সংঘবদ্ধ চক্রটি পরিকল্পনা মাফিক সরকারি বেসরকারি হাসপাতাল সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোর ঠিকাদার ও ইঞ্জিনিয়ারদের ম্যানেজ করে এই সকল নকল এয়ারকন্ডিশন সরবরাহ করে আসছে। চায়না থেকে আমদানিকৃত সাদা নকল এসি’র বিষয়ে বায়তুল মোকাররম ও স্টেডিয়াম এলাকার বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীর সাথে আলাপ করলে নাম প্রকাশ না করা শর্তে তারা বলেন চায়না থেকে আমদানিকৃত কোম্পানির নাম বিহীন সাদা নিম্নমানের এই সকল এসি বাজার থেকে তুলে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি এবং যারা চায়না থেকে সাদা কোম্পানির নাম বিহীন এই সকল নিম্নমানের এসি আমদানি করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে দাবি জানান।নকল এসি এই সকল নকল এয়ারকন্ডিশনের কারণে সারাদেশে বহু অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে চলছে।এই সঙ্গবদ্ধ চক্রের অন্যতম মোঃ আবুল হোসেন দীর্ঘদিন আবু বক্কর এর এয়ারকন্ডিশন দোকানে সেলসম্যান হিসাবে চাকরি করার সুবাদে সারা বাংলাদেশের নকল এয়ারকন্ডিশন ক্রেতা বিক্রেতা গংদের সাথে পরিচয় ঘটে।এই পরিচিতিকে পুঁজি করে সূচতুর আবুল হোসেন চাকরি ছেড়ে দিয়ে বায়তুল মোকারম মসজিদ মার্কেটে অফিস নিয়ে সারা বাংলাদেশে নকল এয়ারকন্ডিশন সরবরাহ করে আসছে।

 

অনুসন্ধানে আরো জানা যায় সুচতুর আবুল হোসেন নিজের নকল এয়ারকন্ডিশন ব্যবসা বাজারজাত করার জন্য একটি দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ নামক পত্রিকার সহকারী সম্পাদকের পরিচয় দেওয়া অব্যাহত রেখেছেন।অনুসন্ধানে আরো জানা যায় সুচতুর আবুল হোসেনের নকল বাজি ছাড়া স্কুল-কলেজের কোন শিক্ষা সনদ নেই তারপরেও তিনি কিভাবে একটি দৈনিক পত্রিকার সহকারী সম্পাদকের পদবী ব্যবহার করছেন তাহা বোধগম্য নয়।রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ সাংবাদিকতা সেখানে সূচতুর আবুল হোসেন এর মতো একজন এসি নকলবাজ স্বশিক্ষিত ব্যক্তি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সহকারী সম্পাদকের পদ পদবী ব্যবহার করছেন যাহা সাংবাদিকতা পেশার সাথে সাংঘর্ষিক বলে মনে করেন সাংবাদিকরা এবং এই বিষয় নিয়ে তারা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় তথ্য প্রতিমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।এই সকল নকল এসি সারাদেশে সরবরাহ করার বিষয় মোঃ আবুল হোসেন এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন আমি কোন এয়ারকন্ডিশন আমদানি করি না,আমি কোন আমদানিকারক নই আমি এই চায়না থেকে আমদানিকৃত অলিখিত কোম্পানির নাম বিহীন এসি গুলো এসি বাজার নামক প্রতিষ্ঠান থেকে সংগ্রহ করে বাজারজাত করে আসছি দীর্ঘদিন থেকে।

 

পরবর্তীতে এসি বাজার এর মালিক জোনাব আলীর ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে প্রতিষ্ঠান থেকে জানানো হয় আমাদের মালিক জোনাব আলী স্যার এর মোবাইল নাম্বার দেওয়া নিষেধ আছে।এয়ারকন্ডিশন নকলবাজ ও বাজারজাতকারি অভিযুক্ত আবুল হোসেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ফাঁকি দেওয়ার জন্য দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ পত্রিকার সহকারী সম্পাদক এর কার্ড ব্যবহার করছেন।গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ অপরাধী দুর্নীতিবাজ যেই হোক তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।এহেন অপরাধী দুর্নীতিবাজ দেশ ও জাতির শত্রু।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ নকলবাজ আবুল হোসেনের সরবরাহ করা সারাদেশে নিম্নমানের এসি স্থাপন করা সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়
অনুসন্ধান চলমান,,,


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ