• শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে অনলাইন ক‍্যাসিনোর মাধ‍্যমে কালের প্রতিচ্ছবি সম্পাদকের বাড়িতে হামলা, ভাংচুর বিভাগের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টাকে নোয়াখালীবাসীর খোলা চিঠি খাগড়াছড়িতে আর্ন এন্ড লিভ’ এর সহায়তায় শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরন সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় মাদক চোরা কারবারি টাকা ছিনতাই বাড়িঘর লুটপাট সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন সহ বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ উঠেছে সিলেট জেলা যুবদলের সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক সন্ত্রাসী আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে গুইমারায় বাঁশরী ওয়াদুদ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে ভয়াবহ আগুন জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠন করবে অন্তর্বর্তীকালীন কার মেট্রোরেলের কার্ডসংকট: একক যাত্রায় চালু হচ্ছে কাগজের টিকিট

ঝুঁকি থাকলেও সাঁকোই একমাত্র ভরসা মানুষের পারাপারে

অনলাইন ভার্সন
অনলাইন ভার্সন
আপডেটঃ : শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

তাপস চন্দ্র সরকার,

কুমিল্লার তিতাস উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের নয়াকান্দি-বাটিবন ও সোনাকান্দা গ্রামের মানুষের পারাপারের এক মাত্র ভরসা হলো বাঁশের সাঁকোটি।জানা যায়- উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের নায়াকান্দি-বাটিবন ও সোনাকান্দা সড়কের খালের ওপর নির্মিত অনেক পুরনো ব্রিজটি ১৯৮৮ সালের বন্যায় ভেঙে যায়। এরপর থেকেই মানুষের কাছ থেকে টাকা তোলে ওই ভেঙে যাওয়া ব্রিজের মাঝ খানের পিলারের ওপর বাঁশ বসিয়ে একটি সাঁকো নির্মাণ করে চলাচল করছে মানুষজন।
নয়াকান্দি- বাটিবন ও সোনাকান্দা সড়কের খালের ওপর ব্রীজ না থাকায় একটি ব্রিজের অভাবে বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়েই কয়েক গ্রামের মানুষ চলাচল করতে হয়। তাদের একমাত্র ভরসা হলো এই বাঁশের সাঁকোটি। এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়- উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের নয়াকান্দি-বাটিবন ও সোনাকান্দা সড়কের খালের ওপর একটি ব্রিজের অভাবে জনদুর্ভোগের মধ্যে দিয়ে প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে চলাচল করছে প্রায় ৭-৮টি গ্রামের মানুষ।স্থানীয়দের দাবি নয়াকান্দি, বাটিবন ও সোনাকান্দা সড়কের খালের ওপর একটি ব্রীজের অভাবে ৭-৮ টি গ্রামের মানুষ প্রতিদিনই চরম ভোগান্তির মধ্যে দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে সাঁকোর ওপর দিয়ে চলাচল করতে হয়।নারান্দিয়া ইউনিয়নের নয়াকান্দি গ্রামের আবদুল মতিন(৬০) বলেন- ৮৮’র বন্যার সময় ব্রিজটি ভেঙে গেছে আর হইতাছে না, এই ব্রিজডা নিয়া আমরা অনেক কষ্ট ভোগ করতাছি। আমরা নিজেরা গ্রামের মানুষের কাছ থেকে টেকা টুকা তুইলা বাঁশ-টাস দিয়া ইটাতে একটু সহযোগিতা করি। ৭- ৮ গ্রামের মানুষ এই বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে যাতায়াত করে। স্থানীয় প্রতিনিধিরা কী কোন সহযোগিতা করে না, তার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান- ভোট আইলে ভোট নিয়া যায় ব্রিজ কইরা দিবো বইলা কিন্তু নির্বাচনে পাশ করার পর আর কোন খবর থাকে না। একই গ্রামের মো.আলী মিয়া (৬২) বলেন- এডার সম্বন্ধে কী বলতাম আমরা তো স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছেও গেছি। তারা কোন গুরুত্ব দেয় না এজন্য কাজটা হয় না। আমরা দশের কাছ থেকে টাকা তুইলা বাঁশের সাঁকোটি দিয়েছি; এখন মানুষ আসা-যাওয়া করতে পারে। সোনাকান্দা গ্রামের আবুল কাসেম মোল্লা (৭০) বলেন- খালি মাপজোপ নিতাছে আর কইতাছে ব্রিজ হইবো ব্রিজ হইবো! বইলা যায় কিন্তু ব্রিজ তো আর হয় না। এখানে একটা ব্রিজ হলে আমদের অনেক উপকার হইতো। একটা ব্রিজ করে দিলে এলাকার মানুষ যাতায়াত করতে আর কোন অসুবিধা হতো না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ