• রবিবার, ০১ অক্টোবর ২০২৩, ১১:০৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
গুইমারা উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত সরকারি নির্দেশনা থাকলেও কাজিপুরে বেশ কয়েকটি বিদ্যালয়ে পালিত হয়নি ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) কাজিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জননেত্রী শেখ হাসিনার ৭৭ তম জন্মদিন পালিত ঢাকা-৫ আসনে আলহাজ্ব কামরুল হাসান রিপনের নেতৃত্বে উন্নয়ন শোভাযাত্রা তামিমকে তিন/চারে ব্যাট করতে বলা বিসিবি কর্তার নাম জানা গেল যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞার কোনো যৌক্তিকতা নেই: প্রধানমন্ত্রী মাটিরাঙ্গায় বিদেশি মদ-ভারতীয় সিগারেট জব্দ শ্রীপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন পালিত প্রশ্ন ক্ষুব্ধ পরীমণির ‘মেয়েদের গায়ে হাত দেয় কীভাবে’ রামেক হাসপাতালের সামনের রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে দোকানপাট-পথচারীদের ভোগান্তি!

ঝুঁকি থাকলেও সাঁকোই একমাত্র ভরসা মানুষের পারাপারে

অনলাইন ভার্সন
অনলাইন ভার্সন
আপডেটঃ : শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

তাপস চন্দ্র সরকার,

কুমিল্লার তিতাস উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের নয়াকান্দি-বাটিবন ও সোনাকান্দা গ্রামের মানুষের পারাপারের এক মাত্র ভরসা হলো বাঁশের সাঁকোটি।জানা যায়- উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের নায়াকান্দি-বাটিবন ও সোনাকান্দা সড়কের খালের ওপর নির্মিত অনেক পুরনো ব্রিজটি ১৯৮৮ সালের বন্যায় ভেঙে যায়। এরপর থেকেই মানুষের কাছ থেকে টাকা তোলে ওই ভেঙে যাওয়া ব্রিজের মাঝ খানের পিলারের ওপর বাঁশ বসিয়ে একটি সাঁকো নির্মাণ করে চলাচল করছে মানুষজন।
নয়াকান্দি- বাটিবন ও সোনাকান্দা সড়কের খালের ওপর ব্রীজ না থাকায় একটি ব্রিজের অভাবে বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়েই কয়েক গ্রামের মানুষ চলাচল করতে হয়। তাদের একমাত্র ভরসা হলো এই বাঁশের সাঁকোটি। এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়- উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের নয়াকান্দি-বাটিবন ও সোনাকান্দা সড়কের খালের ওপর একটি ব্রিজের অভাবে জনদুর্ভোগের মধ্যে দিয়ে প্রতিদিনই ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে চলাচল করছে প্রায় ৭-৮টি গ্রামের মানুষ।স্থানীয়দের দাবি নয়াকান্দি, বাটিবন ও সোনাকান্দা সড়কের খালের ওপর একটি ব্রীজের অভাবে ৭-৮ টি গ্রামের মানুষ প্রতিদিনই চরম ভোগান্তির মধ্যে দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে সাঁকোর ওপর দিয়ে চলাচল করতে হয়।নারান্দিয়া ইউনিয়নের নয়াকান্দি গ্রামের আবদুল মতিন(৬০) বলেন- ৮৮’র বন্যার সময় ব্রিজটি ভেঙে গেছে আর হইতাছে না, এই ব্রিজডা নিয়া আমরা অনেক কষ্ট ভোগ করতাছি। আমরা নিজেরা গ্রামের মানুষের কাছ থেকে টেকা টুকা তুইলা বাঁশ-টাস দিয়া ইটাতে একটু সহযোগিতা করি। ৭- ৮ গ্রামের মানুষ এই বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে যাতায়াত করে। স্থানীয় প্রতিনিধিরা কী কোন সহযোগিতা করে না, তার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান- ভোট আইলে ভোট নিয়া যায় ব্রিজ কইরা দিবো বইলা কিন্তু নির্বাচনে পাশ করার পর আর কোন খবর থাকে না। একই গ্রামের মো.আলী মিয়া (৬২) বলেন- এডার সম্বন্ধে কী বলতাম আমরা তো স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছেও গেছি। তারা কোন গুরুত্ব দেয় না এজন্য কাজটা হয় না। আমরা দশের কাছ থেকে টাকা তুইলা বাঁশের সাঁকোটি দিয়েছি; এখন মানুষ আসা-যাওয়া করতে পারে। সোনাকান্দা গ্রামের আবুল কাসেম মোল্লা (৭০) বলেন- খালি মাপজোপ নিতাছে আর কইতাছে ব্রিজ হইবো ব্রিজ হইবো! বইলা যায় কিন্তু ব্রিজ তো আর হয় না। এখানে একটা ব্রিজ হলে আমদের অনেক উপকার হইতো। একটা ব্রিজ করে দিলে এলাকার মানুষ যাতায়াত করতে আর কোন অসুবিধা হতো না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ