গত ৫ই আগষ্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে নতুন ভাবে দেশ স্বাধীন হলেও ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসরা পালিয়ে কিংবা দেশত্যাগ করলেও তাদের অনেকেই পোশাক পরিবর্তন করে বিএনপির সহযোগী অঙ্গ সংগঠনে যোগ দিয়ে বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছেন নতুন পদ পাওয়া ব্যক্তিরা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির পক্ষ থেকে সকল প্রকার অপরাধ মূলক কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার কথা বলা হলেও তা মানছেন না অনেকেই।
জানা যায়,গোয়াইঘাট উপজেলার চিহ্নিত সন্ত্রাসী মাদক ও চোরাকারবারিতে লিপ্ত আবুল কাশেম বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক পরিচয় বহন করে এলাকায় চাঁদাবাজি,ছিনতাই,স্থানীয় দের নির্যাতন সহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে লিপ্ত রয়েছে এই বাহিনী। তার বাহিনী দিয়ে ঐ এলাকায় একক রাজত্ব করেন তিনি।
আবুল কাশেম সিলেট জেলা জাতিয়তাবাদী যুবদলের নবগঠিত কমিটির সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক পদে স্থান পাওয়ার পর থেকে এলাকায় বেপরোয়া ভাবে চলাচল করেন, এলাকাবাসী জানান তার এ সকল কর্মকাণ্ডে সহযোগী হিসাবে কাজ করেন স্থানীয় আরেক চিন্হিত সন্ত্রাসী কাশেমের ঘনিষ্ঠ সহচর শাহেদ আহমেদ লিটন ( বাবলা ), গং মিলে গোয়াইনঘাট উপজেলা জুরে মাদক চোরাকারবারি সহ বিভিন্ন প্রকার অপরাধ মূলক কার্যকলাপ পরিচালনা করেন প্রশাসনের নাকের ডগায়।
গত ৬ই নভেম্বর সিলেট ব্যাটালিয়ন ৪৮ বিজিবির অভিযানে প্রতাপপুর বিওপির অন্তর্ভুক্ত রাধানগর এলাকা হতে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় ভারতীয় চোরাই পন্যের চালান আটক করা হয়। চালানের বাজারমূল্য প্রায় ৮ কোটি টাকার ও বেশী। বিভিন্ন মিডিয়ায় ভারতীয় চোরাই পন্যের নেপথ্যে যে দুইজনের নাম প্রকাশিত হয়েছিলো তার মধ্য অন্যতম জেলা যুবদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাশেম ও জাফলং শান্তিনগর এলাকার জয়দুল হোসেন অন্যতম।
এ ছাড়াও গত ২৪ শে অক্টোবর ভারতীয় চোরাই চিনি পাচারের সময় জৈন্তাপুর বিওপির সদস্যদের হাতে আটক হওয়া চিনিভর্তি একটি ট্রাক ( ঢাকা মেট্রো -ট- ২৪-০৬৭৫) যার মালিক আবুল কাশেম নিজে।
ভূক্তোভোগী ব্যবসায়ী সুফিয়ান আহমদ জানান, গত ১লা নভেম্বর তিনি ব্যবসায়ীক অংশিদার রুমেল ও জুবেরকে নিয়ে তাদের তামাবিলস্থ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। এ সময় ফিশারী ব্যবসার লিজের গৃহীত ২৫ লক্ষ টাকা তাদের সাথে গচ্ছিত ছিলো। পথিমধ্যে সারিঘাট এলাকায় তাদের পথরোধ করে আবুল কাশেম, শাহেদ আহমেদ ও লিটন (বাবলা ),সহ বেশ কিছু সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র লাঠি শোঠা দিয়ে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে সুফিয়ানের উপর হামলা চালায়ি তাদের সাথে থাকা টাকার ব্যাগটি ছিনিয়ে নেয়। পরে তাদের চিৎকারে এলাকা বাসী এসে তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করায়।
এ বিষয়ে ভূক্তোভোগী সুফিয়ান আহমদ জানান, মূলত আবুল কাশেমের এলাকায় ব্যবসা করার জন্যই তাদের সন্ত্রাসী গ্রুপের ক্ষোভ। বিভিন্নভাবে চাঁদা দাবি করেন তারা। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তারা এই হামলা চালায়। গত ১১ই নভেম্বর সিলেট সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ১ম ও দ্রুত বিচার আদালতে আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নের অপরাধে (দ্রুত বিচার) আইন ২০০২ ( সংশোধন -২০১৯) এর ৪/৫ ধারায় আবুল কাশেম, সাহেদ আহমেদ লিটন (বাবলা) সহ ১০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী সুফিয়ান আহম্মদ যা বিচারাধীন রয়েছে।