• রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:৩৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
“কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ” এখনো বহাল তবিয়াতে মতিঝিল অফিস পাড়ায় অবৈধ স্টাফ বাস স্ট্যান্ড (পর্ব-৪) “কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি” মতিঝিল দিলকুশায় মনি মুক্তা রিয়াদ সাইদুল গংদের প্রকাশ্য মাদক ব্যবসা হালিশহর থানার অভিযানে বিপুল পরিমান চোলাই মদ উদ্ধার আটক স্বামী-স্ত্রী খাগড়াছড়িতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল, তৃণমূল বিএনপি ও কংগ্রেসের স্থগিত শান্তি চুক্তির ২৬তম বর্ষপূর্তিতে নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবির র‍্যালি উপহার সামগ্রী শীতবস্ত্র বিতরণ “অর্থ মন্ত্রণালয় ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি” টাকা আর লবিং থাকলে আইন থাকে ভ্যানিটি ব্যাগে ডিজিএম সৈয়দ সালমা উসমান গুইমারা থানায় অভিযান চালিয়ে চোরাকারবারি আটক-২ খাগড়াছড়িতে নানা আয়োজনে পালিত হলো পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২৬ তম বর্ষপূর্তী গুইমারায় ৪টি ইটভাটায় দুই লাখ টাকা জরিমানা গুইমারা নাশকতার ঘটনায় বিএনপির ৬নেতাকর্মী আটক

লামা বনবিভাগের বমু সংরক্ষিত জমি নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে দলিল করেছেন মিজান মেম্বার

অনলাইন ভার্সন
অনলাইন ভার্সন
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৩

বমু সংরক্ষিত ফরেষ্ট ভূমি ৭০ লাখ টাকায় কিনেছেন বমুবিলছড়ি ইউনিয়নের ওয়ার্ড মেম্বার মিজান। বমু রিজার্ভের ভিলেজার কাশেম মাজির ছোট ভাই ছৈয়দ আলম ভিলেজার হিসেবে তারা সুদীর্ঘকাল ধরে রিজার্ভে বসবাস ও চাষবাস করে আসছে। মোট ছয় একর টিলাটক্করের পাশে ঝিরি নালায় আবাদ করে জীবন চলছে তাদের। দরিদ্র কৃষক ছৈয়দ আলমের ৬ জন মেয়ে ২ জন ছেলে। বিগত এক দশক ধরে ছৈয়দ আলম মেরুদন্ড ক্ষয়জনিত রোগে আক্রান্ত। চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে সে তার দখলীয় রিজার্ভ ভূমির চাষের জমি বন্দক দেয় দুবাই প্রবাসী নুরু হোসেনকে। কথা ছিলো ছৈয়দ নুর টাকা ফেরত দেয়ার পর নুর হোসেন জমি পূন:দখল দিয়ে দিবেন। ছৈয়দ নুরের ছেলেকে ফোন করে সম্প্রতি দুবাই থাকা অবস্থায় নুর হোসেন বলেছিলেন,’আমি দেশে এসে তোমাদের জায়গা জমি ফেরত দিব টাকা জোগাড় করে রাখ’। এই ছাড়া ইউপি চেয়ারম্যানের মোকাবেলায় বৈশাখ মাসে সব টাকা পরিষদ করার আল্টিমেটামও দেন। এছাড়া চেয়ারম্যানসহ মধ্যস্থতাকারীরা ভাদ্রমাসে টাকা পরিষদের সিদ্ধান্ত দেয়। এর পর পঙ্গু ছৈয়দের পরিবার ধার-কর্জের মাধ্যমে ১৩ লাখ টাকা জোগাড় করেন। চেয়ারম্যানের বারংবার তাগাদা দেয়ার এক পর্যায় গত ১৫ আগস্ট বমু ইউনিয়ন পরিষদে টাকা জমা করতে যায় ছৈয়দ আলমের স্ত্রী সন্তানেরা। কিন্তু সেখানে ইউপি পরিষদে নুর হোসেন হাজির হননি। ওই সময় উপস্থিত মিজান মেম্বার জানান, “টাকা ফেরত নেয়া যাবে না, কারন উক্ত জমি নুর হোসেন থেকে আমি কিনে নিয়েছি”। মিজান মেম্বার পরিষদের বৈঠকে জানান, সে নুর হোসেন থেকে নোটারী পাবলিক করে কিনে নিয়েছে সরকারি রিজার্ভ ভূমির জমি। স্থানীয়রা একাদিক্রমে জানান মিজান মেম্বারের নেতৃত্বে সেখানে রিজার্ভ ভূমিতে তামাক মৌসুমে চলে গর্জন বাগান কেটে লাকড়ির জোগান। স্থানীয়রা নয় শুধু, মিজান মেম্বারকে বমু বিট ফরেষ্ট এর লোকেরাও নাকি ভয় পায়(!)। জানতে চাইলে মিজান মেম্বার সাংবাদিকদের জানান, ” আমি ৭০ লাখ টাকা দিয়ে রিজার্ভের এই জায়গা কিনেছি। এখন সৈয়দ আলম প্রতারনা করে অ-স্বীকার করছেন। আমার কাছে নোটারী পাবলিকে করা দলিল আছে এবং ছৈয়দ এর বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় জিডি করেছি”। এসময় মেম্বার মিজান নোটারী পাবলিকে করা রিজার্ভ ভূমি কেনার ৪টি দলিলের ছায়া কপি দেয়। কিন্তু তার দাবিমতে নিজে ৭০ লাখ টাকা কেনার নোটারী পাবলিক দলিলটি দেখাতে পারেন নাই। এ সব বিষয়ে জানতে চাইলে কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এক ফরেস্টার জানান, বিষয়টি ফরেষ্টের নলেজে এসেছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ব্যপারটি বন বিভাগের উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ নজরে আনার দাবি করেছেন বমু রিজার্ভের ভিলেজার পরিবারগুলো। সংরক্ষিত বনের জায়গা বিক্রি হস্তান্তর বন আইনে দন্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে। লামা বনবিভাগ কি ব্যবস্থা নিচ্ছেন, সেটা এখন বিষয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ