• বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
যাদের জন্য লিখি তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হলেও সাংবাদিকদের হয়নি ঝিনাইদহে কৃষকের মেধাবী সন্তানের সংবর্ধনা ধামইরহাটে লক্ষণপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে পাঁচ বছরের দীর্ঘ দ্বন্দ্বের অবসান করলেন ইউএনও মোস্তাফিজুর রহমান আওয়ামী লীগ দেশে বিশৃংখলা তৈরি করতে চায়- হাসান উদ্দিন সরকার জিয়া মঞ্চের ফয়েজ উল্যাহ ইকবালের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতা আটক মতিঝিলে নারায়ণগঞ্জে বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ আমতলীতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উৎযাপন উদ্যোক্তা হওয়ার মজা নোয়াখালীতে চাচীকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে কুপিয়ে হত্যা, ছাত্রলীগ নেতার ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মেট্রোরেলে ইন্টার্নশিপের সুযোগ, মাসে ভাতা ১০ হাজার, মিলবে সনদ

‘গুম হত্যার চেয়েও ভয়াবহ অপরাধ’

অনলাইন ভার্সন
অনলাইন ভার্সন
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৩

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

মানবাধিকার লঙ্ঘন করে কোনো নিরপরাধ মানুষকে ‘গুম’ করা হত্যার চেয়েও ভয়াবহ অপরাধ বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের।

বুধবার (৩০ আগস্ট) বিকেল ৪টায় আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষ্যে গুমের শিকার ব্যারিস্টার আরমানের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।

ডা. তাহের বলেন, বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারবিরোধী রাজনৈতিক নেতা, কিংবা বিরোধী মতের সাধারণ নাগরিক, আইনজীবী ও ব্যবসায়ীদের গুম করে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন করে চলেছে। ২০১৬ সালের ৯ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টায় বাসা থেকে শহীদ মীর কাসেম আলীর সন্তান ব্যারিস্টার আরমানকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা তুলে নিয়ে গেলেও এখনো তাকে ফেরত দেওয়া হয়নি। এটি একটি চরম নির্মম ঘটনা। এতে গোটা জাতি হতবাক হয়েছিল। কারণ, আরমান ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন তার বাবার মামলার আইনজীবী ছিলেন। তাকে রাতের আধারে জোরপূর্বক এভাবে তুলে নিয়ে বিচার প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করে তার বাবাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো চরম অপরাধের জন্য সংশ্লিষ্টদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।

আরমানের পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে তিনি বলেন, গত কয়েকদিন ধরে ব্যারিস্টার আরমানের বাসায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি ও তৎপরতা নতুন করে শঙ্কা জাগিয়েছে। ব্যারিস্টার আরমানকে গুম করার পর তার বাবার বিচারিক প্রক্রিয়াকে হত্যা করেও যেন ক্ষান্ত হয়নি তারা। গুমের শিকার ব্যক্তিদের সবাইকে নিজ নিজ পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশে এক ভয়াবহ অবস্থা তৈরি করেছে। সরকারের উচিত বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহিল আমান আযমী, ব্যারিস্টার আরমান আহমদ বিন কাসেম, হাফেজ জাকির হোসাইন, আল মোকাদ্দাস, মোহাম্মদ ওলিউল্লাহ এবং ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলমসহ গুম হওয়া প্রায় ২০০ জনের সন্ধান দেওয়া। গুম হওয়া ব্যক্তিদের নিরাপদে তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিয়ে মানবাধিকারের প্রতি ন্যূনতম সম্মান জানানোর আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রচার সম্পাদক মুহাম্মদ আতাউর রহমান সরকার, ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শূরা সদস্য অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম ও সাবেক ছাত্রনেতা আহমেদ সালমান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ