“যে হয় ৯ বছরে হয়, যে হয়না ৯০ বছরেও হয়না। ‘অনেকে বলে ‘বউ আওয়ামীলীগ কিছু করে নাই’ তখন লোকেরা বলে আপনি গাড়ি করে যে রাস্তা দিয়ে এসেছেন, সে রাস্তা কে করেছে’। “বিটিশ গেলো, পাকিস্তান গেলো এর আগে অনেক সরকারও গেলো, কই তারাতো এত রাস্তাঘাট, বিধবা ভাতা কিছুই করে নাই। সুতরাং মা বোনেরা মনে রাখতে হবে তাদের এসব কথার ফাঁদে পড়ে ভুল পথে ভুল সিদ্ধান্ত নেয়া যাবেনা”। ৩০ আগস্ট (বুধবার) গজালিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বন্যা ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে অনুদান, কৃষি উপকরণ বিতরণ ও জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি এসব কথা বলেন। তিঁনি বলেন, “দেশ ও মানুষের কল্যাণকর উন্নয়নে শেখ হাসিনা’র বিকল্প নেই”। মন্ত্রী আরো বলেন, ”এলাকার কোথায় কি উন্নয়ন করতে হবে সেই দায়িত্ব আমার উপর ছেড়ে দেন। আপনারা ১৯৯১ সাল থেকে আমাকে পরপর ৬ বার নির্বাচিত করে পবিত্র দায়িত্ব দিয়েছেন। এজন্য আপনাদের নিকট আমি কৃতজ্ঞ। আজ এখানে বক্তৃতা করবোনা আপনাদের সামনে আরেক দিন এসে বক্তৃতা দিব। সেদিন প্রশ্ন করবেন যদি উত্তর দিতে না পারি সালাম দিয়ে চলে যাব”। স্বীয় কর্মযজ্ঞ আর জনগনের প্রতি দৃড় আস্থা ভালোবাসা প্রকাশ করে এই বীর আরো বলেন, “আমি রাজ বংশের নয় সাধারণ পরিবারের সন্তান সে জন্য আপনারা আমাকে আপন করে নিয়েছেন”। প্রসঙ্গ টেনে মন্ত্রী বলেন, “থানছিতে আমি যখন যায় শিশুরা আমাকে দেখে উল্লাসিত হয়ে বীর বাহাদুর বীর বাহাদুর বলে আওয়াজ তুলে। কারণ তারা তাদের মা বাবার মুখে বীর বাহাদুর এটা করেছে ওটা করেছে এসব কথা শুনে শুনে আমাকে তাদের অন্তরে ঠাঁই দিয়েছে”। এর আগে সকাল বেলা মন্ত্রী যাত্রা পথে লামা উপজেলার ইয়াংছায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্ত্বাবধানে নির্মাণাধীন ইয়াংছা ব্রীজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। এ ছাড়া আলীকদম উপজেলার রেপাড় পাড়ায় এলজিইডি, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে প্রায় ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। দুপুরে গজালিয়া ইউনিয়নে পৌঁছে এলজিইডি’র ৩কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে গজালিয়া বাজারে বহুতল মার্কেটের ভিত্তি স্থাপন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এদিন পৌনে বারোটায় উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি গজালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বাথোয়াইচিং মার্মা এর সভাপতিত্বে জনসভায় বক্তব্য দেন।মন্ত্রীর প্রতিনিধি প্রদীপ কান্তি দাসের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, বান্দরবানের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, লামা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল, নির্বাহী অফিসার মোঃ মোস্তফা জাবেদ কায়সার, লামা পৌরসভা মেয়র মোঃ জহিরুল ইসলাম, বান্দরবান এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী প্রমূখ। বক্তারা বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সবাই কাজ করছেন। এই ধারাবাহিকতায় পার্বত্য বান্দরবানের ৭ উপজেলা, ২ পৌরসভায় আধুনিকতার ছোঁয়া লাগতে শুরু করেছে। বক্তারা আরো বলেন, দুর্গম দুর্ভেদ্যতাকে জয় করে জেলার সব ক’টি ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রাম যোগাযোগের আওতায় এসেছে। নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বীর বাহাদুরকে ৭ম বারের মতন নির্বাচিত করে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। কারণ পার্বত্য বীর প্রধানমন্ত্রীর স্নেহভাজন ও আস্থাশীল ব্যক্তি। বীর বাহাদুরের নেতৃত্বে বান্দরবানে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। সমাবেশ শেষে এক হাজার ১০ জন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে কৃষি উপকরণ সার বীজ ও নগদ অর্থ বিতরণ উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।