লামা উপজেলার সদর ইউনিয়ন পশ্চিম লাইনঝিরি গ্রামে এক নেশাখোরের হামলায় নারীসহ স্থানীয় ৩ জন আহত। হামলার শিকার হওয়ারা জানায়, লামা সদর ইউপির ১,২,৩ নং ওয়ার্ড সদস্য মনোয়ারা বেগম প্রকাশ পান্না মেম্বারের ছেলে শাহাব উদ্দিন নেশা করে বিকেল ৪টা থেকে রাত অবদি এখন পর্যন্ত সে একের পর এক মানুষজনকে মারধর করে চলছে। এই নেশা খোরের হামলায় এক বিধবা নারীসহ ৩ জন আহত হয়েছে। আর্জন আলী নামে আহত এক যুবকের অবস্থা সুচনীয়। সে নেশা খোরের আঘাতে বাঁ পায়ে ও বুকে ব্যথা নিয়ে রাত ৯টায় লামা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এছাড়া বিধবা খদিজা বেগমকে মারধরসহ, বসত ঘর ভাঙচুর ও ভাত তরকারি ছুড়ে ফেলে দেয়। ওই সময় খদিজা বেগমের তিনটি হাস মেরে ফেলেছ। শাহাদাত নামের আরেক যুবকে মেরে ডান পাশের চোখের নীচে রক্তাক্ত আঘাত করে। আহত শাহদাত লামা হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। ভুক্তভোগী গ্রামবাসীরা জানায়, মহিলা মেম্বার পান্নার ছেলে শাহাব উদ্দিন প্রায়ই নেশাগ্রস্থ হয়ে মানুষকে নির্যাতন করে। তার বাবা গ্রামের সর্দার শাহজাহান জানান, ছেলে তার অবাধ্য। সে জানায়, ‘আমি নিজেই এই ছেলের কাছে নিরাপদ নয়, সে দু’চারবার আমাকেও মেরেছে।নেশা করে প্রায়ই তার স্ত্রী মা সন্তনদেরকেও মারধর করে’।মহিলা মেম্বার পান্না জানান,’আমার পরিবারের কেউ-ই তার কাছে নিরাপদ নয়, তাকে ধরার জন্য পুলিশকে বলেছি। পান্না মেম্বার আরো জানায়, মোবাইল কোর্ট করে তাকে শায়েস্তা করার জন্য অনুরোধ করেছি’। এ দিকে আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা জানায়, রাত যতই বাড়ছে শাহাব উদ্দিন ততই অপ্রতিরোধ্য, হিংস্রতা প্রদর্শন করছে। তার পিতা সর্দার শাহজাহান একজন সমাজের সম্মানী ব্যক্তি। সন্তানের এহেন আচরনে সে নিজেই অসহায়ত্ব বোধ করছেন। ছেলের হামলা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে সন্ধা থেকে লামা থানার সামনে এসে বসে আছে সর্দার শাহ জাহান। এ ব্যপারে লামা থানা অফিসার ইনচার্জ জানান, দূর্যোগ পরিস্থিতির মাঝে পুলিশ নানান দায়িত্বে ব্যস্ত। এমনিতে থানা প্রাঙ্গন প্লাবিত তার পরও অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নিব।