লামা উপজেলা ত্রিহুইলার অটোরিক্সা ও মাহিন্দ্রা মালিক সমবায় সমিতি লি: এর সদস্যদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। কারণ হিসেবে জানাযায়, সমিতি ৩১ জন সদস্য নিয়ে রেজিষ্ট্রেশন প্রাপ্ত হয়। এর আগে ২০১৯ সালে সমিতি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ৩১ জনের নাম দিয়ে বান্দরবান থেকে ৬৩৭ নং রেজিষ্ট্রিভুক্ত হয় এই সমিতি। ক্ষুব্ধ সদস্যদের দাবি হচ্ছে, শতাধিক সদস্য (সিএনজি, মাহিন্দ্রার মালিক) থেকে সমিতির সদস্য করার নামে বিভিন্ন অংকে টাকা নেন সমিতির নেতারা। কিন্তু তাদেরকে নিবন্ধিত সদস্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেন নাই। মো: মুহিব উদ্দীন জানান,’দু’বছর আগে সদস্য হওয়ার জন্য আমি ৮ হাজার টাকা দিয়েছি, কিন্তু এখনো আমাকে ভোটার করা হয়নি”। একইভাবে মো: আনোয়ার ২ বছর আগে ১২ হাজার টাকা জমা করেন। মো: ফিরোজ থেকে ৭ মাস আগে ৮ হাজার টাকা নেয়। চালক সমিতির সভাপতি মো: নবী হোসেন জানান, দুই দফে সে সমিতির নেতাদেরকে ২০ হাজার টাকা জমা করে। কানু বড়ুয়া জানান, সমিতির জনতা ব্যাংক হিসাব নং ৫৮৩২ এ গত ২৭ মে/২০২১ তারিখে ১০ হাজার টাকা জমা করেন। এছাড়া সমিতির রিসিটমূলে ও রিসিট ছাড়া শতাধিক সদস্য থেকে এ ভাবে টাকা নেয়া হয়। সদস্যরা এটাকে চাঁদাবাজি হিসেবে আখ্যাদিয়ে বলেন, এই অনিয়ম দুর্ণীতির মূলে রয়েছে লামা সমবায় অফিসের স্টাফ মো: আবদুর রহিম। শতাধিক মালিক বা সদস্য বিভিন্ন অংকে টাকা জমা দেয়ার পরেও এখন পর্যন্ত নিবন্ধন তালিকায় ৩১ জন কেন? জানতে চাইলে লামা সমবায় অফিসের স্টাফ আঃ রহিম জানান, এ ব্যপারে সমিতির নির্বাচিত কমিটি বলতে পারে। অসন্তোষকারী শতাধিক সদস্য আজ ১৭ জুলাই একত্রীত হয়ে সাংবাদিকদের জানান, সবায় নীতিমালার তোয়াক্কা না করে রাতারাতি কাগজে নির্বাচন দেখিয়ে জেলা সমবায় অফিসে রিপোর্ট দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই অনিয়মতান্ত্রিক কাজেও সমবায় অফিসের স্টাফ আ: রহিম এর সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উঠে। জানতে চাইলে আবদুর রহিম মুঠোফোনে জানান, তিঁনি আপত্তি শুনেছেন এবং একজন নেতার নির্দেশে কার্যক্রমটি স্থগিত করা হয়েছে। এদিকে সমিতির সভপতি মুঠোফোনে জানান,” রিসিটমূলে যাদের কাছ থেকে সমিতি টাকা নিয়েছে, তাদেরকে পর্যায়ক্রমে নিবন্ধন তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে, তবে রিসিট ছাড়া কোনো টাকা নেয়ার বিষয়টি আমার জানা নাই”। তিনি মুঠোফোনে আরো বলেন, বিস্তারিত বিষয়ে সাধারণ সম্পাদক থেকে জানতে হবে।