নোয়াখালী প্রতিনিধির্যাবের সহকারী পুলিশ সুপার মো. গোলাম মোর্শেদ বলেন, আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলার আসামিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমলনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। শনিবার সকালে আসামিকে আদালতে হাজির করা হবে।
গ্রেপ্তারকৃত মো.ওমর ওরফে রাহিম (২০) লক্ষীপুরের কমলনগর থানার চরলরেন্স ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডের চরলরেন্স গ্রামের হায়দারগঞ্জিয়গো বাড়ির মো.জাকের হেসেনের ছেলে।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের রসুলপুর ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের জমিদারহাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১১, সিপিসি-৩, নোয়াখালী কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সহকারী পুলিশ সুপার মো. গোলাম মোর্শেদ। তিনি বলেন, মামলার ভিকটিম স্থানীয় একটি মাদরাসার অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল। বাবা প্রবাসে থাকায় মায়ের সাথে বাড়িতে থেকে সে পড়া লেখা করত । ভিকটিম মাদরাসায় যাওয়া-আসার পথে প্রতিনিয়ত ওমর ওরফে রাহিম তাকে উত্ত্যাক্ত ও প্রেম নিবেদন করত। এছাড়াও ভিকটিমের সাথে তার শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে বলে এলাকায় অপপ্রচার চালায়। এ বিষয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য আসামিকে সতর্ক করলে পরবর্তীতে সে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে বেপরোয়া আচরণ শুরু করে। একপর্যায়ে ভিকটিমকে হুমকি প্রদান করা শুরু করে। ভিকটিম আসামির এ ধরনের কার্যকলাপ সহ্য করতে না পেরে অপমানিত হয়ে রাগে-ক্ষোভে তার নিজ হাতে একটি চিরকুট লিখে গত ২৩ আগস্ট দুপুরে। এরপর নিজ বসত ঘরে পরিহিত ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। এ ঘটনার ভিকটিমের মা বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর থানায় মামলা দায়ের করেন।
উপদেষ্টা মোঃ আওলাদ হোসেন
