কবিরহাটে মাদক সেবনকালে ৩ মাদক সেবীকে ইয়াবা ও গাঁজা সহ আটক করেছে স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছানোর আগেই কোন এক রহস্যজনক ভাবে তাদের ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয়দের বিরুদ্ধে।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের রামেশ^রপুর গ্রামের বেদু চেয়ারম্যান বাড়ির বেদু চেয়ারম্যানের পুরাতন বিল্ডিংয়ের ৩য় তলার একটি কক্ষ থেকে তাদের তিনজনকে আটক করা হয়।
আটক কৃতরা হলেন, বেদু চেয়ারম্যান বাড়ির মরহুম বেদু চেয়ারম্যানের ছেলে মো: সোহেল (৪৫), কবিরহাট পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের পাটোয়ারী বাড়ির নুরুজ্জামানের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪৪) ও কবিরহাট পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের হাজী নুর উদ্দিন ডুবাইওয়ালার বাড়ির হাজী নুর উদ্দিনের ছেলে মো: আলাউদ্দিন (৪৫)। নাম প্রকাশে অনিশ্চুক একাধিক স্থানীয় ব্যাক্তি জানান, বেদু চেয়ারম্যান বাড়ির মরহুম বেদু চেয়ারম্যানের ছেলে মো: সোহেল দীর্ঘদিন যাবত এলকায় মাদক সেবন ও বিভিন্ন মাদক কারবারীদের নিজ বাড়িতে এনে তাদের পুরাতন ঘরের ৩য় তলায়
একটি কক্ষে মাদকের আসন বসিয়ে মাদক সেবন ও বিক্রি করে আসছে। প্রতিদিনের মত সোমবার রাত ৯টার দিকে সেখানে মাদকের আড্ডা বসছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে এলকার এক দেড়শ লোক পুরো বিল্ডিং ঘেরাও করে তাদের আড্ডারত অবস্থায় ৩য় তলার একটি রুমে তল্লাশি করে ইয়াবা সেবনের সরাঞ্জাম, ২পিছ ইয়াবা, ৩ পুরিয়া গাঁজা ও নেশা জাতীয় দ্রব্য ঘামসহ তাদের তিনজনকে আটক করে। পরে স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদে নিজেদের দোষ শিকার
করে ক্ষমা চান এলাকাবাসির কাছে। স্থানীয়রা আরো বলেন, তাদের আটকের পর কবিরহাট থানার পুলিশকে কল করা হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছার আগেই কোন এক অদৃশ্য শক্তির প্রভাবে তাদের তিনজনকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হোন স্থানীয়রা। পরবর্তীতে পুলিশকে পুনরায় কল করে মাঝপথ থেকে থানায় ফেরত যেতে হয়। স্থানীয় লোকজন বলেন, বেদু চেয়ারম্যানের ছেলে মো: সোহেল সে আর কখনো মাদক সেবন কিন্বা কোন রকম মাদকের সাথে জড়িত হবেনা মর্মে এলাকাবাসির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন এবং তার সাথে থাকা বাকি দুইজনও একই ভাবে ক্ষমা চাওয়ায় স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের সুপারিশে তাদের ছেড়ে হয়েছে।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন মিয়া জানান, খবর পেয়ে থানা থেকে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই পুনরায় খবর আসে স্থানীয়রা বিষয়টি সমাধান করে আটককৃতদের ছেড়ে দিয়েছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, আটককৃতদের ছেড়ে দেওয়া ও ঘটনার বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে তদন্ত করা হচ্ছে। ঘটনার সত্যতা প্রমানিত হলে আটক করার পর ছেড়ে দেওয়া আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।