পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতর এবং তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে বন্ধ থাকার পর আগামী সপ্তাহ থেকে স্বাভাবিক হচ্ছে শ্রেণীকক্ষে পাঠদান। শনিবার (৪ মে) থেকে খুলছে মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আর রোববার থেকে খুলছে প্রাথমিক বিদ্যালয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানানো হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবুল খায়ের বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে জানান, শনিবার থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ে শ্রেণিকক্ষে সরাসরি পাঠদান শুরু হবে।
আর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদও জানান, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রয়েছে। শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি শেষে রোববার থেকে যথারীতি ক্লাস শুরু হচ্ছে।
এর আগে পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতর এবং গরমের কারণে এক সপ্তাহ ছুটি মিলিয়ে মোট ১ মাস ৩ দিন পর গত রোববার খুলে দেশের শিক্ষাঙ্গন। একদিন খোলা রেখে সোমবার থেকে ফের বন্ধ হয় মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা। সোমবার খোলা থাকে প্রাথমিক স্কুল। কিন্তু তীব্র তাপপ্রবাহে হাইকোর্টের নির্দেশনা মেনে মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত উভয় স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
এর আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, শিক্ষা ঘাটতি পূরণের জন্য আগামী ৪ মে থেকে শনিবার থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের ক্লাস চালু রাখা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ মার্চ দেশের সব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছুটি শুরু হয়। এর একদিন আগে ২৫ মার্চ কলেজগুলো বন্ধ হয়েছিল। আর প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় ছুটি শুরু হয়েছিল ২২ মার্চ।
ঈদ ও নববর্ষের ছুটি শেষে স্কুল-কলেজ খোলার কথা ছিল গত ২১ এপ্রিল। কিন্তু এপ্রিলের শুরু থেকে টানা তাপপ্রবাহের মধ্যে কয়েক জেলায় তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যাওয়ায় স্কুল-কলেজে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে সরকার।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমান তাপমাত্রা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা নয়। তাছাড়া বাংলাদেশে সব অঞ্চলের বর্তমান তাপমাত্রাও সমান নয়। তাই রোববার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য সব রকমের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
এদিকে তীব্র দাবদাহের কারণে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজের ক্লাসও। পরবর্তী তারিখ ঘোষিত না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজসমূহে ক্লাস বন্ধ থাকবে বলেও জানানো হয়। এখনো সেই সিদ্ধান্ত বহাল রয়েছে। এছাড়া তীব্র গরমের কারণে অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। এখনো সেই সিদ্ধান্তও বহাল রয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার তীব্র দাবদাহে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব ক্লাস অনলাইনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রাশাসন। এছাড়া সব ধরনের পরীক্ষা বন্ধ রাখাও নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার আবারও সারা দেশে তাপপ্রবাহের কারণে ৭২ ঘণ্টা সতর্কবার্তা বা ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি করেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। ৭২ ঘণ্টার ‘হিট অ্যালার্ট’ শেষ হবে রোববার (২৮ এপ্রিল) সকালে।