হাইটেক পার্ক সিটির উন্নয়ন এর নামে লুটপাট ও দুর্নীতির অভিযোগ
- আপডেট: ০৯:৪২:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫
- / ২০৪
পর্ব – ১
নিজস্ব প্রতিবেদক
এ কে এম ফজলুল হকের বিরুদ্ধে : এ কে এম ফজলুল হক বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (BIWTA) তে সদস্য প্রকৌশল ( যুগ্ম সচিব) হিসেবে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন খাতের প্রধান নিয়ন্ত্রক সংস্থা এটি।
এ কে এম ফজলুল হক এর বিরুদ্ধে
ব্যাপক অনিয়ম, সরকারি অর্থ লুটপাট ও
দুর্নীতির অভিযোগ যা আইসিটি মন্ত্রণালয় ও হাইটেক পার্ক সিটির উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে সংঘটিত হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বারবার এসব দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাকে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সংস্থায় ও পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে, আর ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের আত্মা তাদেরকে অভিশাপ দিচ্ছে। বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের এসব দোসর জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান কে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায় বারবার! মাফিয়া সরকারের এই সহযোগী এখনো বহাল তবিওতে কোন শক্তির বলে! জাতি জানতে চায়?
দুর্নীতির বিস্তৃতি ও প্রভাব : হাইটেক পার্ক সিটি প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল। এ কে এম ফজলুল হক এই প্রকল্পের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তার নামে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ রয়েছে যে, প্রকল্পের টেন্ডার প্রক্রিয়া, বরাদ্দ ও বাস্তবায়নে স্বজনপ্রীতি, অর্থ আত্মসাৎ এবং অস্বচ্ছতা ছিল। প্রতিমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর স্ত্রীর সাথে ঘনিষ্ঠতা ছিল এই এ কে এম ফজলুল হকের তাই তিনি কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করতেন না। নিয়মকে অনিয়ম বানিয়ে গড়েছেন অঢেল সম্পদ দেশে-বিদেশে ।
অনুসন্ধান কালে জানা যায় …
জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে থাকাকালীন সময়ে বিভিন্ন প্রকল্প থেকে ১৫% কমিশন নিতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এই কমিশন ব্যবস্থা তার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পরিচালিত হত, সিন্ডিকেটের মূল হোতা এই – এ কে এম ফজলুল হক যা হাইটেক পার্ক সিটি প্রকল্পেও প্রভাব ফেলেছিল। ফাইভস্টার নামে পরিচিত একটি সিন্ডিকেট গঠন করে, পলক ও তার সহযোগীরা স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্ন সরকারি জমি দখল, দরপত্র নিয়ন্ত্রণ, নিয়োগ বাণিজ্য ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করে। জুনায়েদ আহমেদ পলকের অন্যতম সহযোগী এই এ কে এম ফজলুল হক। আওয়ামী লীগের সময় ও তার সম্পর্কে অভিযোগের পাহাড় ছিল। জুনায়েদ আহমেদ পলকের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় তার বিরুদ্ধে নিউজ করতে কেউ সাহস পেত না।
(দুর্নীতি ও সংস্কার একসাথে চলতে পারে না) এরকম দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা যদি কোন রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ সংস্থায় থাকে সেই সংস্থার কোন উন্নতি আশা করা যায় না। বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে রাষ্ট্রের আম -জনতার একটাই দাবি তাকে আইনের আওতায় এনে ও এস ডি (OSD)
করা হউক। বিস্তারিত নিউজে আসতেছে।
নিউজ এর সত্যতা যাচাইয়ের জন্য তাকে বারবার ফোন করা হলেও কোন উত্তর পাওয়া যায়নি!
অনুসন্ধান চলমান রয়েছে ….