বিনোদন ডেস্ক
গত দিন কয়েক ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে আলোচিত-সমালোচিত তারকা দম্পতি শরিফুল রাজ ও পরীমণির বেশ কিছু হাস্যোজ্জ্বল ছবি ও একটি ভিডিও। ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীরা ধরেই নিয়েছিলেন বিভেদ ভুলে আবারও এক ছাদের নিচে এসেছেন তারা। অবশ্য তাদের দুজনের কথায় ফেরার আভাসই পাওয়া যাচ্ছিল। কিন্তু দুদিন না যেতেই আবারও দৃশ্যবদল!
বর্তমানে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন পরীমণি। জানা গেছে, জ্বর-ঠান্ডার সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, শুক্রবার (১৮ আগস্ট) রাতে মাথা ফেটে গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন রাজ। কিন্তু কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটল সেই তথ্য জানা যায়নি।
মাথায় আঘাতের বিষয়ে রাজের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে পরীমণির কাছে জানতে চাইলে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘আমি হাসপাতালে। রাজ কোথায় আমি জানি না। আমার অনেক জ্বর। কথা বলতে পারছি না।’
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন শরিফুল রাজ। সেখানে তার মাথায় চারটি সেলাই করতে হয়েছে। তবে বর্তমানে তিনি হাসপাতালে নেই।
জানা গেছে, বর্তমানে ওই হাসপাতালে রয়েছেন পরীমণি ও তমা মির্জা। পরীর মতো তমাও জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘দুঃখিত, কারো ফোন ধরা বা কারো সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব না। দোয়া করবেন যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাই।’
এদিকে শুক্রবার (১৮ আগস্ট) ভোররাতে পরীমণি তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি ছবি পোস্ট করেন। যেখানে দেখা যায়, একজন আরেকজনের হাত ধরে আছেন। দুজনের হাতেই ক্যানোলা করা। ক্যাপশনে পরী লেখেন, ‘আমরা পরীতমা।’ এরপর তমাকে মেনশন করে লাভ ইমোজি দেন তিনি। এই ছবির মন্তব্যের করে তমা লেখেন, ‘আগে সুস্থ হই দুইজন।’ বোঝাই যাচ্ছে, হাত দুটি পরী ও তমার।
এর আগে, বুধবার (১৬ আগস্ট) রাতে গান বাংলার অফিসে একসঙ্গে ছেলে রাজ্যর প্রথম জন্মবার্ষিকীর কেক কাটেন রাজ-পরী। এ সময় তাদের সঙ্গে ছিলেন গান বাংলার দুই কর্ণধার কৌশিক হোসেন তাপস ও ফারজানা মুন্নী। এমন একটি ভিডিও ও বেশ কয়েকটি ছবি বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে তাপসের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে প্রকাশিত হয়। ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘রাজ্য বাবার জন্মদিন উদযাপন করা হচ্ছে টিএমের পক্ষ থেকে।’
ওই অনুষ্ঠানে দুজনের অন্তরঙ্গ ছবি দেখে অনেকের ধারণা ছিল, মিলে গেছেন রাজ-পরী। কিন্তু জানা যায়, ওই ছবি-ভিডিওর সঙ্গে তাদের জীবনের বাস্তবতার কোনো মিল নেই। এখনো আগের মতোই আলাদা থাকছেন তারা।