• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৩:২২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে পুলিশ সুপারের উদ্যেগে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সদস্যদের মধ্যে হামদ-নাত ও কেরাত প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত নাইক্ষ্যংছড়িতে মৌসুমি ফল আমের মুকুল, শুভা চড়াচ্ছে গ্রামে খাগড়াছড়ি জেলা প্রেস ক্লাবের নব নির্বাচিত কমিটিকে পুলিশ সুপারের ফুলেল শুভেচ্ছা ঢাকাস্থ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা কল্যাণ সমিতি-ঢাকা’র ইফতার মাহফিল কচ্ছপিয়ায় ছুরিকাঘাতে যুবকের মৃত্যু এলাকায় থমথমে অবস্থা ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপনে সেনাবাহিনীর বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ বিতর রামগড়ে গাঁজাসহ ১ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার স্বাধীনতা দিবসে অসহায়দের মাঝে নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবির ইফতার বিতরণ সিন্দুকছড়ি জোনের পক্ষ থেকে চিকিৎসা সেবা প্রদান সাভারে স্বাধীনতা দিবস ও পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট হতে চান রামাসোয়ামি

অনলাইন ভার্সন
অনলাইন ভার্সন
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ, ২০২৩

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যে তিনজন রিপাবলিকান অংশ নেওয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন তাদের মধ্যে দুজন হলেন ভারতীয়-আমেরিকান। নিকি হ্যালি বেশ পরিচিত নাম হলেও, প্রার্থী হিসেবে আকস্মিকভাবে নাম ঘোষণা করা ভিভেক রামাসোয়ামি তেমন একটা পরিচিত নন। রামাসোয়ামির প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা এবং তিনি পরিবর্তন আনতে পারবেন কি না সেটি মূল্যায়ন করেছেন ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক সাংবাদিক সাভিতা প্যাটেল।রামাসোয়ামি একজন ধনাঢ্য উদ্যোক্তা এবং ‘ওক, ইঙ্ক’ শীর্ষক বইয়ের লেখক। একুশে ফেব্রুয়ারি ফক্স নিউজ শোতে নিজের রাজনৈতিক মতামত তুলে ধরার সময় ক্যামেরার সামনে তিনি প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছার কথা ঘোষণা করেন। নতুন আমেরিকান স্বপ্ন নির্মাণে ‘সাংস্কৃতিক আন্দোলন’ গড়ে তুলতে চান তিনি। যার ভিত্তি হবে ‘দক্ষতা ও যোগ্যতা’। তিনি বলেছেন, ‘মানুষের সঙ্গে মানুষের যদি বন্ধন তৈরি করা না যায় তাহলে বৈচিত্র্য থাকা অর্থহীন।’  ৩৭ বছর বয়সী রামাসোয়ামি যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইওতে জন্মগ্রহণ করেন, হার্ভার্ড এবং ইয়েলে পড়াশোনা করেছেন। বায়োটেকনোলজি উদ্যোক্তা হিসেবে লাখ লাখ ডলার উপার্জন করেছেন। এরপর একটি সম্পদ ব্যবস্থাপনা ফার্ম প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি বর্ণবাদ এবং জলবায়ু নিয়ে করপোরেট বিশ্বের ‘ওকেইজম’-এর বিরুদ্ধে বেশ সোচ্চার ভূমিকায় আছেন। তার দাবি, এটি ব্যবসা এবং দেশ উভয়েরই ক্ষতি করছে। রামাসোয়ামি মূলত ইএসজি (পরিবেশ, সামাজিক এবং করপোরেট গভর্নেন্স) উদ্যোগের বিরোধী। এর মাধ্যমে মূলত একটি কম্পানির সামাজিক এবং পরিবেশগত প্রভাব পরিমাপ করা হয়। তিনি চীনের ওপর মার্কিন অর্থনৈতিক নির্ভরতা কমাতে চান। রামাসোয়ামির মতামত কারো কারো সঙ্গে মিলে যায়। যেমন সহকর্মী রিপাবলিকান বিক্রম শারামানির সঙ্গে মেলে। যিনি ২০২২ সালের মধ্যবর্তী মেয়াদে নিউ হ্যাম্পশায়ার থেকে মার্কিন সিনেটের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং সম্প্রতি রাজ্যে সফরের সময় রামাসোয়ামির সঙ্গে তার দেখা হয়।

শারামানি তার এই ভারতীয়-আমেরিকান সহকর্মীকে ‘খুবই হৃদয়গ্রাহী, স্পষ্টবাদী এবং চিন্তাশীল’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন যে তাদের দৃষ্টিভঙ্গিও একই রকম ‘আমেরিকাকে আলাদা করার পরিবর্তে একত্রিত করা। ব্যক্তিপরিচয়ের রাজনীতি যুক্তরাষ্ট্রে শিকড় গেড়েছে এবং এতে একতার পরিবর্তে বিভক্তিমূলক প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। আমাদের মধ্যে যে বিষয়গুলোয় মিল রয়েছে, তার ওপর ভর করেই আমাদের দাঁড়াতে হবে ‘ শারামানি জানান, তার পরিবারও সম্প্রতি নিউ হ্যাম্পশায়ারে নিকি হ্যালিকে দাওয়াত করেন। কিন্তু এমনও কিছু ভারতীয়-আমেরিকান আছেন, যারা রামাসোয়ামির রাজনীতির সঙ্গে একমত নন। তাদের ধারণা, রামাসোয়ামির প্রচারণায় গভীরতার অভাব রয়েছে। ডেমোক্র্যাট শেখর নারাসিমহান, এএপিআই (এশিয়ান আমেরিকানস অ্যান্ড প্যাসিফিক আইল্যান্ডার্স) ভিক্টরি ফান্ডের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘মার্কিন রাজনীতিতে এশিয়ান-আমেরিকানদের প্রাধান্য পেতে দেখে তিনি খুশি হলেও রামাসোয়ামির বিষয়ে তিনি আস্থাশীল নন। তিনি একজন ব্যবসায়ী মানুষ এবং তার ব্যক্তিত্বে কোনো দাগ নেই, কিন্তু তার রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি কী? তিনি কি বয়স্কদের চিকিৎসার বিষয়ে খেয়াল রাখেন? অবকাঠামো খাতে ব্যয়ের বিষয়ে তার পরিকল্পনা কী? তার নির্দিষ্ট কোনো অবস্থান নেই এবং এখনো তার নীতিগুলো স্পষ্ট করেননি। বিভিন্ন কমিউনিটির অনেক মানুষ আছেন, যারা বহু বছর যাবৎ রিপাবলিকানদের সমর্থন করছেন। তারা বলেছেন, রামাসোয়ামি এই লড়াইয়ে না আসা পর্যন্ত তারা কখনো তার সম্পর্কে শোনেননি। ‘আমি তার সঙ্গে কখনো দেখা করিনি। আমাকে বলা হয়েছে, তার অনেক টাকা আছে এবং বেশ ভালো কথা বলেন। কিন্তু তিনি অন্য  দশজন প্রার্থীর মতো একজন প্রার্থী। তার খুব বেশি সুযোগ নেই।’ বলেছেন ডা. সাম্পাত শিভাঙ্গি, যিনি একজন সুপরিচিত রিপাবলিকান পার্টি সমর্থক এবং তহবিল সংগ্রহকারী। অন্যরাও তার বক্তব্যে একমত বলে জানান। জর্জ ডাব্লিউ বুশের পর থেকে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীদের জন্য তহবিল সংগ্রহকারী হোটেল ব্যবসায়ী ড্যানি গ্যাকওয়াড বলেছেন, ‘তিনি (রামাসোয়ামি) যদি প্রথমদিকে তার উপস্থিতি জানান না দেন, তাহলে কেউ তার কথা জানতে চাইবে না।’ যদিও গ্যাকওয়াড প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য রামাসোয়ামির সাহসের প্রশংসা করেন, তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো বেশ প্রাথমিক অবস্থায় আছি, ফ্লোরিডায় দুজন শক্তিশালী প্রার্থী থাকতে পারেন- এর মধ্যে গভর্নর রন ডিসান্টিসের কথা তিনি উল্লেখ করেন, যিনি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে হোয়াইট হাউসের লড়াইয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেননি এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প লড়াইয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।’ ভারতীয়-আমেরিকান রিপাবলিকানরা ‘ট্রাম্প, ডিসান্টিস এবং হ্যালির মধ্যে ত্রিমুখী লড়াইয়ের’ ভবিষ্যদ্বাণী করছেন। নিকি হ্যালির আক্রমণাত্মক প্রচারণাশৈলীর প্রশংসা করে শিভাঙ্গি বলেন, ‘ট্রাম্প যদি প্রার্থিতার লড়াই থেকে ছিটকে পড়েন, তাহলে তিনি মিস হ্যালিকে সমর্থন করবেন। ট্রাম্পের ৪০ শতাংশ রেটিং রয়েছে এবং হ্যালি একক সংখ্যায় আছেন, কিন্তু তিনি আমাদের প্রার্থী। তিনি ভারতীয়-আমেরিকান হওয়ার কারণেই আমরা তার এতটা কাছাকাছি আছি।
রাজনৈতিক মতপার্থক্য-নির্বিশেষে, ভারতীয়-আমেরিকান সম্প্রদায়ের রাজনৈতিক অংশগ্রহণ ক্রমে বাড়তে থাকায় ওই সম্প্রদায়ের মানুষ বেশ খুশি, বিশেষ করে গত তিন দফার নির্বাচনে, এবং এবারে তাদের একজনের প্রার্থিতার সম্ভাবনা বেশ গর্বিত করেছে। গ্যাকওয়াড বলেছেন, সাম্প্রতিক এই লড়াই ভারতীয়-আমেরিকানদের স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে উৎসাহিত করতে পারে। এমনকি রাজনৈতিক বিরোধীরাও এতে একমত হবেন। ‘আমাদের বাচ্চারা যদি দেখে যে রামাসোয়ামি বা খান্না বা কৃষ্ণমূর্তির মতো নামধারী আমেরিকানরা জয়ী হচ্ছেন, তাহলে সেটা দারুণ হবে।’ বলেছেন নারাসিমহান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page