ডেস্ক:
আজ অগ্নিঝরা মার্চের প্রথম দিন। এই মাস বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের সাক্ষী। মার্চ মাস বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের কারণে ঐতিহ্যমণ্ডিত। চলতি বছরের ২৬ মার্চেই বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫২ বছরে পা রাখবে। এই মাসের ২৫ তারিখ থেকে লেখা শুরু হয়েছিলো এক অমর মহাকাব্য, যার নাম বাংলাদেশ।বাঙালি জাতির মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের সময়ের নানা কারণে মার্চ মাস ঐতিহাসিক ও ঘটনাবহুল। এ মাসেই জাতি এবার পালন করবে মহান স্বাধীনতার ৫২ বছর। এ উপলক্ষে মাসের প্রথম দিন থেকেই শুরু হবে সভা সমাবেশ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। নানান আয়োজনে মুখরিত থাকবে গোটা দেশ।একাত্তরে এই মাসের ২৫ মার্চে বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী গণহত্যা শুরু করলে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলা হয়। আবালবৃদ্ধবণিতা যোগ দেন মহান মুক্তিযুদ্ধে। দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী সশস্ত্রযুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জনের মধ্যদিয়ে জাতি লাভ করে স্বাধীনতা।জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চ পাকিস্তানি শাসকদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, ‘সাত কোটি মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবে না। মরতে যখন শিখেছি, তখন কেউ আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবে না। রক্ত যখন দিয়েছি, আরও দেবো। এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো- ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা।’১৯৭১ এর ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) দেওয়া এই ঐতিহাসিক ভাষণের সময় মুহুর্মুহু গর্জনে উত্তাল ছিল জনসমুদ্র। লাখও কণ্ঠের একই আওয়াজ উচ্চারিত হতে থাকে দেশের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে। ঢাকাসহ গোটা দেশে উড়ছিল সবুজ জমিনের ওপর লাল সূর্যের পতাকা।২৫ মার্চের কালোরাতে পাকিস্তানিরা বাঙালির কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেওয়ার লক্ষ্যে ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে বাঙালি নিধনে গণহত্যা শুরু করে। ঢাকার রাস্তায় বেরিয়ে পাকিস্তানি সৈন্যরা নির্বিচারে হাজার হাজার মানুষ হত্যা করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ছাত্র-শিক্ষককে হত্যা করে।
You cannot copy content of this page