• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৫১ অপরাহ্ন

নারায়ণগঞ্জ তিতাস গ্যাস ফতুল্লা অফিসের সহকারী হিসাব রক্ষক মাসুদুল করিম মিন্টু’র বিরুদ্ধে অনিয়ম দুনীতি অভিযোগ

অনলাইন ভার্সন
অনলাইন ভার্সন
আপডেটঃ : শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৩

এম.ডি.এন.মাইকেলঃ
তিতাসগ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের নারায়ণগঞ্জ তিতাস গ্যাস শাখা ফতুল্লা শাখার হিসাব সহকারী মাসুদুল করিম  মিন্টুর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের দুনীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। হিসাব সহকারী হিসাবে ফতুল্লা শাখা ৭/৮ বছর ধরে বিরতিহীন ভাবে চাকরি করছেন। দেশের বাড়ি যশোর,কলেজ জীবনে বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদল এর রাজনীতি করতেন এবং ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রদলের প্যানেলে জি এস নির্বাচিত হয়েছিলেন। অনুসন্ধানে জানাযায় তিতাসের এক সময়ের প্রভাবশালী অফিসার মামা কালাম মাধ্যমে ২০০২ সালে বিএনপি সরকার আমলে মাস্টার রুলে চাকরি পেয়ে সোনারগাঁও তিতাস অফিসে যোগ দেন।ছাএ জীবন থেকে মাদকাসক্ত থাকা অবস্থায় এই চাকরি পান দলীয় ক্ষমতায়।চাকরিরত অবস্থায় মাদক সেবনের কারনে সাময়িক বহিষ্কার হন। পরবর্তীতে ৬ মাস চিকিৎসা নিয়ে পুনরায় চাকরিতে যোগ দেন ধানমন্ডি তিতাসগ্যাস অফিসে।সেখান থেকে বদলি হয়ে আবারও নারায়ণগঞ্জ তিতাস অফিসে যোগ দান করেন।  নারায়ণগঞ্জে একটানা ৭, ৮ বছর চাকরি করার অবস্থায় ফতুল্লা এলাকার বিভিন্ন বাসাবাড়ি,মিল কারখানায় তিতাসের অবৈধ সংযোগ দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা। আর সেই সকল অনিয়ম দুর্নীতির টাকায় নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জের হাউজিং আবাসিক এলাকায় ৪ নং রোডে গজারিয়া ভবনে একটি আলিশান ফ্ল্যাট রয়েছে মাসুদুল করিম মিন্টুর নামে। সে ফ্লাটে বসবাস করার  কারনে এলাকার সবার সাথে সুসম্পর্ক  গড়ে তোলেন সেই সম্পর্ক কে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ফ্লাটে তিতাসের অবৈধ সংযোগ দিয়ে  হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা।অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকার চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে সিদ্ধিরগন্জ হাউজিং ও ফতুল্লা এলাকায়। গত ৭ই ডিসেম্বর ২০২২ তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড নারায়ণগঞ্জের শাখা তিতাসগ্যাস অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন কারী দুইটি টিম সিদ্ধিরগ্জ হাউজিং এলাকায় তিতাসগ্যাস অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে আসলে গ্যাস খেকো দুর্নীতিবাজ মাসুদুল করিম মিন্টু সেই দুই টিমের ৪০/৪২ জন কর্মকর্তা কর্মচারীদের দুপুরবেলায় ভুরিভোজ করান তার নিজ ফ্ল্যাটে। আর এই ভুরিভোজকে পুঁজি করে অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন কারার সময় বিভিন্ন বাড়ির মালিকদের কাছ থেকে দুর্নীতিবাজ গ্যাস খেকো মাসুদুল করিম মিন্টু মোটা অংকের টাকা লেনদেন করেন । মাসুদুল করিম মিন্টুর টাকা নেওয়ার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
তিতাস সূত্রে জানা যায় মাসুদুল করিম মিন্টুর পদপদবী অনুযায়ী তিনি ফিল্ডে যেতে পারেন না কিন্তু তিনি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন মিলকারখানা বাসাবাড়ির সাথে গোঁজামিল করে তিতাসের অবৈধ সংযোগ দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।তার সম্পত্তির হিসাব ও ব্যাংকের হিসাব নিলে বেরিয়ে আসবে আসল রহস্য। মাদক সেবনের কারনে চাকরি গেলেও এখনো শোধরায়নি বাংলা একটা প্রবাদ আছে ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভাঙ্গে ঠিক তেমনি মাসুদুল করিম মিনটু তার পুরনো মাদকের নেশায় এখনো আসক্ত তারই ধারাবাহিকতায় গভীর রাতে তার বাড়ির ছাদে ইয়াবা ও গাজা সেবন করেন তিনি। মাসুদুল করিম মিন্টু কে ডোপ টেস্ট করলেই বেরিয়ে আসবে তার মাদক সেবনের আসল রহস্য। এ ব্যাপারে মাসুদুল করিম মিন্টুর মুঠোফোন একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। মাসুদুল করিম  মিন্টু,হিসাব সহকারী হয়ে মাঠে গিয়ে তদারকি করা নিয়ে, নারায়ণগঞ্জ  তিতাস অফিস চলছে নানা ধরনের আলোচনা সমালোচনা। মাসুদ ছাত্র জীবনে বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলের করতেন সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে খোলস বদলিয়ে আওয়ামী শ্রমিকলীগের অন্তর্ভুক্ত  তিতাস গ্যাস কর্মচারী ইউনিয়নে নাম বসিয়ে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ঠিকাদারদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা কমিশন নিয়ে মিল কলকারখানায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ দিচ্ছেন তার এই সকল অনিয়ম দুর্নীতির কারণে সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড নারায়ণগঞ্জ শাখার কয়েকজন কর্মকর্তা নাম না প্রকাশ করা শর্তে বলেন মাসুদুল করিম মিন্টু কোন খুঁটির জোরে সাত আট বছর এক অফিসে চাকরি করে এনিয়ে গ্যাস নারায়ণগঞ্জ অফিসে চলছে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা। এখানে উল্লেখ থাকে যে দুর্নীতিবাজ গ্যাস খেকো সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ধ্বংসকারী হিসাব সহকারী মাসুদুল করিম মিন্টুর ঘুষ নেওয়ার তথ্য প্রমান সংরক্ষিত আছে।
(অনুসন্ধান অব্যাহত বিস্তারিত আগামী সংখ্যায়)


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page