জাতীয় | তারিখঃ নভেম্বর ২০, ২০২২ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 8901 বার

এম.ডি.এন.মাইকেলঃ
বিআরটিএ’র সার্কেলে সদরের দৌরাত্ম চরমে,জ্বালিয়াতির নিয়োগপ্রাপ্তরা এখন বেশামাল শিরোনামে ১৪ নভেম্বর দৈনিক “বর্তমান কথা” পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে হোঁতাসহ জ্বালিয়াতির নিয়োগ চক্র “তেলে বেগুনে” জলে গেটে বসিয়েছে পাহারাদার। সোজা কথায় চক্রটির স্পর্শকাতর জায়গায় ছোটখাট আঘাতে নড়েচড়ে উঠলেও তাদেরই আরেক ধুরন্দর হোঁতা ও ওই অফিসেরই গাড়ী চালক সমিতির সেক্রেটারি আলমগীর হোসেন ওরফে আলম (৪০) সব ধামাচাপা দেয়ার দায়িত্ব নিয়ে চক্রটিকে আশ্বস্ত করেছেন। বিগত সময়ে দূর্নীতিবাজ পাকড়াও তৎপরতায় স্বাস্থ্যের মালেকের অবস্থায় গা ঢাকা দেয়া ওই চক্রেরই আরেক সব অপকর্মের নেপথ্য কুশিলব আলমগীরের আস্কারায় হোঁতাসহ চক্রটি ফের বেশ ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন বলে সূত্র একটি জানিয়েছে।সূত্রটি আরো জানায়,সদর কার্যালয়ের গাড়ী চালক ও চালক সমিতির মহাক্ষমতাধর আলম বিগত সময়ে স্বাস্থ্যের মালেকের একই ভুমিকায় ছিলেন নির্বিঘ্নে। মালেক বাট খাওয়ার পর খানিকটা নড়েচড়ে উঠে। মাত্র ১২-১৩ বছরে ও গাড়ি চালক পদে চাকরিতে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ তটস্থ হয়ে ওঠেন। এমন কি তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের কেন্দুয়ার “স্বর্ণ কোমল” নিয়েও। তবে কৌশলে নিরাপদে থেকে ধীরে ধীরে ফের সক্রিয় হয়ে উঠলেও এ যাবৎ অনেকটা যে কোন ধরেনে ঝামেলা এড়িয়ে চলছিলেন। তবে সদ্য ওই জ্বালিয়াতির নিয়োগ চক্র নিয়ে গুঞ্জন ওঠায় ফের যেন বরাবরের মত ওই চক্রের হোঁতাগিরি হস্তগত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। সদরের সব চাকরির তদবিরসহ অনিয়মেই অন্যতম কারিগর আলম এখন ওই জালিয়াতির কর্মচারি সিন্ডিকেটের নেপথ্য হোঁতা বিষয়টি ভিন্নখাতে চালিয়ে দিতে তৎপর হয়ে উঠেছেন।
আরো জানায়,সাবেক চেয়ারম্যান মশিউর রহমানের আমলের সেই ম.শা. (মশিউর রহমান ও রেজাউর রহমান শাহিন) সিন্ডিকেট হোঁতা শাহিন বেপরোয়াভাবে বলবদ রয়েছে। কর্মচারী নিয়োগে কোটা জ্বালিয়াতি ও চাকরির আশ্বাসে বহিরাগত লোকজন দিয়ে বিনা বেতনে দায়িত্ব পালন বরবারই চলে আসছে। যারা তাদের মন রক্ষা করতে পেরেছিল, তাদের নানা কারসাজি করে চাকরি দিয়েছেন। আর এখনো চলছে একইভাবে। ওই সব অবৈধ নিয়োগের ও দালালির সুযোগ দিয়ে দায়িত্ব পালনের কর্মচারিদের নানা অনিয়ম এখন যেন অপ্রতিরোধ্য হয়ে দাড়িয়েছ। আর এসব নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।
আরো জানায়, বর্তমান এডি এডমিন (সহকারী পরিচালক,প্রশাসন) শাহিন ওই সময় উচ্চমান সহকারী হিসাবে দায়িত্বরত থাকলেও তৎকালিন চেয়ারম্যান মশিউর রহমানের বলে নিরাপদে ধান্ধাবাজির হোঁতা ছিলেন। তখন ঘুষের বিনিময়ে তাহের নামের জনৈক গাড়ীচালকের বাড়ী নোয়াখালি হলেও তাকে কুষ্টিয়ার কোটায় চাকরি দেয়া হয়। একইভাবে ফোরকানের বাড়ী বরিশাল অথচ তার একই পদে চাকরি হয়েছে মাদারীপুরের কোটায়। আর মা বাবা জীবিত থাকাবস্থায় কবিরকে এতিম কোটায় চাকরি দেয়া হয়। আর ওই অবৈধ নিয়োগের জন্য তাদের কাছ থেকে নেয়া হয় ১০-১৫লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ। সদর কার্যালয়ের ঘুষে কোটা জ্বালিয়াতির নিয়োগপ্রাপ্ত দালালির শর্তে নিযুক্ত কর্মচারীর একটি বড় অংশের দাপটে তটস্থ সার্কেল অফিসগুলো। খোদ সদর কার্যালয়ের বরাবরের কর্মচারি নিয়োগের অবৈধ পন্থা যেন বৈধতায় রুপ নিয়েছে। আর হাতিয়ে নিয়েছেন কাড়ি কাড়ি টাকা। শুধু তাই নয়, সেই সাবেক চেয়ারম্যান মশিউর রহমানের আমলের ম.শা সিন্ডিকেট হোঁতা এডি শাহিন সদর কার্যালয়ে বসেই অবৈধ সুবিধার বিনিমিয়ে গোটা দেশের‘বিআরটিএ’র অনিয়ম-দূর্নীতির আস্কারা দিয়ে নামে-বেনামে সম্পদের পাহাড় গড়ায় মত্ত রয়েছেন। অন্যদিকে ওই হেরফেরে চাকরি প্রাপ্ত কর্মচারীরাই নানা অনিয়মের সাথে সার্কেলসহ সারা দেশের বিআরটিএ’তে প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ সুবিধা আদায়ে তৎপর রয়েছে। যা নিয়ে রীতিমত বিআরটিএ’তে নানা গুঞ্জন ছড়াচ্ছে । আর এ সব নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে গোটা বিআরটিএ’তে একটি মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
Leave a Reply