এম.ডি.এন.মাইকেলঃ
বিআরটিএ’র সার্কেলে চলছে সদরের কোটা জ্বালিয়াতি ও স্বজপ্রীতির নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীদের বেপরোয়া দৌরাত্ম। কোটা জ্বালিয়াতি ও স্বজপ্রীতির নিয়োগপ্রাপ্তরা দিনে দিনে মারাত্বক বেশামাল হয়ে উঠেছে। সার্কেলে অফিসেগুলোতে তাদের প্রভাব বিস্তারে বরাবরের অভিযোগ আরো ঘোরতর পর্যায়ে এসে দাড়িয়েছে। এরই মধ্যে তা বিভিন্ন সংস্থার নজরে আসায় খোদ প্রতিষ্ঠিান প্রধান পর্যন্ত গড়িয়েছে বলে সংশ্লিস্ট একটি সূত্র জানা গেছে।সূত্রে আরো জানা গেছে,বিআরটিএ’র সদর কার্যালয় চলছে কোটা জালিয়াতি করে চাকরি দেয়া,অস্থায়ী থেকে স্থায়ীকরণ ও চাকরির আশ্বাসে বহিরাগতদের দিয়ে দায়িত্ব পালনকরানোসহ নানা বিধিবর্হিভুত কায়দায়। দীর্ঘদিন ধরে চলমান আর ওই সব কারসাজির নিয়োগপ্রাপ্ত ও গ্যাটিজদের (দালালির সুযোগের বিনিময়ে দায়িত্বরত) সার্কেল অফিসে প্রভাব খাটিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স,মালিকানা বদলি,গাড়ির ফিটনেস করানোসহ নানা অনিয়ম রীতিমত সংশ্লিস্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। আর সদ্য এসব নিয়ে বিআরটিএ’র কর্মকর্তা কর্মচারিদের মধ্যে ক্ষোভ বেড়ে উঠছে ।
আরো জানা গেছে,এসবের বরাবরের হোঁতা এডি এডমিন (সহকারি পরিচালক,প্রশাসন) রেজাউর রহমান শাহিন। দীর্ঘদিন ধরেই কোটা জ্বালিয়াতির নিয়োগপ্রাপ্ত ও গ্যাটিজদের সুবিধা বৈষম্যসহ কর্মকাÐ নিয়ে সদর কার্যালয়ে অসন্তোষ চলে আসছিল। সদ্য তা গলার কাটা হয়ে দাড়িয়েছে। তৎকালীন পরিচালক এনফোর্সমেন্ট বর্তমান এবং চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার রীতিমত এ যাবৎ এডিএডমিন সিন্ডিকেটেরই রক্ষাকবজের ভুমিকায় রয়েছেন। সাবেক চেয়ারম্যানের আস্থাভাজন সিন্ডিকেট সেই হোঁতা উচ্চমান সহকারী শাহিন ওই সময়েই ঝোঁকমত এডি এডমিন পদটি বাগিয়ে নিয়েছিলেন। আর সেই সুযোগেই ওই সব অনিয়ম আর স্বেচ্ছাচারিতা অপ্রতিরোধ্য করে তুলে বহাল তবিয়্যতে রয়েছেন।নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিআরটিএ’র একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী জানায়,ওই সময় থেকে এডি শাহিন সিন্ডিকেটের চালু প্রথায়ই
এখনো বেপরোয়াভাবে বলবদ। কর্মচারী নিয়োগে কোটা জ্বালিয়াতি ও চাকরির আশ্বাসে বহিরাগত লোকজন দিয়ে বিনা বেতনে দায়িত্ব পালন বরবারই চলে আসছে। যারা তাদের মন রক্ষা করতে পেরেছিল, তাদের নানা কারসাজি করে চাকরি দিয়েছেন। আর এখনো চলছে একইভাবে। ওই সব অবৈধ নিয়োগের ও দায়িত্ব পালনের কর্মচারিদেও নানা অনিয়ম এখন যেন অপ্রতিরোধ্য হয়ে দাড়িয়েছ। আর এসব বিষয় নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভের বাড়ছে।বিআরটিএ’র বর্তমান চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদারের কাছে এসব বিষয়ে জানার জন্য মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলে তিনি ব্যস্ততার অজুহাতে এড়িয়ে যান। তবে এ ব্যাপারে দুদক’র একটি সূত্র জানিয়েছে-এসব অভিযোগ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।খোজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমান এডি এডমিন (সহকারী পরিচালক,প্রশাসন) রেজাউর রহমান শাহিন ওই সময় উচ্চমান সহকারী হিসাবে দায়িত্বরত থাকলেও তৎকালিন চেয়ারম্যান মশিউর রহমানের বলে নিরাপদে ধান্ধাবাজির হোঁতা ছিলেন। তখন ঘুষের বিনিময়ে তাহের নামের জনৈক গাড়ীচালকের বাড়ী নোয়াখালি হলেও তাকে কুষ্টিয়ার কোটায় চাকরি দেয়া হয়। একইভাবে ফোরকানের বাড়ী বরিশাল অথচ তার একই পদে চাকরি হয়েছে মাদারীপুরের কোটায়। আর মা বাবা জীবিত থাকাবস্থায় কবিরকে এতিম কোটায় চাকরি দেয়া হয়। আর ওই অবৈধ নিয়োগের জন্য তাদের কাছ থেকে নেয়া হয় ১০-১৫লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ। এভাবেই খোদ সদর কার্যালয়ে কর্মচারি নিয়োগের অবৈধ পন্থা যেন বৈধতায় রুপ নিয়েছে। হাতিয়ে নিয়েছেন কাড়ি কাড়ি টাকা। আর এখনো সেই সাবেক চেয়ারম্যান মশিউর রহমানের আমলের ম.শা সিন্ডিকেট হোঁতা এডি শাহিন সদর কার্যালয়ে বসেই গোটা দেশের‘বিআরটিএ’র অনিয়ম-দূর্নীতির আস্কারা দিয়ে নামে-বেনামে সম্পদের পাহাড় গড়ায় মত্ত রয়েছেন। অন্যদিকে ওই হেরফেরে চাকরি প্রাপ্ত কর্মচারীরাই নানা অনিয়মের সাথে সার্কেলসহ সারা দেশের বিআরটিএ’তে প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ সুবিধা আদায়ে তৎপর রয়েছে। যা নিয়ে রীতিমত বিআরটিএ’তে নানা গুঞ্জন ছড়াচ্ছে ।