প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছে চীন। প্রধানমন্ত্রী এ আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন। গতকাল বুধবার সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন তার দেশের আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রীকে পৌঁছে দেন। পরে প্রধানমন্ত্রী স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। রাষ্ট্রদূত প্রত্যাশা করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের উন্নয়ন অংশীদারত্ব নতুন উচ্চতায় উন্নীত হবে। সাক্ষাতে দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। আলাপকালে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে চীনের সহায়তা চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণাঞ্চল এতদিন অবহেলিত ছিল।
আওয়ামী লীগ ছাড়া কোনো সরকারই এই এলাকার উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর মাধ্যমে ইতোমধ্যে দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন হয়েছে। তার সরকার চায় এই অঞ্চলকে আরও অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে নিতে চীন সহায়তা করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, শেখ হাসিনাকে শুধু বাংলাদেশের নেতা নন, বিশ্বনেতা বলে আখ্যায়িত করেন। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সম্পন্নের মাধ্যমে সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় চীন সবসময় পাশে থাকবে বলে জানান রাষ্ট্রদূত। সাক্ষাতকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।
এদিকে ঢাকার চীনা দূতাবাস জানায়, বৈঠকে রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেছেন, দুই দেশের নেতাদের অভিন্ন তত্ত্বাবধান ও প্রচারের মাধ্যমে চীন-বাংলাদেশ সহযোগিতার কৌশলগত অংশীদারত্ব ক্রমাগত গভীর হয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাস্তব সহযোগিতায় ফলাফল অর্জন করেছে, যা দুই দেশের জনগণের জন্য বাস্তব সুফল বয়ে এনেছে। বর্তমানে চীন ও বাংলাদেশ উভয়ই উন্নয়ন ও পুনরুজ্জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে। একই সঙ্গে গুরুতর আন্তর্জাতিক পরিস্থিতিরও মুখোমুখি। চীন দুই দেশের মধ্যে শাসনব্যবস্থায় অভিজ্ঞতা বিনিময় জোরদার করতে আগ্রহী। বাংলাদেশের সঙ্গে সর্বাত্মক সহযোগিতাও অব্যাহত রাখতে চায় দেশটি। আরও চীনা উদ্যোগকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ চীন। একই সঙ্গে জনগণের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার, আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিষয়ে বৃহত্তর ভূমিকা পালনে বাংলাদেশকে সমর্থন করে চীন, যেন বাংলাদেশকে তার ভিশন ২০৪১ এবং ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ অর্জন করতে পারে। রাষ্ট্রদূত ইয়াও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আন্তর্জাতিক সমস্যা এবং জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের প্রত্যাবাসনসহ অভিন্ন উদ্বেগের বিষয়েও মতবিনিময় করেছন