• রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:০৬ অপরাহ্ন

নতুন বিধিতে তফশিল ঘোষণা – প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলায় ভোট ৮ মে

অনলাইন ভার্সন
অনলাইন ভার্সন
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ, ২০২৪

সংশোধিত নতুন নির্বাচন বিধিমালা এবং নির্বাচন আচরণ বিধিমালায় উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের তফশিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন ১৫ এপ্রিল এবং ভোটগ্রহণ আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিত হবে।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে কমিশন সভা শেষে এ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করেন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

অশোক কুমার দেবনাথ জানান, আগামী ৮, ২৩, ২৯ মে ও ৫ জুন চার ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। জামানতের টাকা বাড়িয়ে ও স্বতন্ত্রদের প্রার্থিতা সহজের পর এ নির্বাচন হচ্ছে। এসব উপজেলায় চেয়ারম্যান, সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের এ সাধারণ নির্বাচন হবে।

ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী প্রথম ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় ১৫ এপ্রিল, বাছাই ১৭ এপ্রিল, প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। ভোট হবে ৮ মে।

তিনি বলেন, ইভিএমে ভোট হবে ২২টি উপজেলায় এবং বাকিগুলোয় ব্যালট পেপারে নির্বাচন হবে। দলীয় প্রতীকে উপজেলা পরিষদের এ নির্বাচন হবে। পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থিতাও রয়েছে।

এর আগে ‘উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা’ এবং ‘উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা’ সংশোধন করে গত মঙ্গলবার গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। নতুন বিধি অনুযায়ী, উপজেলা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে ভোটার সমর্থন সূচক স্বাক্ষর জমা দিতে হবে না। মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে অনলাইনে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে এক লাখ টাকা এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭৫ হাজার টাকা জামানত নির্ধারণ করা হয়েছে। আগের বিধিমালায় নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের আট ভাগের একভাগের কম পেলে জামানত বাজেয়াপ্ত হতো। সংশোধিত বিধিমালায় ১৫ শতাংশ ভোট না পেলে ওই প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।

নতুন বিধিতে চেয়ারম্যান বা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের নির্বাচনি ব্যয় বাবদ অনধিক ২৫ লাখ টাকা এবং ‘মহিলা সদস্য’ পদে অনধিক ১ লাখ টাকা ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে।

আচরণ বিধিমালায় প্রার্থীরা জনসংযোগ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার চালাতে পারবেন। প্রতীক বরাদ্দের পর অন্যান্য প্রচার চালাবেন। আগে ভোটগ্রহণের তিন সপ্তাহের আগে প্রচার চালাতে পারতেন না। এছাড়া প্রার্থীরা সাদা-কালোর পাশাপাশি রঙিন পোস্টার ও ব্যানার করতে পারবেন। এছাড়া নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত ও পুনরায় ভোটের নির্দেশ দেওয়ার বিষয়ে ইসির ক্ষমতা স্পষ্ট করা হয়েছে।

নির্বাচনে রঙিন পোস্টার ব্যবহার প্রসঙ্গে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ সাংবাদিকদের বলেন, অনেকেই অভিযোগ করছেন, প্রেসে সাদা-কালো পোস্টার ছাপানো কষ্টকর ও ব্যয়বহুল। বিভিন্ন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে রঙিন পোস্টার ছাপার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page