• শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৬:৫৫ পূর্বাহ্ন

ঢাকা-৪ ও ৫ আসনের ছত্রছায়ায় ছদ্দবেশী হিজড়াদের আনাগোনা

অনলাইন ভার্সন
অনলাইন ভার্সন
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক :

আসলে হিজড়া ও ট্রান্সজেন্ডার এক নয়। হিজড়াদের জন্মগতভাবে পুরুষ ও নারী উভয়ের চিহ্ন থাকে। পক্ষান্তরে ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তি জন্মগতভাবে পুরুষ কিংবা নারী। কিন্তু কোনো কারণে নিজেকে বিপরীত লিঙ্গের মনে করে। শুধু মনে করলেই কারও লিঙ্গ পরিবর্তন হতে পারে না। এমনকি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমেও লিঙ্গ পরিবর্তন হয় না। এভাবে কোনো পুরুষ না নারী হয়ে যায়, আর না কোনো নারী পুরুষ হয়।

প্রতিবেদকের এক প্রশ্নের জবাবে ডিবি পুলিশের প্রধান হারুন জানান রাজধানীর সহ সারাদেশে চলছে এদের অসামাজিক কার্যকর্ম এদের ছেলেমেয়ে পরিবার-পরিজন থাকা সত্ত্বেও হিজড়া রুপ ধারণ করে এবং তৃতীয় লিঙ্গ পরিচয় দিয়ে প্রতিনিয়ত চালিয়ে যাচ্ছে চাঁদা নামক দুর্নীতি। তারা ছদ্মরূপী যেমন স্বপন থেকে স্বপ্না, ইব্রাহিম থেকে শম্পা তার বউ বাচ্চা এবং পরিবার পরিজন রয়েছে।
প্রতিবেদকের এক প্রশ্নের উত্তরে একজন আলেম বলেন, আল্লাহর সৃষ্টির মাঝে বিকৃতি ও আল্লাহর শরিয়ত পরিবর্তনের মতো কুফরি গুনাহ। এছাড়া এর মাধ্যমে সমকামিতা ও ব্যভিচারের মতো ঘৃণ্য ও মহাপাপগুলো আইনি বৈধতা পাবে। এতে একদিকে যেমন ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের নীতিনৈতিকতায় শৃঙ্খলা বিনষ্ট হবে। আমাদের নজড়ে এসেছে হিজড়া সেজে ছেলেরা করছে রাতের আঁধারে এবং দিনের আলোতে চাঁদাবাজী, ছিনতাই ও বিভিন্ন অনৈতিক কাজের সাথে লিপ্ত।

যেমন ঢাকা-৪ ও ৫ আসনে কিছু মুখোশধারী অথবা ছদ্মবেশী হিজড়ার আনাগোনা, যার মধ্যে মৌসুমি, পপি ও আবুল হিজড়া অন্যতম। যে সারাজীবন মাদক ব্যবসা করে এসেছে এবং একাধিক মামলা রয়েছে। এর পরে সে হিজড়া রূপ ধারণ করেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ঊনার দু’টি মামলা রয়েছে। ফেনসিডিল মামলা রয়েছে ২০০১ ও ২০০৭ সালে। ঊনার ছত্র-ছায়ায় স্বপন থেকে স্বপ্না ও ইব্রাহীম থেকে শম্পা যার স্ত্রী এবং ছেলেমেয়ে রয়েছে। আবুল হাজি হিজড়ার নেতৃত্বে ইব্রাহীমের সংগঠিত একটি দল রূপান্তরিত রয়েছে।

রাজধানীবাসী সবাই কমবেশি পরিচিত রাস্তাঘাটে শপিংমলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ফুটপাতে কোথাও নেই তাদের দৌরাত্ম , এমনিকি, বাসা বাড়িতে বিয়ে অনুষ্ঠানে কিংবা যেকোনো পারিবারিক অনুষ্ঠানে ও বাসে ওঠে টাকা দাবি করা না দিলে তাদের বিভিন্নভাবে অপমান অপদস্ত্র তাদের উৎপাত দিন দিন বাড়ছেই। সমাজে অসহায় হিসেবে আগে সাহায্যের জন্য মানুষের কাছে হাত পাততো তারা, মানুষজন ও স্বেচ্ছায় সাহায্য করতো তাদের কিন্তু এখন আর সেই দৃশ্য নেই এখন যেন পেশাদার চাঁদাবাজের ভূমিকায় রাজধানী চষে বেড়াচ্ছে হিজরা বাহিনী , এটাতো চাঁদাবাজির মত জোর করে টাকা দাবি করা লজ্জা জনক পরিস্থিতি এড়াতে টাকা দিতে বাধ্য হয় ,আবার নাম প্রকাশ না করার শর্তে ভুক্তভোগী কে হুমকি এবং কি পোশাক খুলে ফেলব মাল জিনিস রেখে দিব, এই ধরনের হুমকি দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে , অস্ত্র ঠেকিয়ে আর হাতে তালি দিয়ে চাঁদাবাজি এক নয়। বিস্তারিত আসছে আগামী পর্বে………..


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page