• শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ০৩:১৪ অপরাহ্ন

মতিঝিল ফুটপাতে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ নীরব ভূমিকায় ডিপিডিসি মতিঝিল জোন (পর্ব-৩)

অনলাইন ভার্সন
অনলাইন ভার্সন
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

জাতীয় সম্পদ রক্ষার স্বার্থে জাতীয় দৈনিক বর্তমান কথা পত্রিকার প্রথম পাতায় মতিঝিল ফুটপাতে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ নিরব ভূমিকায় মতিঝিল ডিপিডিসি জোন শিরোনামে ধারাবাহিক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও ব্যবস্থা নিতে গড়িমসি ডিপিডিসি মতিঝিল জোন কর্তৃপক্ষের।

প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর গত ১৬ই নভেম্বর সন্ধ্যায় নামমাত্র অভিযান পরিচালনা করে মতিঝিল ডিপিডিসি জোন কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় যারা মতিঝিল ফুটপাতে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তাদেরকে সঙ্গে নিয়েই উক্ত অভিযানটি পরিচালনা করা হয়!আর অন্য দিকে অভিযান শেষেও বন্ধ হয়নি মতিঝিল ফুটপাতে অবৈধ বিদ্যুৎ বিদ্যুৎ সংযোগ।

এ নিয়ে সচেতন মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।মতিঝিল অফিস পাড়ায় কর্মরত বেশ কয়েকজন সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করা শর্ত এই প্রতিবেদককে বলেন ফুটপাতে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধে জ্বালানি মন্ত্রণালয় ও ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি কর্তৃপক্ষ (ডিপিডিসি)এই সকল অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।

বর্তমান সরকার দেশবাসীকে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা দেওয়ার জন্য প্রতিবছর জাতীয় সম্পদ বিদ্যুৎ খাতে কোটি কোটি টাকার ভর্তুকি দিয়ে যাচ্ছে।এমনকি বর্তমান সরকার বিদ্যুৎ চুরি রোধে যোগ উপযোগী আইন প্রণয়ন করেছেন কিন্তু এই সকল আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রাজধানী ঢাকার প্রাণকেন্দ্র মতিঝিল ফুটপাতের দোকান গুলোতে বিদ্যুতের মেইন লাইন থেকে সরাসরি বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে দীর্ঘদিন থেকে একটি চক্র বছরে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা আর সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।

অনুসন্ধানে জানা যায় ইত্তেফাক মোড় থেকে সেনাকল্যাণ ভবনের সামনে মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা মতিঝিল দিলকুশা হয়ে দৈনিক বাংলা মোড় পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে ফুটপাতে কয়েক হাজার দোকান রয়েছে আর এই সকল দোকানগুলোতে সন্ধ্যা নামলেই বৈদ্যুতিক বাতি জ্বলে এই সকল বৈদ্যুতিক বাতি ব্যবহারকারি ফুটপাতের হকারদের সাথে কথা বলে জানা যায় প্রতিটি লাইট বাবদ ৩০ টাকা করে দিতে হয় দৈনিক এই টাকা নেওয়ার জন্য রয়েছে লাইনম্যান তারা সন্ধ্যার আগে ও সন্ধ্যা নামলেই বৈদ্যুতিক বাতির বিল নিয়ে যায় ওই চক্রের লোকজন।আশ্চর্যের বিষয় হলো মতিঝিল ডিপিডিসি অফিসের আসে পাশের ফুটপাতে অবৈধ বিদ্যুতের বাতি জ্বলতে দেখা যায়!সরোজমিনে সন্ধ্যার পরে মতিঝিলের প্রতিটি ফুটপাতে ঘুরে দেখা যায় জাতীয় সম্পদ বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগের মাধ্যমে দেওয়া বাতি জ্বলছে।

মতিঝিল দিলকুশা এলাকার কয়েকজন হকার নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই প্রতিবেদককে বলেন মতিঝিল বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন যদি জড়িত না থাকতো তাহলে ফুটপাতে এই ভাবে সরাসরি বিদ্যুৎ লাইন থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয় কি করে তারা? মতিঝিল ফুটপাতে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের বিষয়ে জানতে ডিপিডিসি মতিঝিল জোন এর দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার সেলিমুর রহমান এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি খোঁজখবর নিয়ে দেখি তার পরে চেষ্টা করব এই সকল অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য।যদিও তিনি মতিঝিল ডিপিডিসি জোনের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন প্রায় এক মাসের মতো হয়ে গেল কিন্তু দুঃখের বিষয় এখনো মতিঝিল ফুটপাতে জাতীয় সম্পদ বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্নে তেমন কোনো তাৎপরতা দেখা যায়নি যার কারণে সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
(অনুসন্ধান অব্যাহত)


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page