• শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ০৮:০০ পূর্বাহ্ন

ডিজিএম সৈয়দ সালমা উসমান কি আইনের উর্ধ্বে?

অনলাইন ভার্সন
অনলাইন ভার্সন
আপডেটঃ : বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৪

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

গত ২ নভেম্বর -২৩ইং ৯ নভেম্বর -২৩ইং ১৬ই নভেম্বর-২৩ইং ৩ ডিসেম্বর-২৩ইং ও ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ইং তারিখে জাতীয় দৈনিক বর্তমান কথা পত্রিকার প্রথম পাতায় অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের ডিজিএম সৈয়দ সালমা উসমান কি আইনের ঊর্ধ্বে শিরোনামে চারটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।ধারাবাহিক অনুসন্ধানী প্রতিবেদন গুলো প্রকাশিত হওয়ার পর ডিজিএম সৈয়দ সালমা উসমান আরো বেপরোয়া উঠেন এবং নিজের অপকর্ম অনিয়ম ও দুর্নীতি ডাকা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন মহলে দৌড় যাপ শুরু করেন।এমনকি তিনি তার অফিসের সহকর্মীদের বলেন কই কিছু করতে পারছে আমাকে আমি আপনাদেরকে বলছিলাম না এসব পত্রিকায় আমার অনিয়ম দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশিত করে আমার কিছুই করতে পারবে না তা প্রমাণ হলো আর এই দেশে দুর্নীতি করে নাকি? আমার অপকর্ম দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত টাকার সিংহভাগ আমি উপর মহলকে দিয়ে থাকি তাই পত্রিকায় আমার বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে আমি বিন্দুমাত্র বিচলিত নই।তিনি কাওরান বাজার ওয়াসা কর্পোরেট শাখায় কর্মরত তার কলিগদের বলেন এই দেশে টাকা আর উপর মহলের সাথে লবিং থাকলে আইন থাকে ভ্যানিটি ব্যাগে।এখন প্রশ্ন হলো তিনি উপর মহল বলতে কি বুঝাতে চেয়েছেন তা বোধগম্য নয়।অন্যদিকে তার এই সকল অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য খোদ অগ্রণী ব্যাংক কারওয়ান বাজার ওয়াসা কর্পোরেট (পিএলসি)শাখা ও প্রধান কার্যালয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।প্রথম প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়ার পর ডিজিএম সৈয়দ সালমা উসমান এই প্রতিবেদকের মুঠো ফোনে জানান আমি একা ওই সকল লোন দেওয়ার জন্য দায়ী নই অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড প্রধান কার্যালয়ে অনেকেই ওই সকল লোন দেওয়ার বিষয়ে অবগত! এই প্রতিবেদক প্রশ্ন রাখেন আপনার বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির প্রকাশিত সংবাদ কি মিথ্যে? উত্তরে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন,না প্রকাশিত সংবাদ মিথ্যে নয়।উল্লেখ্য প্রতিবেদন দুইটি প্রকাশিত হওয়ার পর তিনি অহংকারের সাথে তার অফিস কলিগদের বলেন এই সকল পত্রিকায় আমার অনিয়ম দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশিত করে আমার কিছু করতে তো পারবেই না বরঞ্চ আমার জিএম হওয়ার পথ আরও সুগম হলো! তিনি আরও বলেন আমি অগ্রণী ব্যাংকের জিএম হওয়ার জন্য ইতিমধ্যে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার উপরে লগ্নি করে রেখেছি উপর মহলে তাই আমার জিএম হওয়া ঠেকানোর ক্ষমতা কারো নেই!তিনি বলেন আমার বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর আমি আরো ফেমাস হয়েছি আমার প্রচার করেছে সাংবাদিকরা!অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড কাওরান বাজার ওয়াসা কর্পোরেট শাখার (পিএলসি) ডিজিএম সৈয়দ সালমা উসমানের এই সকল অনিয়ম দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার বিষয়ে জানতে অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড প্রধান কার্যালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তার সাথে কথা বললে নাম প্রকাশ না করা শর্তে তারা এই প্রতিবেদককে বলেন আমাদের ব্যাংকের সাবেক এমডি জামায়াত-বিএনপির পৃষ্ঠপোষক শামসুল ইসলাম সাহেবের আস্কারায় সালমা উসমান বেপরোয়া হয়ে উঠেন এবং তার আমলেই তিনি ডিজিএম হয়ে কাওরান বাজার ওয়াসা কর্পোরেট শাখায় (পিএলসি)যোগদান করে এই সকল অনিয়ম দূর্নীতির সাথে জড়িয়ে পড়ে আমরা তার এই সকল অনিয়ম দুর্নীতি কর্মকাণ্ডের জন্য বিব্রত বোধ করছি তাই আমরা চাই অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেডের সুনাম রক্ষার্থে কর্তৃপক্ষ তার অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগগুলোর বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো ট্রলারেন্স নীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সরকারি মালিকানাধীন অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড কাওরান বাজার ওয়াসা কর্পোরেট শাখা(পি এল সি)ডিজিএম সৈয়দ সালমা উসমান অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়।এই প্রতিবেদকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে তার অনিয়ম দুর্নীতির ফিরিস্তি ।সৈয়দ সালমা উসমান ২৭ শে সেপ্টেম্বর ২০২০ সালে অগ্রনী ব্যাংক লিমিটেড (পিএলসি) কাওরান বাজার ওয়াসা কর্পোরেট শাখায় যোগদানের পর থেকেই অনিয়ম ও দুর্নীতি কে পেশা বানিয়ে কোন প্রকার সিকিউরিটি ও নথিপত্র না নিয়ে মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে মোনায়েম গ্রুপকে ৭৫০ কোটি টাকার প্রকল্প ঋণ বিতরণ করেন।ইতি মধ্যে মোনায়েম গ্রুপ ৪৫০ কোটি টাকার ওয়ার্ক পারমিট সংগ্রহ করলেও প্রকল্প ঋণের বিপরীতে অগ্রণী ব্যাংকে কোনো টাকা জমা/ফেরত দেয় নাই।এতে করে শিগগিরই এই সকল ঋণ খারাপ শ্রেণিভুক্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।অন্য দিকে পিক্রোটো গ্রুপকে মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে কোন প্রকার জামানত ও কাগজপত্র ছাড়াই বড় অংকের ঋণ বিতরণ করেন।এছাড়াও বেস্ট হোটেল জিগান শক্রমস গ্রুপের সকল ঋণ বিতরণের জন্য কয়েক কোটি টাকার ঘুষ নিয়ে রেখেছেন।বর্তমানে অগ্রণী ব্যাংক কাওরানবাজার ওয়াসা কর্পোরেট শাখায় ঋণ বিতরণের অনুপাত জামার চেয়ে অনেক বেশি।এই সকল অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত টাকা দিয়ে ছেলে মুহতাসিম অর্ণবকে প্রায় ১০ কোটি টাকা দিয়ে কানাডা পাঠিয়েছেন এবং তিনি নিজেও কানাডা চলে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করছেন।মেয়ের নামে রয়েছে ৩৫ লক্ষ টাকার সঞ্চয় পত্র।তিনি বিলাসবহুল জীবন যাপন এর পাশাপাশি রাজধানী ঢাকার আভিজাত্য এলাকা ও আশপাশের এলাকায় গড়ে তুলেছেন নামে বেনামে কোটি কোটি টাকার সম্পদ।অনুসন্ধানে আরো জানা যায় গত কিছুদিন আগে মেয়ের বিবাহ ও গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান করেন রাওয়া ক্লাব ও ফাইভ স্টার হোটেল ল্যা মেরেডিয়ানে এবং ওই অনুষ্ঠানে কোটি টাকার উপরে তিনি খরচ করেন।এই নিয়ে সুশীল সমাজ সচেতন মহল ও খোদ অগ্রণী ব্যাংকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে প্রশ্ন উঠেছে তারা বলেন একজন সরকারি ব্যাংকের ডিজিএম কি করে মেয়ের বিবাহ অনুষ্ঠানে কোটি টাকার উপরে খরচ করেন অবশ্যই এই সকল টাকা-পয়সার উৎস অনিয়ম ও দুর্নীতি।তার অবৈধ সম্পদের মধ্যে রয়েছে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় কোটি টাকা মূল্যের সুসজ্জিত ফ্ল্যাট দেশি বিদেশী নামি দামি ব্র্যান্ডের আসবাবপত্র বিলাসবহুল কয়েকটি গাড়ি গত কিছুদিন আগে একটি গাড়ি বিক্রি করে দেন।বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় কয়েক কোটি টাকা মূল্যের প্লট,গাজীপুরে কোটি টাকা মূল্যের প্লট ও মিরপুর বেড়িবাদের পাশে কোটি টাকা দামের প্লট এছাড়া ছেলে মেয়ে ও আত্মীয়-স্বজন এর নামে বেনামে রয়েছে কয়েক কোটি টাকার স্থাবর অস্থাবর সম্পদ।অন্য দিকে লোন এন্ড এডভান্স এর এজিএম মনিরুজ্জামান এবং এসপিও শফিকুল ইসলাম কার সকল অনিয়ম দুর্নীতির প্রধান সহযোগী তার নিজের অনিয়ম-দূর্নীতির সকল কাজের সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করার জন্য এই দুজনের পদোন্নতিতে তিনি বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।কিছু কর্পোরেট গ্রুপের দালাল অগ্রণী ব্যাংক ওয়াসা শাখায় ডিজিএম সৈয়দ সালমা উসমান এর সরকারি কক্ষে প্রতিনিয়ত অফিস করেন তাদের মধ্যে অন্যতম মোনায়েম গ্রুপের শওরাজ ওরিয়ন গ্রুপের হাবিব লেটেস্ট গ্রুপের রণি অন্যতম। তিনি অনিয়ম দুর্নীতির কারার জন্য গভীর রাত পর্যন্ত অফিসে থাকেন।এছাড়াও তার চাহিদা অনুযায়ী অগ্রণী ব্যাংক ওয়াসা কর্পোরেট শাখার গ্রাহকেরা তাকে দেশে বিদেশে ভ্রমণের ব্যবস্থা করতে হয় গত কয়েক দিন আগে তিনি মালয়েশিয়া শ্রীলংকা ভ্রমণ করেন তার আগে তিনি গ্রাহকদের খরচে দুবাই ভ্রমণ করেন।ডিজিএম সৈয়দ সালমা উসমান এর এই সকল অনিয়ম দুর্নীতির কারণে কাওরান বাজার ওয়াসা কর্পোরেট শাখায় ম্যানেজার হয়ে কেউ আসতে চায় না। এই সকল অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে জানতে ডিজিএম সৈয়দ সালমা উসমান এর মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার সাথে সাথে মুঠো ফোন সংযোগ বিছিন্ন করে দেন পরবর্তীতে বারবার ফোন দিয়ে ও ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও কোনো প্রকার সাড়া পাওয়া যায়নি।
(অনুসন্ধান অব্যাহত বিস্তারিত আগামী পর্বে)


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

You cannot copy content of this page

You cannot copy content of this page