ভারতের জম্মু-কাশ্মীর হাইকোর্টের সাবেক প্রধান বিচারপতি গীতা মিত্তাল বলেছেন, বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য ভারত, নেপাল, শ্রীলংকায় মেডিয়েশন আইন তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে এখনও মেডিয়েশন আইন হয়নি। বাংলাদেশে আলাদা মেডিয়েশন আইন হওয়া জরুরী।
আজ রোববার সুপ্রিমকোর্টের মেডিয়েশন সেন্টারে ৪০ ঘণ্টাব্যাপী মেডিয়েশন প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল মেডিয়েশন সোসাইটি (বিমস) এ কর্মশালার আয়োজন করেছে।
বিচারপতি গীতা মিত্তাল বলেন, বাংলাদেশে মেডিয়েশন আইন নাই। বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, নেপাল, শ্রীলংকা মেডিয়েশন আইন আছে, মেডিয়েশন আইন তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশে মেডিয়েশন প্রচলিত আছে সালিস আকারে। বিভিন্ন আইনে মেডিয়েশনের সুযোগ রাখা হয়েছে। কুরআনিক আইনেও মেডিয়েশন বা মধ্যস্ততার গুরুত্বের কথা বার বার বলা হয়েছে। অর্থ ঋণ আইনে গ্রাম আদালত আইনে মেডিয়েশনের সুযোগ রাখা হয়েছে। মেডিয়েশনের জন্য আলাদা আইন এজন্য হওয়া প্রয়োজন তাহলে বিরোধ নিষ্পত্তিতে মেডিয়েশনের ইনফোর্স অ্যাবিলিটি থাকবে।
কমিউনিটি মেডিয়েশন বিষয়ে তিনি বলেন, মেডিয়েশন জগতে কমিউনিটি মেডিয়েশন ভাল ভূমিকা রাখতে পারে। বিচারক ও আইনজীবীরা সক্রিয় ভূমিকা পালন করে কমিউনিটি মেডিয়েশনকে এগিয়ে নিতে পারে। আইনজীবীরাও লিগ্যাল এইড সহযোগিতা না করে তাহলে কমিউনিটি মেডিয়েশন সম্ভব না। শ্রীলংকা ভারত, নেপাল, সিঙ্গাপুর এসব দেশ কমিউনিটি মেডিয়েশন সেন্টারের মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তিতে সফলকাম হয়েছে। এক্ষেত্রে বিচারক আইনজীবীরা মূখ্য ভূমিকা পালন করেছে। বাংলাদেশেও কমিউনিটি মেডিয়েশন সরকারি সহযোগিতায় বেগমান হবে। তিনি সুপ্রিম কোর্ট মেডিয়েশন সেন্টার ও কমিউনিটি মেডিয়েশন সেন্টারকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহবান জানান।
এ সময় বিমসের চেয়ারম্যান এডভোকেট এস এন গোস্বামী উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় ৬৫ জন ডেলিগেট অংশগ্রহণ করেছে।