গুইমারা প্রতিনিধিঃ পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলায় ১৫ ও ২১ আগষ্ট উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে বিশাল শোডাউনের মাধ্যমে শোকসভা, বিক্ষোভ মিছিল ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হযেছে। ২১ আগষ্ট সোমবার সকাল ১০ টায় দলীয় অফিসের সামনে বিক্ষোভ মিছিল পূর্বে গুইমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আবু তাহেরের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগ নেতা সুইমং মারমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, শোক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য কংজরী চৌধুরী। অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীগের সদস্য সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান চাইথোয়াই চৌধুরী, গুইমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি সমীরণ পাল,সাধারণ সম্পাদক গুইমারা উপজেলা চেয়ারম্যান মেমং মারমা,সাংগঠনিক সম্পাদক ইব্রাহিম মীর, হাফছড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ওহাব,সিন্ধুকছড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বিপ্লব কুমার শীল, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আনন্দ সোম প্রমূখ। এ শোকসভায় গুইমারা উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের শত শত নেতাকর্মী উপস্হিত ছিলেন।
শোকসভায় বক্তারা বলেন নৃশংস হত্যাযজ্ঞের ভয়াল ২১আগস্ট আজ। বারুদ আর রক্তমাখা বীভৎস ‘রাজনৈতিক হত্যাযজ্ঞের’ ১৯তম বার্ষিকী। ২০০৪ সালের এই দিনে মুহুর্মুহু গ্রেনেড বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ। গ্রেনেডের বিকট শব্দ, মানুষের আর্তনাদ আর কাতর ছোটাছুটিতে তৈরি হয় এক বিভীষিকাময় পরিবেশ। আওয়ামী লীগ আয়োজিত সন্ত্রাস-বিরোধী মিছিল-পূর্ব সমাবেশে দলটির সভাপতি শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা এবং গুলিবর্ষণ করে ঘাতকরা। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের ২৪ জন নেতাকর্মী নিহত হন। আহত হন পাঁচ শতাধিক। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্যেশ্যে প্রকাশ্য দিবালোকে রাজনৈতিক সমাবেশে এ ধরনের নারকীয় হত্যাযজ্ঞ পৃথিবীর ইতিহাসে দ্বিতীয়টি খুঁজে পাওয়া বিরল।
একটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে হত্যার উদ্দেশ্যে ভয়াবহ সেই হামলা বাঙালি জাতি কোনো দিনও ভুলবে না। ২০০৪ সালের পর থেকে তাই দিনটি ‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। আওয়ামী লীগের নেতাদের অভিযোগ-১৫ আগস্টের মধ্য দিয়ে যে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল, ২১আগস্টের ঘটনা তারই ধারাবাহিকতা।