• শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:১৭ অপরাহ্ন

উচ্চ শিক্ষায় ভর্তিতে ১০ হাজার টাকা পাবেন যারা

অনলাইন ভার্সন
অনলাইন ভার্সন
আপডেটঃ : সোমবার, ৭ আগস্ট, ২০২৩

* আবেদন শুরু, চলবে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে ভর্তিতে অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের সহায়তা দেবে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও মাদরাসায় ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ভর্তি সহায়তার জন্য ১০ হাজার টাকা সহায়তা দেওয়া হবে। প্রতি উপজেলা বা শিক্ষা থাকা এলাকায় প্রতি ৫ জন শিক্ষার্থী এ সহায়তা পাবেন। সহায়তা নেওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আবেদন চাওয়া হয়েছে।

সোমবার (৭ আগস্ট) থেকে এ সহায়তা পেতে অনলাইনে শিক্ষার্থীদের আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে, যা চলবে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ভর্তি সহায়তা পাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীকে নির্ধারিত লিংকে www.eservice.pmeat.gov.bd/admission প্রবেশ করে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি নিশ্চিতকরণ ভর্তি সহায়তা প্রদান নির্দেশিকা-২০২০ অনুসারে ২০২৩-২৪ অর্থবছর ভর্তি সহায়তা দেওয়া হবে।

গত ১ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট থেকে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে ১০ হাজার টাকা হারে শিক্ষার্থীদের ভর্তি সহায়তা দেবে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট।

চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট থেকে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে সব সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, মাদরাসায় স্নাতক ও সমমান পর্যায়ের (অনার্স ও পাস কোর্স) ভর্তি হওয়া অসচ্ছল মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি নিশ্চিতকরণে ভর্তি সহায়তা দেওয়া হবে।

প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের ওয়েবসাইটের ভর্তি সহায়তা সেবা বক্সে আপলোড করা ফরম ডউনলোড ও প্রিন্ট করে শিক্ষার্থী যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হচ্ছেন সে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা বিভাগীয় প্রধানের কাছ থেকে সুপারিশ নিয়ে আবেদন করতে হবে।

যারা আর্থিক সহায়তার জন্য যোগ্য হবে-
>> জাতীয় বেতন স্কেলে ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডের সব কর্মচারীর সন্তান
>> যেসব শিক্ষার্থীর বাবা-মা অভিভাবকের বাৎসরিক আয় দুই লাখ টাকার কম
>> প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী, এতিম শিক্ষার্থী, ভূমিহীন পরিবারের সন্তান ও নদী ভাঙন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সন্তান
>> অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বা সন্তানের সন্তান
>> প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সন্তান
>> গণমাধ্যমে প্রকাশিত/প্রচারিত ‘অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি সহায়তা দেওয়া হবে।

প্রমাণ হিসেবে যা লাগবে-
>> আর্থিক সহায়তা পেতে আবেদনপত্রের সঙ্গে অভিভাবকের অফিস প্রধানের দেওয়া বেতন গ্রেডের প্রত্যয়ন সংযুক্ত করতে হবে।
>> অন্যান্য শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা বিভাগীয় প্রধানের মর্মে প্রত্যয়ন সংযুক্ত করতে হবে।
>> প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী, এতিম শিক্ষার্থী, ভূমিহীন পরিবারের সন্তান ও নদী ভাঙন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সন্তান, অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বা সন্তানের সন্তানদের ভর্তি সহায়তা পেতে অগ্রাধিকার প্রাপ্তির প্রমাণপত্র সংযুক্ত করে আবেদন করতে হবে।
>> অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে আবেদনপত্রের সাথে ‘শিক্ষার্থী মেধাবী’ মর্মে’ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক প্রত্যয়নপত্র সংযুক্ত থাকবে হবে।
>> আবেদনকারী সর্বশেষ যে শ্রেণি বা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন তার সত্যায়িত নম্বরপত্র সংযুক্ত করতে হবে;
>> ভর্তি সহায়তার আবেদনের সঙ্গে সব শিক্ষার্থীকে সর্বশেষ শ্রেণির পরীক্ষার সত্যায়িত নম্বরপত্র সংযুক্ত করতে হবে।

বাছাই প্রক্রিয়া যেভাবে হয় : শিক্ষার্থীদের আবদেনপত্র যাচাই-বাছাই করতে প্রধানমন্ত্রী শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের ৮ সদস্যে একটি কমিটি রয়েছে। কমিটি প্রধান থাকবেন ট্রাস্টের পরিচালক, আর সদস্য সচিব থাকবেন ট্রাস্টের সহকারী পরিচালক। সদস্য হিসেবে থাকেন ট্রাস্টের উপ-পরিচালক, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের একজন প্রতিনিধি, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের একজন প্রতিনিধি, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ও এবং মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সমপর্যায়ের একজন করে প্রতিনিধি।

কমিটি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আসা সব আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই করে আর্থিক সহায়তা প্রাপ্তির জন্য যোগ্য ও অযোগ্য শিক্ষার্থীর তালিকা প্রস্তুত করবে। কোনো আবেদনপত্রে আবেদনকারী বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানের ইচ্ছাকৃত কোনো ভুলত্রুটি পাওয়া গেলে তা তাৎক্ষণিকভাবে চিহ্নিত করে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করবে। তবে অনিচ্ছাকৃত বা লঘু ত্রুটির ক্ষেত্রে সংশোধনযোগ্য আবেদনপত্র সংশোধন করে তা পরের মিটিং তোলা হয়।

আর্থিক সহায়তার অর্থ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান/বাবা-মা-অভিভাবক/শিক্ষার্থী কাছে দেওয়া হয়, এ অর্থ অনলাইন/মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দেওয়া হয় এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান ভর্তি সহায়তার অর্থ বিতরণের প্রমাণক ট্রাস্টে পাঠাতে হবে।

কতজন শিক্ষার্থী এ সহায়তা পাবেন: প্রত্যেক উপজেলা বা শিক্ষা থানা এলাকায় প্রতি শিক্ষাবর্ষে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ শ্রেণি বা সমমানের পর্যায়ে ৫ জন একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে সর্বোচ্চ দুইজন করে শিক্ষা এ সহায়তা পাবেন। স্নাতক ও সমমানের পর্যায়ে প্রতি উপজেলা বা শিক্ষা থাকা এলাকায় প্রতি শিক্ষাবর্ষে ৫ জন শিক্ষার্থী এ সহায়তা পাবেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ