বান্দরবানে লামা উপজেলা রুপসিপাড়া ইউনিয়নে ২৯৪ নং দরদরী মৌজাস্থ গ্রাম ইব্রাহীম লিডারপাড়া, যেখানে স্বার্থের কাছে সকল নৈতিকতা পরাজিত। সমাজের শৃঙ্খলা রক্ষার চেয়ে স্বীয় সার্থ প্রাধান্য পাচ্ছে। ফলে কোনো ব্যক্তি ভূমি কিংবা যে কোনো অধিকার নিয়ে বাঁচতে পারাটা কঠিন চ্যালেঞ্চ। আজকের পর্বে জিঘাংসার শিকার শাহ আলমের সাথে ভূমি বিরোধের কারন কি, সে সম্পর্কে রয়েছে কিছু দালিলিক তথ্য। এই লেখার স্বপক্ষে বিভিন্ন দলিল দস্তাবেজ প্রতিবেদকের কাছে রয়েছে। পূর্ব পকাশের পর: যেহেতু ৭০৫ নং হোল্ডিংয়ে ১-৫ নং বিবাদীর জায়গা ফইজ্জাখোলায় স্থীত, সেহেতু শামুকঝিরির নালিশি জমির উপর তাদের কোনো দাবি-দাওয়া নেই। সুতরাং তারা বিগত ৫/৮/২০১৯ তারিখে মামলা থেকে অব্যাহতি পায়। মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পর মিনু আক্তার লামা পৌর এলাকা থেকে কিছু শ্রমিক নিয়ে মিসসিআর ৩৬/১৯ মামলা থেকে ইতোপূর্বে অব্যাহতি পাওয়া ১-৫ নং আসামীদের মধ্যে ১জন নুরুল আলমসহ পুনরায় বিগত ১৯/৮/২০১৯ তারিখে শাহ আলমের শামুকঝিরিস্থ বাগানে গিয়ে ৩০-৩৫ বছর বয়সী সেগুনবৃক্ষ কর্তৃন শুরু করেন। ঘটনার দিন শাহ আলম তাৎক্ষণিক লামা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। লামা থানার এস আই আরিফ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল শামুকঝিরিতে উপস্থিত হন। পুলিশ সেখানে গাছ কর্তনরত অবস্থায় মিনু আক্তারসহ প্রায় দশজনকে ঘটনাস্থলে দেখতে পায়। পুলিশ তাৎক্ষণিক শ্রমিকদেরকে গাছ কাটা থেকে বিরত করে কর্তনকৃত গাছগুলো জব্দ করে পার্শ্ববর্তী আবুল কালামের বাড়িতে জিম্মায় রেখে আসেন। পরে মিস সিআর ৩৬/১৯ এর বাদী সিরাজদৌলাকে দিয়ে ২৬/৮/১৯ তারিখে একটি অভিযোগ দায়ের করায়। কারন এর আগে বিগত ৫/৮/১৯ সিরাজদৌলার মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়া আসামীরা পুনরায় শামুকঝিরি বাগানে গিয়ে গাছ কর্তন করেন। সিরাজদৌলার অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওইদিনই শুনানি করেন। বিজ্ঞ আদালত শুনানির পর আদেশ করেন যে, ৫/৮/২০১৯ তারিখে যেসব আসামীদেরকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছিল, তারাই ওই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটানোর কারণে অব্যাহতি বাতিল করে মামলাতে পূনরায় অন্তর্ভুক্ত করেন। এর পর ১-৫ নং বিবাদীদের পক্ষে মিনু আক্তার জবাব দেন যে, “বিরোধীয় জায়গা সুস্পষ্ট নহে”। বিবাদী মিনু আক্তার এই জবাব দেয়ার পরে ১৬/১০/২০১৯ তারিখে বিরোধীয় জমি সুস্পষ্ট করণের লক্ষে মামলার বাদী বিবাদী সম্মত হয়ে বিজ্ঞ আদালতের নিকট একটি আবেদন করেন। আবেদনটি আমলে নেন বিগত ১৬/১১/২০১৯ তারিখে। এর পর ৬/১১/২০১৯ তারিখে আদালত আদেশ করেন যে,” লামা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার তনক চাকমা সরেজমিনে নালিশি জায়গা পুনরায় মাপজোপ করে কার কতটুকু জায়গা এবং প্রত্যেকের জায়গার চৌহদ্দি সরেজমিনে সকল পক্ষের উপস্থিতিতে মেপে বুজিয়ে ১৮/১২/২০১৯ তারিখের মধ্যে অত্র আদালতে একটি পুর্নাঙ্গ প্রতিবেদন দিবেন”। আদালতের আদেশের পর সার্ভেয়ার তনক চাকমা সরেজমিনে গিয়ে মাপজোপ করে শাহ আলমকে ভাট্টা হোর্ডিংয়ের ৬ একর এবং সিরাজদৌলাকে ২ একর ৭৮ শতাংশ জমি বুজিয়ে দেয়, তবে ওই সময় সে আদালতে লিখিত প্রতিবেদন দেয়নাই। এর পর আদালতের চাপে পড়ে বিগত ৩/৯/২০২০ তারিখে সার্ভেয়ার তনক চাকমা নিজে সরেজমিন না গিয়ে (৩জন যথাক্রমে এজিএম সালাউদ্দিন, মো: শাহজাহান, আব্দুস ছালাম) স্থানীয় সার্ভেয়ারদ্বারা জমি পরিমাপ করান। স্থানীয় সার্ভেয়ারদের সেই রিপোর্টে উল্লেখিত প্রতিবেদনের পূর্নাঙ্গ ফিরিস্তি না লিখে সে বিজ্ঞ আদালতে দায়সারা সরেজমিন গিয়েছে মর্মে একটি মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করেন। এই বিরোধীয় ভূমি সংক্রান্ত বিষয়ে আদালত কর্তৃক নির্দেশিত হয়ে বিভিন্ন তারিখে সার্ভেয়ার তনক চাকমা চার টি প্রতিবেদন দেন। একই ভূমি চারবার সার্ভে করে চারটি প্রতিবেদনে চার ধরনের রিপোর্ট দেয়। তনক চাকমার স্বার্থান্ধ রিপোর্টে ডাহামিথ্যা তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। যার ফলে বিরোধীয় ভূমি নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে পরস্পর মিথ্যা দোষারোপ, ভাতৃত্ব বিনষ্ট, রক্তক্ষয়ী, প্রাণঘাতি সঙ্ঘাতসহ আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটতে পারে। চলবে…..