খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলায় পানছড়ি ইসলামিয়া সিনিয়র মাদরাসার সীমানা প্রাচীর ভেঙে শ্রেণী কক্ষের সামনে দিয়ে চলাচল বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন করেছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক ও ছাত্র/ছাত্রীরা।
আজ সোমবার (১৯জুন ২০২৩) সকাল ৯টার দিকে পানছড়ি ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার গেইটের সামনের সড়কে এই মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ছাত্র/ছাত্রীদের হাতে নানা ধরনের ফেস্টুন শোভা পায়। তাতে লিখা ছিলো “রাস্তার থাকার পরও মাদরাসার উপর দিয়ে চলাচলের প্রতিকার চাই”। “শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য প্রাচীর চাই।”
মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল কাশেম জানান, প্রতিষ্ঠানটি দাখিল পর্যায়ে শুরু হলেও বর্তমানে আলিম শ্রেণীতে উন্নিত করণসহ অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে। এলাকাবাসীদের যাতায়াতের কথা চিন্তা করে ভবন নির্মানের মাদরাসার ক্রয়কৃত জমি থেকে পূর্বপাশ দিয়ে ৯ ফুট চওড়া রাস্তা রেখেই বাউন্ডারী ওয়াল করা হয়েছে। সেদিক দিয়েই এলাকাবাসী যাতায়াত করেন। আংশিক সীমানা প্রাচীর না থাকায় সেদিক দিয়ে এলাকার কিছু লোক মাদরাসার অভ্যন্তরীন রাস্তা দিয়ে চলাচল করতো। পাঠদান সময়ে যাতায়াত করায় প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলার ব্যাঘাত ঘটতো। কেন্দ্রস্থিত প্রতিষ্ঠান হওয়ায় সরকারী নির্দেশনানুযায়ী সীমানা প্রাচীর আবশ্যক। সেই অসমাপ্ত আংশিক সীমানা প্রাচীর সরকারী অর্থে নির্মান করা হয়। নব নির্মিত সীমানা প্রাচীরটি লোকগুলো জোর পুর্বক ভেঙ্গে দিয়েছে। তাই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আইনের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল কাদের , মোঃ সেলিম হোসেন জানান, আমরা প্রায় ৪০ বছর ধরে মাদ্রাসার পেছন দিয়ে এলাকার মানুষজন চলাচল করে আসছে । আমরাও এই রাস্তা দিয়ে জন্মের পর থেকে চলাচল করে আসছি। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আমাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আব্দুল মোমিন জানান, মাদরাসার ক্রয়কৃত ভুমি থেকে আগে থেকেই এলাকাবাসীর চলাচলের জন্য পূর্বপাশে ৮/৯ ফুট চউরা রাস্তা দিয়েছে, তাই রাস্তা থাকার পরও প্রতিষ্ঠানের ভিতর দিয়ে চলাচলের প্রশ্নই আসে না। একটা প্রতিষ্ঠানের সুরক্ষায় প্রয়োজন কাজ করা হয়েছে। সরকারী কাজে বাধা ও মাদরাসার দেয়াল ভেঙ্গে তারা অপরাধ করেছে। এখনো তারা প্রতিষ্ঠানটির সুনাম নষ্ট করতে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা অপ্রচার চালাচ্ছে।
উল্ল্যেখ্য, প্রতিষ্ঠানিক নিরাপত্তার দিক বিবেচনা করে গত ৫ জুন ২০২৩ অসমাপ্ত আংশিক সীমানা প্রাচীর নির্মান করা হয়। পরবর্তী ৬ জুন মাদরাসার পিছনের কিছু লোক তা ভেঙ্গে দেয় এবং রাস্তা চালু রাখার দাবিতে গত ১৫ জুন ২০১২৩ বৃহস্পতিবার তারা মানববন্ধন করে।