লামা উপজেলার সাঙ্গু মৌজায় বন্যপ্রাণি অভয়ারণ্য প্রকল্প বাস্তবায়নে বাঁধা দেয়ার পায়তারা চালাচ্ছে একটি মহল। পাহাড়ে উন্নয়ন বিমুখতা তাদের যেন বৈশিষ্ট। পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় ২০১০ সালে বান্দরবানের লামা উপজেলার সাঙ্গু মৌজার পাঁচ হাজার ৭৬০ একর সরকারের রক্ষিত ভূমিতে বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য ঘোষণা করেন। দীর্ঘদিন পর বন বিভাগ এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শুরু করতে যাচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের আগেই সেখানে বসবাসকারীদের পুনর্বাসন করে মানসম্পন্ন জীবনযাপনের প্রয়োজনীয়তার উপর সমীক্ষা চালিয়েছেন সরকারের সংশ্লিষ্টরা। লোকজনের পাড়া, বসতি ঠিক রেখে কিভাবে অভয়ারণ্যের কাজ করা যেতে পারে; কর্তৃপক্ষ ভাবছেন। অভয়ারণ্য ঘোষিত এলাকায় সে সব জনগোষ্ঠী প্রাকৃতিক সম্পদ, গাছ, বাঁশ আহরণ, জুম চাষ ইত্যাদির উপর নির্ভরশীল। সে সব পরিবারদের পুনর্বাসনের জন্য সরকার নানান মুখী পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ করছেন। কেসমেন্ট এরিয়ার বাসিন্দাদের জীবন যাপনে করণীয় নিয়ে বন বিভাগ স্থানীয় হেডম্যান কারবারীসহ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আলোচনা চলছে। এই ধারাবাহিকতায় ১৫ জুন এ বিষয়ের উপর পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে আরো একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। কিন্তু পর্বতে উন্নয়ন বিমুখ একটি মহল ১৪ জুন স্থানীয়দের উচ্ছেদ আতঙ্কের ভ্রান্ত অজুহাতে বান্দরবানে ‘বন্যপ্রাণি অভয়ারণ্যের কাজ থামিয়ে দেয়ার জন্য মানববন্ধন করেছে। মানববন্ধনে তারা “পার্বত্য জেলা বান্দরবানে সাঙ্গু বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ঘোষণার আদেশ বাতিল ও ১৩টি পাড়া উচ্ছেদ হওয়া থেকে রক্ষার দাবি করেছে”। অভিজ্ঞ মহলের প্রশ্ন, আসলে তারা কি চায়? জনগোষ্ঠীর টেঁকসই উন্নয়নে কি করতে হবে, সরকারের চেয়ে তারা কি বেশি বুঝে(?)। লামা ফাঁসিয়াখালীর সেই এলাকাটি বন্য প্রাণিদের প্রোমোদ কানন। সেখানে প্রতি বছর কতজন মানুষ বন্য হাতির আক্রমণে প্রাণ হারায়, কৃষকের ঘর বাড়িসহ কি পরিমান ফসল নষ্ট করে; তারা জানেনা। সেখানে একটি বন্য প্রাণী অভয়ারণ্য হবে, এটা দক্ষিণ বান্দরবানের মানুষের প্রাণের দাবি।