আওয়ামী লীগের দলীয় সংসদ সদস্য আফছারুল আমীনের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তফসিল অনুযায়ী, আসনটিতে আগামী ৩০ জুলাই ভোট হবে।
আফছারুল আমীনের
মৃত্যুর পর বিকল্প হিসেবে আসনটিতে উপনির্বাচনে নৌকার মাঝি হতে অনেকেই ইতোমধ্যে প্রকাশ্যে অপ্রকাশে দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছেন।
১০ আসনে উপ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ এর উপদেষ্টা “একেএম বেলায়েত হোসেন”
চট্টগ্রামে প্রবীণ এবং বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদদের মধ্যে তিনিও একজন।
১৯৫৮ সাল থেকে ছাত্র আন্দোলনের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন,
৬২’সালে সৈয়দপুর কায়েদ ই আজম কলেজের ছাত্র থাকা অবস্থায় শিক্ষা আন্দোলনে মিছিল মিটিংয়ে নেতৃত্ব দেয়ার কারণে গ্রেপ্তার বরন,
৬৬ সালে আওয়ামীলীগের সদস্যপদ প্রহন করেন,
৮২ সালে মহানগর আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা কলীন কমিটির সদস্য, এবং পর্যায়ক্রমে তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক,
১৯৯৪ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত সহ সভাপতি এবং বর্তমান কমিটিতে উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন,
আলহাজ মহিউদ্দিন চৌধুরীর বিশ্বস্ত অনুসারী ছিলেন,মহিউদ্দিন চৌধুরীর অবর্তমানে বহুবার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছিলেন এক এগারো এর সময় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছিলেন এই সিনিয়র নেতা, দলের দুর্দিনে দুঃসময়ে কোনদিন রাজনীতির মাঠ ছেড়ে যায়নি এই বর্ষীয়ান নেতা, স্ত্রী সন্তান সহ পুরো পরিবার আওয়ামীলীগের রাজনীতির সংগে জড়িত,
তিনি চট্টগ্রাম ১০ আসনের ১৯৯৬, ২০০১ এবং ২০০৮ সালে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়ীত্ব পালন করেছেন।
তবে আরো যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তাদের কেউই এখনো নিজেকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করতে রাজি নন। তারা কৌশলের ও সতর্কতার সাথে কথা বললেও নেতাকর্মীদের মাঝে শুরু হয়ে গেছে গুঞ্জন ও জল্পনা-কল্পনা।
এই আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন,
সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক ও নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, সাবেক মেয়র এম মনজুর আলম, যুবলীগের সাবেক সফল আহবায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু সহ একাধিক নেতৃবৃন্দের নাম।
চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সংগঠক এমএ আজিজের ছেলে সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার ও প্রয়াত ডা. আফছারুল আমীনের পরিবারের থেকেও একজন প্রার্থী হতে পারেন এমন আলাপ শোনা যাচ্ছে।
এ কে এম বেলায়েত হোসেন বলেন এখানে কে দলীয় মনোনয়ন পাবে, কাকে মনোনয়ন দেয়া হবে এটা নেত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন। নেত্রীর সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। তারপরও বলব,
এ আসনে স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যাদের দীর্ঘদিনের সম্পৃক্ততা আছে তাদের মধ্যে থেকে একজনকে মনোনয়ন দিলে ভালো হয়। তার কারণ হলো অন্য পেশার লোকজন দলের লোকজনের খোঁজখবর তেমন রাখেন না, দুঃখকষ্ট বোঝেন না। স্থানীয় নেতাকর্মীদের দেখভাল করার জন্য, দুঃখকষ্ট বোঝার জন্য হলেও ওই এলাকার রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত দলের কাউকে মনোনয়ন দেয়া প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।