• বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৫০ পূর্বাহ্ন

আবহাওয়া অফিসের নির্দেশনার দিকে তাকিয়ে আছেন উপকূলের বাসিন্দারা

অনলাইন ভার্সন
অনলাইন ভার্সন
আপডেটঃ : শুক্রবার, ১২ মে, ২০২৩

চট্টগ্রামের উপকূলীয় চার উপজেলার পাশাপাশি ১৫টি উপজেলা এবং নগরীর উপকূলীয় এলাকায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে এক হাজার ৩০টি আশ্রয়কেন্দ্র। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে পাঁচ লাখ এক হাজার ১১০ জনের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। আবহাওয়া অফিসের নির্দেশনা মেনেই এসব আশ্রয়কেন্দ্রে লোকজন যাওয়া শুরু করবে। এজন্য আবহাওয়া অফিসের নির্দেশনার দিকে নজর রাখছেন উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দারা।

এদিকে, চট্টগ্রাম নৌ পুলিশের পক্ষ থেকেও নদী-সাগরে মানুষের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে নানা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে সদরঘাট নৌ থানার ওসি একরাম উল্লাহ বলেন, ‘সদর দফতরের নির্দেশনা মোতাবেক নদী-সাগরে কর্মরতদের সচেতনতার লক্ষ্যে সদরঘাটসহ বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে। আবহাওয়া অফিসের নির্দেশনা মেনে নৌযানগুলো নিরাপদে নোঙর করার জন্য বলা হয়েছে। তিনটি টিমে বিভক্ত হয়ে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।’

বাঁশখালীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘দুর্যোগ মোকাবিলায় সব ধরণের প্রস্তুতি নেওয়া সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যসহ স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে এলাকার মানুষকে সচেতন করার জন্য আবহাওয়া বার্তা পৌঁছানো হচ্ছে। বর্তমানে দুই নম্বর সতর্ক সংকেত চলছে। আমরা আবহাওয়া অফিসের নির্দেশনার দিকে তাকিয়ে আছি। নির্দেশনা পেলে লোকজনদের আশ্রয়কেন্দ্রে আসার জন্য বলা হবে।’

বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারা ইউনিয়নের বাসিন্দা মোবারক আলী বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় কখন আঘাত আনবে? কখন থেকে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে আবহাওয়া অফিসের নির্দেশনা পেলে আমরা আশ্রয়কেন্দ্রে যাবো। আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছি।’

জেলা প্রশাসন কার্যালয় সূত্র জানায়, ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় চট্টগ্রামে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আট হাজার ৮৮০ জন সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তারা এলাকায় আবহাওয়া বার্তা প্রচার করছে। পর্যাপ্ত সরঞ্জামসহ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ৫৩০টি স্থায়ী এবং ৫০০টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

আশ্রয়কেন্দ্রের মধ্যে- ফটিকছড়িতে ১১২টি, হাটহাজারীতে ১৮টি, মীরসরাইয়ে ৮৫টি, রাঙ্গুনিয়ায় ২১৭টি, রাউজানে ২টি, সন্দ্বীপে ১১৬টি, সীতাকুণ্ডে ২৫টি, বাঁশখালীতে ১২২টি, বোয়ালখালীতে ৬টি, চন্দনাইশে ৬টি, পটিয়ায় ১২৬টি, সাতকানিয়ায় ৪টি, আনোয়ারায় ৫৮টি, লোহাগাড়ায় ২৭টি, কর্ণফুলীতে ১০টি এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে ৯৪টি।

এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ‘উপকূলীয় ও পাহাড়ি এলাকার মানুষকে সচেতন করতে মাইকিং করা হচ্ছে। যে কোনও জরুরি প্রয়োজনে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার সঙ্গে এবং জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুমের নম্বরে যোগাযোগ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। ১৫টি উপজেলায় ত্রাণ হিসেবে চাল ও নগদ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বিদ্যমান আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ