নজরুল ইসলাম জুলু:
দীঘ ৩ বছর পর আগামী ১২ মার্চ আবারও খুলতে যাচ্ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ ইমিগ্রেশন সেন্টার। গত (২ মার্চ) বিকেলে পাওয়া ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ইস্যুকৃত একটি চিঠির মাধ্যমে ইমিগ্রেশন সেন্টার চালুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
তবে একাধিক সূত্র জানায়, চিঠিতে সুনিদ্দিষ্ট তারিখ উল্লেখ না থাকলেও ১২ মার্চ বৈকাল তিনটায় ভারতীয় সহকারি হাই কমিশনার শ্রী মনোজ কুমার সোনা মসজিদ ইমিগ্রেশন উপস্থিত হয়ে যাত্রী চলাচলের উদ্বোধন করবেন এবং পরদিন থেকে জনসাধারণের জন্য এ বন্দরটি পুনরায় খুলে দেওয়া হবে। আর অন্য একটি সূত্রের দাবি আগামী ১৫ মার্চ চলাচলের জন্য এ রুটটি খুলে দেওয়া হবে।
ভারতীয় ইমিগ্রেশন পরিচালক সুরেন্দার কুমার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয় ২ দেশের যাত্রীদের চলাচলের সুবিধার কথা বিবেচনা করে সে অনুযায়ী ভারতের গেদে ও সোনামসজিদের বিপরীতের ভারতের মাহদিপুর ইমিগ্রেশন সেন্টার ২টি পুনরায় চালু করা হবে।
চিঠিতে আরও বলা হয় শিথিলকরণ সময়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক থেকে জারি করা কোভিড প্রোটোকল মেনে চলা সাপেক্ষে ইমিগ্রেশন খোলা থাকবে। সে সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বাস্থ্যকর্মীকে কোভিড মোকাবেলায় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়।
যারা বিভিন্ন ক্যাটাগরীতে ভিসা পেয়েছেন তাদের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক ও বিদেশ বিষয়ক মন্ত্রক দ্বারা জারি করা স্বাস্থ্য প্রোটোকল সহ সমস্ত বিদেশীদের বাধ্যতামূলক বায়োমেট্রিক তালিকাভুক্তি নিশ্চিত করতে হবে।
এর আগে ভারতীয় সহকারী কমিশনার শ্রী মনোজ কুমার গত বৃহষ্পতিবার দুপুরে সোনামসজিদ ইমিগ্রেশন সেন্টার ও ভারতের মাহদীপুর ইমিগ্রেশন সেন্টার পরিদর্শন করেন এবং ইমিগ্রেশন চালু হওয়ার বিষয়ে এ ভারতীয় আদেশ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এ ব্যাপারে সোনামসজিদ ইমিগ্রেশন অফিসার এস আই জাফর ইকবাল ভারতীয় সহকারী কমিশনারের আগমনের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তারা লিখিতভাবে এখনও কোনো আদেশ না পেলেও বিভিন্ন মাধ্যমে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এ ইমিগ্রেশন সেন্টারটি চালু হচ্ছে বলে জানতে পেরেছেন।
এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অ্যান্ড কর্মাসের পরিচালক আ. ওয়াহেদ জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বারের নির্বাচনের আগে তার প্রথম প্রতিশ্রুতি ছিলো এ এলাকার ব্যবসায়ী ও যাত্রীদের কথা বিবেচনা করে সোনামসজিদ ইমিগ্রেশনটি পুনরায় চালু করা। আর এজন্য তিনি সহ জেলার সাংসদরা চেষ্টার পর এবং ভারতের মালদা, সোনামসজিদ ও ঢাকায় একাধিক বৈঠকের পর ভারতীয় সহকারী কমিশনারের ৩ দফা ইমিগ্রেশন সেন্টার পরিদর্শন শেষে কাঙ্খিত ফলাফল পাওয়া গেল।
এর আগে কোভিড পরিস্থিতি দ্রুত অবনতি হবার প্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ১৪ মার্চ সোনামসজিদের বিপরীতে ভারতের মাহদীপুর ও গেদে এ ২টি ইমিগ্রেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়।