নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা লঞ্চঘাটে হাঁস-মুরগির টোল নিয়ে বিরোধে এক নারীর শ্লীলতাহানিসহ দুই যাত্রীকে মারধর করে স্বর্ণালংকার, মোবাইল ও হাঁস-মুরগি ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে ঘাট ইজারাদারের লোকজনের বিরুদ্ধে।
সোমবার (৬ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে ফতুল্লা মডেল থানার লঞ্চঘাটস্থ টোল আদায়কারী ঘরের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার ওই নারী লাবিনা (৩১) ফতুল্লা মডেল থানায় রিপন (৪২), প্রিতম (৩৬)সহ টোল আাদায়কারী অজ্ঞাতনামা আরো ৭-৮ জনকে আসামি করে সোমবার দুপুরে ফতুল্লা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বাদির লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী থেকে বাদি তার স্বামী আরিফ ফরাজি (৪০) ও ছোট ভাই মাসুম বিল্লাহকে (১৯) নিয়ে লঞ্চযোগে সোমবার সকাল ৮টার দিকে ফতুল্লা লঞ্চঘাটে এসে নামেন। তারা ঘাট দিয়ে আসার সময় টোল আদায়কারীরা তাদের সাথে নিয়ে আসা হাঁস-মুরগির জন্য টাকা দাবি করে। তখন বাদির ভাই টোল আদায়কারীকে ২০০ টাকা দেন। টোল আদায়কারীরা আরো ৩০০ টাকা দাবি করেন। এ নিয়ে বাদির ভাই মাসুম বিল্লাহ ও স্বামী আরিফ ফরাজির সাথে টোল আদায়কারীদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে রিপনের নির্দেশে প্রিতমসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৭-৮ জন বাদির স্বামী ও ভাইকে মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে।
এ সময় বাদি স্বামী ও ভাইকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে হামলাকারীরা বাদিকে মারধর করে তার জামা-কাপড় ছিঁড়ে শ্লীলতাহানি করে। এক পর্যায়ে হামলাকারীরা বাদির গলায় থাকা ৯ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন এবং ভাইয়ের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এবং সাথে নিয়ে আসা আটটি দেশী মুরগি ও দুটি হাঁস রেখে দিয়ে সাথে থাকা জামা-কাপড়ের ব্যাগ নদীতে ফেলে দেয় অভিযুক্তরা।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ইনচার্জ শেখ রিজাউল হক দিপু জানান, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।