ডেস্ক:
ছয় দশকের মধ্যে গত বছর প্রথমবারের মতো জন্মহারের পতন দেখেছে চীনে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, সামনের বছরগুলোতে এই হার আরো কমবে। তেমন পরিস্থিতিতে দেশটির শীর্ষ রাজনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও প্রজনন বিশেষজ্ঞ ডা. লু ওয়েইং অভিনব পরামর্শ দিয়েছেন। খবর রয়টার্স।প্রজনন সক্ষমতা দীর্ঘদিন ধরে রাখতে অবিবাহিত নারীদের ডিম্বাণু সংরক্ষণের অনুমতির জন্য সুপারিশ করবেন তিনি।রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসকে এই প্রজনন বিশেষজ্ঞ জানান, আগামী ৪ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য চাইনিজ পিপলস পলিটিক্যাল কনসালটেটিভ কনফারেন্সেও (সিপিপিসিসি) এ নিয়ে কথা বলবেন। জনস্বাস্থ্য বীমা ব্যবস্থায় বন্ধ্যাত্বের চিকিত্সা অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাবও দেবেন তিনি।।চীনে বর্তমানে অবিবাহিত নারীদের জন্য ইন-ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (আইভিএফ) এবং ডিম্বাণু হিমায়িত করার মতো চিকিৎসা পদ্ধতি নিষিদ্ধ।ডা. লু ওয়েইং বলেন, অবিবাহিত নারীরা যখন তাদের সর্বোচ্চ প্রজনন সক্ষমতার সময় পার করেন, তখন যদি নিজেদের ডিম্বাণু হিমায়িত করার সুযোগ পান, তাহলে পরে তারা এ ডিম্বাণু ব্যবহার করে সন্তান ধারণ করতে পারবেন।এমন এক পরিস্থিতিতে তিনি কথাগুলো বলছেন, যখন দেশটিতে জন্মহার কমে যাওয়া নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছে সরকার। এরই মধ্যে সন্তানধারণে উৎসাহী করতে দম্পতিদের বিভিন্ন সুবিধা দেয়ার ঘোষণা এসেছে। প্রসবকালীন ছুটি বাড়ানোসহ আর্থিক, আবাসন এমনকি কর মওকুফ সুবিধা দিতেও প্রস্তুত সরকার। ১৯৮০ সালে চীনে এক সন্তান নীতি গৃহীত হয়। এছাড়া শিক্ষাব্যয় অত্যাধিক হওয়ায় মানুষ সন্তান জন্ম দিতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। সম্প্রতি এসবের কুফলে ভুগতে শুরু করেছে দেশটি। ২০২২ সালের হিসাব অনুযায়ী চীনে প্রতি হাজারে জন্মহার ৬ দশমিক ৭৭ জন। এ হার চীনের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, শিগগিরই এর প্রভাব পড়বে দেশটির অর্থনীতিতে।