• বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০০ পূর্বাহ্ন

ঝীর্ণদশা রামগঞ্জ কচুয়া বাজার-সমিতির বাজার সড়ক

অনলাইন ভার্সন
অনলাইন ভার্সন
আপডেটঃ : রবিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৪

ঝীর্ণদশা রামগঞ্জ কচুয়া বাজার

মোহাম্মদ মহিবউল্ল্যা (রামগঞ্জ) প্রতিনিধী:

দীর্ঘদিনেও পড়েনি এক টুকরি মাটি, সংস্কার করা হয়নি বছরের পর বছর। নামকাওয়াস্তে স্থানীয়ভাবে গর্ত ভরাটের জন্য কয়েকবার সরকারি বরাদ্ধ দেয়া হলেও কাজ না করেই লুটেপুটে খেয়েছে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। ফলে সড়কটি আজ ঝীর্ণদশায় পরিনত হয়েছে। আগষ্টের বন্যায় সড়কের দুই পাশে মাটি সরে গিয়ে তা এখন স্থানীয়দের চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগি। স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থীরাসহ প্রতিদিন চলাচলকারী স্থানীয় লোকজন রয়েছেন চরম বিপাকে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, রামগঞ্জ উপজেলার ৭নং দরবেশপুর ইউনিয়নের সমিতির বাজার থেকে কচুয়া সড়কটি কাগজে কলমে পিচঢালাই পাকা হলেও বর্তমানে পিচঢালাইয়ের লেশ খুঁজে পাওয়া দুস্কর।
কোথাও দেবে গিয়ে কোথাও ভেঙ্গে আবার কোথাও খালের সাথে একাকার হয়ে গেছে। তিন কিলোমিটার দৈর্ঘ সড়কটির উপর নির্ভর পশ্চিম শোশালিয়া, আলীপুর, বক্তারপুর, দরবেশপুর, পূর্ব শোশালিয়া, কচুয়া, সমিতির বাজার, করপাড়া, সাহাপুর, আটঘর সহ ১২টি গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার জনগনের কাছে সড়কটি মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
রোববার সরজমিন পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, সমিতির বাজার-কচুয়া সড়কটির যাচ্ছেতাই অবস্থা। একাধিক সূত্র মতে ২০০৪ইং সনে সড়কটির মেরামত কাজ হয়েছিলো। ওই সংস্কারের ২/৩ বছর না পেরুতেই সড়কটিতে দেখা দেয় ফাটল। প্রাথমিক পর্যায়ে তদারকি না করায় বর্তমান সড়কটি দিয়ে খালি পায়ে হেঁটে যাওয়া পর্যন্ত দুরূহ হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় আবু তাহের, হারুনুর রশিদ, মোতালেব, পারভেজসহ অনেকেই জানান, সামান্য বৃষ্টি হলেই কোমর সমান পানিতে তলিয়ে যায় সড়কটি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে তো কথাই নেই। বর্ষা মৌসুমে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যেতে পারেনা। মুমুর্ষ রোগী এবং গর্ভবতী মায়েদের হাসপাতালে নেয়া যায়না। এক কথায় সড়কটির কারনে অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে আছে ১২ গ্রামের মানুষ। এলাকাবাসী সড়কটি মেরামতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে রামগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ সাজ্জাদ মাহমুদ খান জানান, সড়কটির বেহাল দশার কথা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রতিবেদন আকারে দাখিল করা হয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থসহ দীর্ঘদিন অবহেলিত সড়কগুলো আগে সংস্কার অগ্রাধীকার দেয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ