• বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৩ অপরাহ্ন

উদ্যোক্তা হওয়ার মজা

অনলাইন ভার্সন
অনলাইন ভার্সন
আপডেটঃ : সোমবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৪

উদ্যোক্তা

স্টাফ রিপোর্টার

উদ্যোক্তা হওয়ার সবচাইতে মজার ব্যাপার হলো মানুষের জন্য অধিক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করা। কিন্তু কাজটি করতে গিয়ে উদ্যোক্তাগণ কে অনেক ঝুঁকির মধ্যে পড়তে হয়। কখনও কখনও সর্বস্ব হারানোর ঝুঁকিও থাকে। তা সত্ত্বেও তাঁদের কে সফল হওয়ার জন্য অদম্য অনুসন্ধান চালিয়ে যেতে হয়। এমনই একজন তরুণ প্রজন্মের সফল উদ্যোক্তা হলেন সাদ্দাম হোসেন। যিনি ইতিমধ্যে নিজেকে একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে গড়ে তুলেছেন।
সাদ্দাম হোসেন ১৯৯২ সালের ০৭ জুলাই ময়মনসিংহ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং সেখানেই বেড়ে ওঠেছেন তিনি। তাঁর বাবার নাম আব্দুর রাজ্জাক এবং মায়ের নাম খালেদা আক্তার। বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা স্বত্বেও পড়াশোনার পাশাপাশি মাত্র সতের বছর বয়সে তাঁর ব্যবসার হাতেখড়ি হয়। বর্তমানে সাদ্দাম হোসেন একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক। তবে তাঁর উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার পেছনে ছিল ভিন্ন রকম গল্প।

সম্প্রতি সাদ্দাম হোসেনের সঙ্গে প্রতিবেদনকের কথা হয়। আলাপচারিতায় তিনি তাঁর উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার গল্প শোনান। তিনি বলেন, আমার জীবনে আমি দুবার উদ্যোক্তার স্বাদ পেয়েছি। প্রথমবার আমার কৈশোরে এবং দ্বিতীয়বার বাইশ বছর বয়সে। তিনি বলেন উদ্যোক্তা হওয়ার বিষয়টিকে একটি ভ্রমণের সাথে তুলনা করা যেতে পারে। অর্থাৎ আপনি একটা জায়গায় যতবেশি আগমন করবেন, জায়গাটি সম্পর্কে আপনার ধারণাও ততবেশি থাকবে। ঠিক তেমনি একটি ছোট্ট ব্যবসা থেকে আপনার অর্জিত অভিজ্ঞতার সমৃদ্ধি একসময় তা মহিরুহে পরিণত হবে। তিনি বলেন, ছোটবেলা থেকেই তাঁর মনে হয়েছিল চাকরি না খুঁজে নিজেই একদিন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবেন। সবার মতো সাদ্দামেরও প্রবল ইচ্ছে শক্তি থাকায় সবসময় তাঁর মাথায় বিভিন্ন ব্যবসার আইডিয়া ঘুরে বেড়াতো। একসময় তিনি ব্যবসা করার জন মনস্থির করেন এবং কলেজে অধ্যয়ন কালেই পোল্ট্রি ফার্ম দিয়ে তাঁর ব্যবসার হাতেখড়ি হয়। সাদ্দাম হোসেন বলেন, সবার জন্য ব্যবসার শুরুটা সহজ হয় না। কারণ, ব্যবসার শুরুতেই মুলধন সংকটে পড়লে ঘুরে দাঁড়ানো অনেকের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। তিনি বলেন, এমন অনেককেই দেখেছি যাঁরা ব্যবসা শুরু করার পর সঠিক পরিকল্পনা করতে না পারার কারণে পুঁজি হাড়িয়ে অন্য কোনও পেশায় লিপ্ত হয়েছে। তাই ব্যবসা পরিচালনা করার সময় সময়োপযোগী পদক্ষেপ নিতে না পারলে ব্যবসায় না আসায় ভালো বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, সময়ের সাথে সাথে ব্যবসার ধরনও পরিবর্তনের বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে। সময়ের সাথে সাথে তিনিও তাঁর ব্যবসার ধরনেও পরিবর্তন এনে এখন ট্রেডিং ব্যবসায় ঝুকেছেন। বর্তমানে তিনি মা ইলেকট্রনিকস, লিগ্যাল এগ্রোটেক, লিগ্যালটেক বাংলাদেশ লিমিটেড সহ ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট আউটলেটের মালিক। তিনি আরও বলেন, ব্যবসায়িক সমাধান এবং আধুনিক উৎকর্ষতার জন্য শক্ত কল্পনা শক্তি ও কর্মক্ষমতার প্রয়োজন। সেইসাথে কাজগুলো করার জন্য আনন্দ দরকার। একটু সৃজনশীল চিন্তা এবং চেষ্টা করলেই হয়তো ব্যবসায় ভালো করা সম্ভব। সেইসাথে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কে এমনভাবে পরিচর্যা করা উচিত যেভাবে একজন কৃষক তাঁর জমির যত্ন নেয়। বর্তমানে চাকরির বাজার খুবই ছোট। বাংলাদেশের বিশাল জনসংখ্যার এই বাজারে চাকরির জন্য এতো প্রতিযোগিতা যে, চাকরি প্রার্থীদের সঠিক দক্ষতা এবং কর্মক্ষমতা থাকার পরও তাঁরা চাকরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই চাকরি পাবার আশায় দীর্ঘসময় অপেক্ষা না করে ছোট পরিসরে হলেও অন্তত কিছু একটা শুরু করা যেতে পারে। তিনি বলেন, অন্য কারো পরিকল্পনা বা ধারণা নিয়ে কারও ব্যবসা শুরু করা উচিত না। বরং নিজের পরিকল্পনা মাফিক ধীরে ধীরে ধৈর্যের সহিত আগানো উচিত। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল মানসিক ভাবে সকল উদ্যোক্তা কে শক্তিশালী ও ধৈর্যশীল হওয়া। কারণ, জীবন তাদেরকে বেশি কিছু দেয় না যারা কিনা একটি কাজ করে চলছে কিন্তু সেই কাজটি তার পছন্দের কাজ নয় এবং কাজটি তার উপভোগ্য নয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ