• বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৯ পূর্বাহ্ন

নীলফামারীর ঐতিহাসিক দীঘি নীলসাগরে শীতকালীন পাখিদের জন্য আবাসস্থল করেছেন জেলা প্রশাসক।

অনলাইন ভার্সন
অনলাইন ভার্সন
আপডেটঃ : শনিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৪

nilphamarinews

মোঃ হারুন উর রশিদ, নীলফামারী,

নীলফামারীর একমাত্র পর্যটনকেন্দ্র ঐতিহাসিক নীলসাগর দীঘিতে শীতকালীন পাখিদের আগমন উপলক্ষে নিরাপদ অবাসস্থল করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান।

শনিবার (০৯ নভেম্বর/২৪) সকালে জেলা সদরের গোড়গ্রাম ইউনিয়নে অবস্থিত নীলসাগর দীঘির ধারে শতাধিক ফলজ গাছে এ আবাসস্থল করেন তিনি।

জেলা প্রশাসক বলেন, ডিসেম্বরের শুরুতে বিভিন্ন প্রজাতীর দেশীয় পাখি সহ অতিথি পাখির আগমনে মুখরিত হয় এ দীঘি। এসব অতিথি পাখির কিচিরমিচির ডাক শুকতে ও দেখতে ভিড় জমায় দর্শনার্থীরা। তাই তাদের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজন মতো আবাসস্থল ও সেড তৈরি করা হবে এবং খাবার দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, এছাড়াও এখানে বিলুপ্ত প্রজাতীর মাছ সংরক্ষণ করা হবে। উন্নয়ন পরিকল্পনা হিসেবে আমাদের কিছু প্রকল্প ইতোমধ্যে বাস্তবায়ন হয়েছে। এখানে বসার জায়গা, বাচ্চাদের খেলার জন্য সরঞ্জাম তৈরি করা হয়েছে। নীলসাগর দীঘিকে আরো দৃষ্টিনান্দিত করতে শীর্ঘ্রই আমরা এলজিইডির মাধ্যমে বাউন্ডারী ওয়ালসহ বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিবো।

এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ফারুক আল মাসুদ, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল হক উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, নীলফামারী জেলা শহর থেকে উত্তর-পশ্চিমে ১৪ দশমিক ৫ কিলোমিটার দূরে অর্থাৎ গোড়গ্রাম ইউনিয়নে নীলসাগর দীঘি অবস্থিত। এর মোট আয়তন ৫৩দশমিক ৯০ একর, মূল দীঘি ৩২ দশমিক ৭০ একর। খ্রিস্টপূর্ব অষ্টম হতে নবম শতাব্দীতে এ দিঘি খনন করেন বিরাট রাজা। নাম রাখা হয় বিরাট দীঘি। পরবর্তীতে “ বিল্টাদীঘি” এবং অবশেষে শোনা যায় রাজার মেয়ে বিন্নবতীর নামানুসারে এর নামকরণ করা হয় “ বিন্নাদীঘি” হিসেবে। ১৯৭৯ সালে তৎকালীন মহকুমা প্রশাসক জনাব আঃ জব্বার এ দীঘিকে একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সংস্কারের পাশাপাশি এর নামকরণ করেন “নীলসাগর”। পানির গভীরতা মাঝে ২৩ ফুট (জুন-অক্টোবর), পাড়  ঘেষে ০৪  ফুট।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ