হারুন অর রশিদ রাজিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট:
বৈষম্য দূরীকরণসহ অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নের দাবিতে অনঢ় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীরা। দাবি আদায়ে বৃহস্পতিবার ৫ম দিনেও কর্মবিরতি অব্যাহত রেখেছে নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
জানাযায়, সারা দেশের ৮০টি সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীরা আজ ৫ম দিনের মত কর্মবিরতি পালন করছে। রোববার থেকে আন্দোলনে গেলেও জরুরিভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রেখেছেন তারা।
এদিকে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সার্ভিস কোড কেন বাতিল হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। আগামী ১৪কর্ম দিবসের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বিদ্যুৎ জ্বালানি মন্ত্রনালয়-সচিব, বোর্ডের চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি ইতোপূর্বে কয়েক কর্মকর্তার সাসপেন্ড ও বদলি আদেশও স্থগিত করেছেন আদালত।
বুধবার আদালতের এমন আদেশে উজ্জিবিত সারা দেশের ৮০টি সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীরা।বৃহস্পতিবারও সবগুলো পবিস এর সদর কার্যালয়ের সামনে বড় জমায়েত করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। একযোগে কর্মবিরতির কারনে সারাদেশে প্রান্তিক পর্যায়ে বিদ্যুৎ সেবায় অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন সেবা প্রত্যাশীরা।
জানা যায়, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) মধ্যকার বৈষম্য দূরীকরণসহ অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য সারাদেশে কর্মবিরতি পালন করছে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। বিদ্যুৎ সরবরাহ ছাড়া অন্যান্য দাপ্তরিক কাজ ও সকল ধরণের গ্রাহক সেবা ও অভিযোগ নিষ্পত্তি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে সারাদেশেই ভোগান্তিতে পড়েছেন পল্লী বিদ্যুতের অসংখ্য গ্রাহক।
আন্দোলনকারীরা জানান,পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দৈত্ব নীতির কারনে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা হতে বঞ্চিত হচ্ছে দেশের ৮০ টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা এবং কর্মচারী।দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজে নিয়োজিত কর্মীরা একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেও পদ-পদবী, বেতন-ভাতা, বোনাসসহ পদোন্নতির ক্ষেত্রে চরম বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। বিআরইবির অদক্ষতা ও নিম্নমানের সামগ্রীর কারনে গ্রাহকরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
বিদ্যমান বৈষম্যগুলো দুর করে বাপবিবো এবং পবিসএকই সার্ভিস কোড পরিচালনা করা, ৫% প্রনোদনা জুলাই -২৩ হতে কাযকর,২০১৫ সালের পে- জুলাই -১৫ হতে সমধাপে কার্যকর, ৪০০ইউনিট বিদ্যুৎ বিল ভাতা, ২দিন সাপ্তাহিক ছুটি, নির্ধারিত কর্মঘন্টা, অতিরিক্ত কাজের জন্য ওভারটাইম/ডিষ্টারবেন্স এলাউন্স, চিকিৎসা ভাতা, অডিটের নামে হয়রানি না করা সহ সরকার প্রদত্ত সকল সুযোগ-সুবিধা বিআরইবির ন্যায় সমিতির বাস্তবায়ন চান তারা।