দেবিদ্বার (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
কুমিল্লার দেবিদ্বারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রুতা ও বিরোধের জের ধরে মোঃ জমির খান (৪০) ও মোসাঃ রহিমা বেগম (৬৫) নামের দু’জনকে মার ধরে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুজনকেই গুরুত্বর আহত অবস্থায় দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করা হয়েছে।
গত সোমবার ১ এপ্রিল বিকেল সাড়ে ৩ ঘটিকায় দেবিদ্বার পৌর বড়আলমপুর গ্রামের খান বাড়ি এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় আহত জমির খান এর স্ত্রী মোসাঃ রোজিনা আক্তার বাদী হয়ে প্রতিবেশী নাজমুল খান (নান্ট)(৩০), পিতা-ফিরোজ খান, মোঃ রাসেল(৩০), পিতা-রাজা মিয়া, মোঃ আজিজ খান (৫২), পিতা-মৃত সুলতান খান, সর্ব সাং-বড়আলমপুর(খাঁ বাড়ী), থানা- দেবিদ্বার, জেলা- কুমিল্লা। এই ৩ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
থানায় দেয়া লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দেবিদ্বার থানাধীন বড়আলমপুর গ্রামস্থ বাদী রোজিনা আক্তার এর বসত বাড়ীর পাশে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় সামান্য পানি দেখিতে পাইয়া তাকে গালিগালাজ করিতে থাকে ৩নং বিবাদী আজিজ খান। রোজিনা রাস্তার পানি পরিষ্কার করিয়া নিতেছি মর্মে বলিলেও আজিজ খান বাদী রোজিনা এবং তার শশুড় বাড়ীর লোকজনদের গালিগালাজ করিতে থাকে। তখন রোজিনার স্বামী জমির খান (০১ নং সাক্ষী) প্রতিবাদ করিলে বর্ণিত ০৩ নং বিবাদী রোজিনার স্বামী জমির খানকে এলোপাতাড়ি চড় থাপ্পর মারিতে থাকে। এতে বর্ণিত ০৩ নং বিবাদীর সহিত রোজিনার স্বামীর হাতাহাতি হয়। তখন ০৩ নং বিবাদী আজিজ খান ফোন করিয়া নাজমুল খান নান্টু ও রাসেল খান (১ ও ২নং বিবাদী) কে সংবাদ দিলে তারা ঘটনাস্থলে আসিয়া কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই বর্ণিত বিবাদীগন তার বসত ঘরে অনধিকার প্রবেশ করিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে বাদীর শাশুড়ী রহিমা বেগমকে দা দিয়া মাথায় কোপ মারিয়া গুরুত্বর কাটা রক্তাক্ত জখম করে, জমির খানকে হত্যার উদ্দেশ্যে লাঠি নিয়া মাথার পিছনে বারি মারিয়া গুরুত্বর ফাটা রক্তাক্ত জখম করে। এসময় বিবাদীগণ জমির খান ও রহিমা বেগমকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফুলা জখম করে। বিশেষ করে রহিমা বেগম এর চোখে আঘাত করে। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় বাদী রোজিনা আক্তার তার স্বামী জমির খান ও শাশুড়ী রহিমা বেগমকে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনিয়া চিকিৎসার জন্য ভর্তি করি।
এ বিষয়ে দেবিদ্বার থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ নয়ন মিয়া জানান, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।